AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

ফ্যাট মানেই খারাপ নয়, এই ৬ খাবার রোজ খেলে কোনও ক্ষতি নেই

Healthy Fat Rich Foods: ফ্যাট মানেই স্বাস্থ্যের জন্য খারাপ—এমনটা ভেবে নেওয়ার কোনও কারণ নেই। কার্বোহাইড্রেট ও প্রোটিনের মতোই ফ্যাটও স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য। যে সব খাবারে স্যাচুরেটেড ও ট্রান্স ফ্যাট রয়েছে, সেগুলো খাওয়া উচিত নয়। বরং, স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী পলিআনস্যাচুরেটেড ও মনোআনস্যাচুরেটেড।

ফ্যাট মানেই খারাপ নয়, এই ৬ খাবার রোজ খেলে কোনও ক্ষতি নেই
| Updated on: Feb 11, 2024 | 11:51 AM
Share

ফ্যাট মানেই স্বাস্থ্যের জন্য খারাপ—এমনটা ভেবে নেওয়ার কোনও কারণ নেই। কার্বোহাইড্রেট ও প্রোটিনের মতোই ফ্যাটও স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য। বরং, ফ্যাট হল এক ধরনের মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট যা খাবারের মধ্যে পাওয়া যায়। এই ফ্যাট শরীরে এনার্জি জোগাতে এবং ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্যের গঠনে সাহায্য করে। এগুলো মস্তিষ্কের কার্যকারিতা, প্রদাহ নিয়ন্ত্রণ এবং রক্তকে জমাট বাধা থেকে প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ফ্যাটি অ্যাসিড প্রদান করে এই ফ্যাট। কিন্তু আপনি কোন ধরনের ফ্যাট খাচ্ছেন, সেটার উপর নজর দেওয়া দরকার।

যে সব খাবারে স্যাচুরেটেড ও ট্রান্স ফ্যাট রয়েছে, সেগুলো খাওয়া উচিত নয়। বরং, স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী পলিআনস্যাচুরেটেড ও মনোআনস্যাচুরেটেড। স্বাস্থ্যকর ফ্যাট যে সব খাবারে রয়েছে, সেগুলো খেলে আপনি ফাইবার, ভিটামিন ও মিনারেলও পেয়ে যাবেন। কোষের বৃদ্ধি, মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য গঠন ও হজম স্বাস্থ্যের জন্য জরুরি ফ্যাট। আর এই স্বাস্থ্যকর ফ্যাট কোন কোন খাবারের মধ্যে পাবেন, জেনে রাখুন।

রাইস ব্রান অয়েল: তেলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ফ্যাট থাকে। তাই ভাজাভুজি খাবার এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। কিন্তু তেল ছাড়া রান্না করা সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে আপনি রাইস ব্রান অয়েল বেছে নিতে পারেন। এতে উচ্চ পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এই তেলে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, যা হার্টের জন্য উপকারী।

দেশি ঘি: ঘি মানেই ক্ষতিকারক নয়। ঘিয়ের মধ্যে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান রয়েছে, যা শারীরিক প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও ঘি খেলে ইমিউনিটি বাড়ে এবং ভাল কোলেস্টেরলের মাত্রাও বাড়ে।

অলিভ অয়েল: বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গিয়েছে, অলিভ অয়েলের মধ্যে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট রয়েছে, যা হৃদরোগ, ক্যানসার ও ডায়াবেটিসের মতো দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি কমায়। অলিভ অয়েলে তৈরি করা খাবার খেলে একাধিক রোগের ঝুঁকি কমে।

বাদাম: আখরোট, আমন্ডের মতো বাদামের মধ্যে ভিটামিন ই এবং আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। ২০১৮ সালের একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, বাদাম খেলে কার্ডি‌ওভাস্কুলার রোগের ঝুঁকি কমে। স্ন্যাকস হিসেবে বাদাম খেতে পারেন।

বীজ: কুমড়োর বীজ, চিয়া সিড, ফ্ল্যাক্স সিডের মতো বীজের মধ্যে পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট রয়েছে। এছাড়াও এসব খাবারের মধ্যে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে, যা শারীরিক প্রদাহ কমায়। এছাড়া এসব বীজের মধ্যে ভিটামিন ই, আয়রন ও ম্যাগনেশিয়াম রয়েছে।

নাট বাটার: দুধ থেকে তৈরি মাখনে ফ্যাটের পরিমাণ বেশি থাকে। কিন্তু বাদাম থেকে তৈরি মাখনের মধ্যে মনোআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট  রয়েছে, যা কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়।