Tal Mishri: ডিটক্স জল নয়, রোজ সকালে তালমিছরিতেই দূরে থাকবেন এই তিন সমস্যা থেকে
Natural Tal Mishri: বর্তমানে সমস্যার শেষ নেই। সুস্থ থাকতে রোজ সকালে খালিপেটে ডিটক্স ওয়াটার খাওয়ার পরামর্শ দেন অনেকেই। তবে এই জলে যত না কাজ হয় এর চাইতে মেথি, মৌরির জল খেলে অনেক বেশি উপকার হয়
সেই আদ্যিকাল থেকে শীত পড়লেই মা-দিদিমাদের ভরসা ছিল তালমিছরি। রোজ সকালে তালমিছরি, তুলসিপাতা এসব দিয়ে পাচক বানিয়ে খাওয়াবেনই। আর এই সব টোটকাই আমাদের শরীরে প্রাকৃতিক ভাবে ইমিউনিটি বাড়িয়ে তোলে
ফলে তাপমাত্রার তারতম্য হলেও সর্দি-কাশির কোনও চিন্তা থাকে না। শরীরও থাকে সুস্থ। এছাড়াও কফ হলে বাসক পাতা তো ছিলই। প্রায় তিন থেকে চার বছর বয়স পর্যন্ত তাঁরা বাচ্চাদের চিনি খাওয়াতেন না। সেক্ষেত্রেও ভরসা সেই তালমিছরি
বর্তমানে সমস্যার শেষ নেই। সুস্থ থাকতে রোজ সকালে খালিপেটে ডিটক্স ওয়াটার খাওয়ার পরামর্শ দেন অনেকেই। তবে এই জলে যত না কাজ হয় এর চাইতে মেথি, মৌরির জল খেলে অনেক বেশি উপকার হয়। আর তাই বছর ভর এই তালমিছরি ভেজানো জল খান, এতে শরীর থাকবে সুস্থ
শুধু তাই নয়। তালমিছরি খেলে তা শরীরের আরও কিছু কাজে লাগবে। তালমিছরিতে আছে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় কিছু ভিটামিন এবং মিনারেল। এতে আছে পটাশিয়াম, আয়রন, জিঙ্ক, ফসফরাসের মত গুরুত্বপূর্ণ খনিজ। এবং আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি-১২
যা আমাদের শরীরে শক্তি যোগায়। শরীরকে সুস্থ রাখে যে কোনও সমস্যার হাত থেকে। মস্তিষ্ক ঠিকমতো কাজ করে যদি রোজ সকালে তালমিছরি খেতে পারেন। এছাড়াও শরীরের সম্পূর্ণ সিস্টেম ঠিক থাকে এই তালমিছরির গুণেই
তালমিছরি অ্যানিমিয়া সমস্যা থেকে দূরে থাকতে সাহায্য করে। কারণ তালমিছরিতে আছে আয়রন যেটা রক্তের হিমোগ্লোবিন লেভেল ঠিক রাখতে গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। আর তাই অ্যানিমিয়া থাকলে রোজ খান তালমিছরি
তালমিছরি হল প্রাকৃতিক চিনি। এতে আছে প্রচুর ক্যালসিয়াম ও পটাশিয়াম। যা হাড়ের ক্ষয় রোধ করে হাড়কে অনেক বেশি শক্তিশালী হতে সাহায্য করে। হাড় মজবুত করতে সপ্তাহে দু-তিনদিন অবশ্যই তালমিছরি খাবেন
তালমিছরি সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। আর তাই ব্লাডসুগারের সমস্যা থাকলে রোজ নিয়ম করে তালমিছরি খান। এর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স অনেকটাই কম। যা মিষ্টির চাহিদা পূরণ করে সেই সঙ্গে রক্তে চিনির মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে রাখে