Health Tips: উত্‍সবের মরসুমে ওমিক্রনের নয়া ভেল্কি! সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে কী কী করবেন, জানুন

Omicron Sub Varient: কালীপুজো, দিওয়ালি, ভাইফোঁটার পরও রয়েছে আরও বেশ কিছু ফেস্টিফ্যাল। সঙ্গে শীতকালীন নানা অনুষ্ঠান লেগেই থাকবে। এরই মধ্যে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে চান তাহলে বেশ কয়েকটি জিনিস মাথায় রাখতে হবে।

Health Tips: উত্‍সবের মরসুমে ওমিক্রনের নয়া ভেল্কি! সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে কী কী করবেন, জানুন
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 23, 2022 | 4:21 PM

ফের কোভিড ১৯ অতিমারির (COVID 19 Pandemic) অশনি সংকেতে তটস্ত ভারত-সহ সারা বিশ্ব। চলতি সপ্তাহেই দেশে মিলেছে ওমিক্রনের (Omicron) নয়া প্রজাতি। বেশ কয়েক মাস ধরে করোনার দৌরাত্ম্য নিম্নগামী হলেও ওমিক্রনের এই নয়া প্রজাতির উদ্বেগ আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই নয়া সাব-ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপারে এখনই সতর্ক না হলে ফের দেশে করোনার ঢেউ (COVID 19 Wave) আছড়ে পড়তে পারে। ইতোমধ্যেই করোনাভাইরাসের জেরে সারা বিশ্বে লক্ষাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। গবেষকদের ধারণা, অদূর ভবিষ্যতে এই সংক্রমণ আরও মারাত্মক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই সময়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োজন স্বাস্থ্যের প্রতি সতর্ক থাকা। সংক্রমণ প্রতিরোধ করার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা ও সুস্থ স্বাস্থ্যের জন্য কতকগুলি বিষয় রয়েছে, যেগুলি হালকাভাবে নেওয়া একেবারেই ঠিক নয়।

কালীপুজো, দিওয়ালি, ভাইফোঁটার পরও রয়েছে আরও বেশ কিছু হিন্দু ফেস্টিফ্যাল। সঙ্গে শীতকালীন নানা অনুষ্ঠান লেগেই থাকবে। এরই মধ্যে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে চান তাহলে বেশ কয়েকটি জিনিস মাথায় রাখতে হবে। সংক্রমণের বাড়াবাড়ন্তে তরুণ, প্রাপ্তবয়স্ক ও প্রবীণ নাগরিক, কেউই বাদ পড়ছে না। বাড়ছে উদ্বেগও। উত্‍সবের মরসুমে সংক্রমণ প্রতিরোধ করার কয়েকটি জিনিস মাথায় রাখুন…

১. যে স্থানে বায়ু চলাচল কম, বদ্ধ এলাকাগুলি এড়িয়ে চলুন। জনসমাবেশ যেখানে বেশি, কম বায়ু চলাচল করে এমন জায়গা, সেখানে যাবেন না। অপর ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা এড়াতে চেষ্টা করুন। খুব কাছাকাছি থেকে কথোপকথন করবেন না। একে অপরের সঙ্গে হ্যান্ডশেক করবেন না। ভুলেও আলিঙ্গন নয়।

২. প্রতিদিন বাড়ির বাইরে গেলে মুখে মাস্ক বাধ্যতামূলকভাবে পরতেই হবে। সময়ের প্রয়োজনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন। শপিং মল, থিয়েটার, সিনেমা হল, পার্ক যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন।

৩. সময়ে সময়ে সছিকভাবে হাত ধোওয়ার অভ্যেস ছাড়বেন না। স্যানিটাইজড করতে একেবারেই ভুলবেন না। কল, দরজার হাতল, লিফটের বাটন, আসবাবের মত জায়গায় ঘন ঘন স্পর্শ করা হয়। সেই সব জায়গাগুলি যাতে হাত না দিতে হয়, তা মাথায় রাখুন।

৪. সুষ্ঠ স্বাস্থ্যবিধি অভ্যাস মেনে চলুন। ঘরে ফিরে এসেই স্নান সেরে নিন। কাশি বা হাঁচি হলে মুখ ঢেকে রাখুন। যদি হঠাত হাঁচি বা কাশির প্রবণতা তৈরি হয়, তাহলে আপনার কনুইতে বা জ্যাকেটের মধ্যে করুন। তাতে সমক্রমণের সম্ভাবনা কমতে পারে। অন্যদের থেকেও যতটা সম্ভব দূরে থাকুন।

৫. পরিবারের কেউ সংক্রমিত হলে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খান। পরিবারের সদস্যদের কাছে একেবারেই ঘেঁষবেন না। বাড়িতে অন্যদের যাতায়াতের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করুন। সংক্রমিত রোগী যাতে বাইরে না বের হোন, তা খেয়াল রাখা দরকার। খুব ভাল হয় যদি একটি আলাদা ঘরে ঘরবন্দি থাকলে।

৬. যদি হাই-রিস্কের মধ্যে পড়েন ও ডায়াবেচিস, উচ্চ রক্তচাপ, হার্ট, কিডনি বা লিভারের সমস্যা সবচেয়ে বেশি যত্নশীল হতে হবে।

৭. যারা দীর্ঘস্থায়ী রোগে ভোগেন, তাদের আশেপাশে থাকা এড়িয়ে চলুন।

৮. বাড়ির প্রত্যেকেই অসুস্থ ব্যক্তির আশেপাশে থাকলে অবশ্যই মাস্ক পরুন। শুধু তাই নয়, যখন কেউ মাস্ক খুলে ফেলেন, তাহলে মাস্কের উপর যাতে স্পর্শ না করেন তা সতর্ক থাকতে হবে। তারপর সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিতে হবে।

৯. দিনে পর্যাপ্ত পরিমাণে সূর্যালোক ও তাজা বাতাস পেতে হবে। নোংলা সুতির কাপড় সঠিকভাবে ধুয়ে পরিষ্কার রাখতে হবে।