এখন কম বয়সিদের মধ্যেও হার্ট অ্যাটাক দেখা যায়। আগে মানুষের ধারণা ছিল যে, ৬০-এর কোটা পূরণ হলেই হৃদরোগের ঝুঁকি দেখা যায়। বিগত কয়েক বছরের লাইফস্টাইল এই ধারণা বদলে দিয়েছে। বরং এখন মানুষ ২০-এর কোটাতেই আক্রান্ত হচ্ছে হৃদরোগে। এর পিছনে দায়ী অস্বাস্থ্যকর লাইফস্টাইল। যদিও কিছুটা সচেতনতা অভাবও রয়েছে। এর বাইরে শীতের সময়ও কিন্তু হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ে, যে কারণে ঠান্ডায় হার্টের যত্ন নেওয়ার কথা বার বার উল্লেখ করেন চিকিৎসকেরা। শীতে জ্বর, সর্দি-কাশি, বাতের ব্যথার সমস্যা লেগেই থাকে, এর পাশাপাশি কোনওভাবেই হৃদরোগের সম্ভাবনা উপেক্ষা করা যায় না।
একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, হঠাৎ আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, হার্ট ফেলিওর, কার্ডিওভাসকুলার সমস্যা বাড়তে থাকে। কারণ বাইরের তাপমাত্রা কম থাকলেও শরীরের তাপমাত্রা বেশি থাকে। আর তখনই স্নায়ুতন্ত্র সক্রিয় হয়ে যায় এবং রক্তনালীগুলো সরু হয়ে যায়। এই অবস্থায় রক্তচাপ হঠাৎ করে বেড়ে গেলে হার্টকে অতিরিক্ত কাজ করতে হয় রক্ত পাম্প করার জন্য। আর তখনই হার্ট অ্যাটাকের সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়াও শীতে বায়ুদূষণ শরীরের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে। এতে শ্বাসকষ্টের সমস্যাও দেখা দেয়।
শীতে হার্ট অ্যাটাক সব সময় জানান দিয়ে আসে না। এক্ষেত্রে আবহাওয়া এবং শরীরের তাপমাত্রার উপর অনেকটা নির্ভর করে। তবে হার্ট অ্যাটাকের বেশ কিছু লক্ষণ রয়েছে যা উপেক্ষা করা উচিত নয়। বুকে ব্যথা, বুকে বাম দিকে চাপ অনুভূত হওয়া, চোয়ালে ব্যথা, বমি-বমি ভাব, মাথা ঘোরা ও ক্লান্তির মতো উপসর্গ দেখা দিলে তৎক্ষণা চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। এছাড়াও শীতে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি এড়াতে এবং শরীরকে সুস্থ রাখতে কিছু লাইফস্টাইল টিপস মেনে চলুন।