Health Tips: আজকাল কোনও শারীরিক সমস্যা নেই এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দায়। সুগার, প্রেসার, কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইড, লিভারের সমস্যা, হরমোনের অসামঞ্জস্যতা ইত্যাদি নানা কারণে কমছে আয়ু। সকাল থেকে রাত – ওষুধের তালিকাই এত দীর্ঘ থাকে যে খাবার খাওয়ার মতো সময় থাকে না। আর খাবারের তালিকাতেও এসেছে একাধিক পরিবর্তন। চটজলদি খাবার খেতে ভরসা ফাস্টফুডেই। পাঁচ-পদে থালা সাজিয়ে ভাত খাওয়ার সুযোগও খুব কমজনেরই রয়েছে। প্রথম পাতে তেতো খাওয়ার অভ্যাস কিংবা শাক দিয়ে ভাত মেখে খাওয়া এব মানুষ ভুলতে বসেছেন। পছন্দের তালিকায় তেতো কিংবা সবজি নয়, অগ্রাধিকার চিকেন-মটনের। অত্যধিক পরিমাণে চিকেন খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে মোটেই ভাল নয়। তেমনই চিকিৎসক থেকে পুষ্টিবিদ সকলেই বলছেন রেড মিড একেবারেই এড়িয়ে চলতে। ক্যানসার, ডায়াবিটিস, ওবেসিটির মত একাধিক রোগ সমস্যার উৎস কিন্তু এই মাংস।
আগেকার দিনে মানুষের খাবারের চাহিদা ছিল কম। মাঠে-ঘাটের স্থানীয় সবজিই ছিল ভরসা। পুকুরের টাটকা মাছ, নিজের খেতের সবজি , ফল ইত্যাদি দিয়েই রোজকারের জীবন চলত। নিয়ম করে পাতে পড়ত শাক। বিদেশি ফল সবজির দিকে কোনও ঝোঁক ছিল না। স্থানীয় খাবার খেয়েই তাঁরা সুস্থ তাকতেন। রোগ-জ্বালার প্রকোপও সেই কারণে কম ছিল। পরিত্যক্ত জমি, কিংবা আলু-রসুন-পেঁয়াজের ক্ষেতে এই শাক সবচেয়ে বেশি জন্মাতে দেখা যায়। এমনকী বাড়ির নালা-নর্দমার পাশেও হেলায় বেড়ে ওঠে। কোনও রকম যত্ন, সারপ্রয়োগ কিছুরই প্রয়োজন হয় না। এই শাক গিমা শাক নামে পরিচিত।
দামে যেমন কম তেমনই পুষ্টিতে ঠাসা। স্বাদে তেতো এই গিমা শাকের মধ্যে থাকে টাইটারপিন, স্যাপোনিন- যা আমাদের একাধিক রোগ সমস্যা দূর করে। কফ, কাশি, পিত্ত থেকে ডায়াবিটিস- সব সমস্যার সমাধান লুকিয়ে এই শাকের গুণেই। এছাড়াও গিমা শাক ভিটামিন সি-তে ভরপুর। আর তাই শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে, গ্যাস অম্বলের সমস্যা তাড়াতে এবং ওজন কমাতেও কিন্তু ভূমিকা রয়েছে এই শাকের। এই গিমা শাকের কান্ড, পাতা, ফুল সবই কিন্তু ওষুধ হিসেবেও ব্যবহার করা হয়।
পুষ্টিগুণ
গিমা শাকে প্রচুর পুষ্টিগুণ রয়েছে। প্রতি ১০০ গ্রাম গিমা শাকে রয়েছে ২২ কিলোক্যালোরি, ফ্যাট ০.৬২ গ্রাম, কার্বোহাইড্রেট ১.৬ গ্রাম , ফাইবার 8 গ্রাম ও প্রোটিন ২.২৯ গ্রাম। ভিটামিন- সি ৭.০৩ মিলিগ্রাম, ক্যারোটিনয়েডস ৭৯৬ মাইক্রোগ্রাম। এছাড়াও এতে ভিটামিন বি১, বি২, ই ও ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, জিঙ্ক, ম্যাগনেশিয়াম-সহ একাধিক উপাদান রয়েছে।
উপকারিতা
কী ভাবে খাবেন
-আমলকির জুসের সঙ্গে এই পাতা বেটে খাওয়া যেতে পারে।
-আলু-বেগুন দিয়ে তরকারি বানিয়েও খেতে পারেন
-গিমা শাকের বড়া বানিয়েও খেতে পারেন
-জন্জিসের সমস্যায় গিমা শাক সিদ্ধ করে পেঁয়াজ, সঙ্কা দিয়ে বেটে কালোজিরে ফোড়ন দিয়ে কড়াইতে নেড়ে ভর্তা বানিয়েও খেতে পারেন।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
আরও পড়ুন: Curd With Honey: মধুপর্ক নয়, দইয়ের সঙ্গে স্রেফ মধু মিশিয়ে খান! একডজন রোগ হাওয়া হবে এক সপ্তাহেই