HFMD in Kids: তীব্র জ্বর, মুখে ঘা, গলা ব্যথায় কষ্ট পাচ্ছে আপনার সন্তান? টম্যাটো ফ্লু না সাধারণ ফ্লু ? জেনে নিন কী করবেন, কী করবেন না!

TV9 Bangla Digital | Edited By: দীপ্তা দাস

Sep 19, 2022 | 6:50 AM

Symptoms And Treatment: হাম আর পক্সের মতো উপসর্গ নিয়ে হাজির হয় হ্যান্ড, ফুট, অ্যান্ড মাউথ ডিজিজ। কীভাবে রোগটি চিহ্নিত করবেন? কীভাবে চলবে চিকিৎসা? জানুন—

HFMD in Kids: তীব্র জ্বর, মুখে ঘা, গলা ব্যথায় কষ্ট পাচ্ছে আপনার সন্তান? টম্যাটো ফ্লু না সাধারণ ফ্লু ? জেনে নিন কী করবেন, কী করবেন না!

Follow Us

গত কয়েক মাসে শিশুদের মধ্যে হ্যান্ড, ফুট অ্যান্ড মাউথ ডিজিজ (Hand, foot and mouth disease)-এর প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে টম্যাটো ফ্লু-এর (Tomato Flu in India) মাত্রাও। এই ফ্লু আসলে এইচএফএমডি-এর একটি ভ্যারিয়েন্ট। বাচ্চাদের, বিশেষ করে ৫ বছর বয়সের কম বয়সি শিশুর এই রোগ হওয়ার মূল কারণ হল কক্সাকি শ্রেণীর ভাইরাসের সংক্রমণ। এই জাতীয় ভাইরাস আসলে অত্যন্ত সংক্রামক প্রকৃতির। ৫ বছরেরও বড় বাচ্চা ও প্রাপ্তবয়স্কদেরও আক্রমণ করতে পারে এই ভাইরাস। সাধারণত জিভে ঘা, গলায় ব্যথা, জ্বর, ত্বকে ও হাতের তালুতে লাল র‌্যাশ নিয়ে হাজির হতে পারে অসুখটি। তীব্র জ্বর, গলা ব্যথার কারণে বাচ্চা শারীরিকভাবে অস্বস্তি বোধ করে। মুখগহ্বরেও বেরয় লাল র‌্যাশ যা পরে ফোসকার মতো আকার নেয় এবং ঘা হয়ে যায়। ত্বকে র‌্যাশ বেরয় এর ১ থেকে ২ দিন পর। র‌্যাশ সমতল হতে পারে আবার লাল বর্ণেরও গোটা আকারেও বেরতে পারে। আবার ফোসকার মতো আকারও নিতে পারে। হাতের তালু, পায়ের পাতা, হাঁটু, কনুই, নিতম্ব ও যৌনাঙ্গেও র‌্যাশ দেখা দিতে পারে— জানচ্ছেন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞরা।

সংক্রামিত বাচ্চার হাঁচি-কাশির মাধ্যমে বেরনো ড্রপলেট, নাকের জল, র‌্যাশ থেকে বেরনো রস, এবং বাচ্চার মলেও ভাইরাস থাকতে পারে ও সেখান থেকেও ছড়াতে পারে সুস্থ বাচ্চার দেহে। তাই সংক্রামিত বাচ্চার খুব কাছাকাছি অন্য কোনও সুস্থ বাচ্চা থাকলে তারও দ্রুত সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে। অসুস্থতার প্রথম সপ্তাহে সংক্রমণ ছড়ানোর বেশি আশঙ্কা থাকে। প্রাপ্তবয়স্কদের কোনও উপসর্গ নাও থাকতে পারে, তবে সংক্রমণ ছড়ানোর ক্ষমতা রাখেন তাঁরা।

সংক্রমণ প্রতিরোধে কর্তব্য

স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাই রোগ প্রতিরোধের একমাত্র উপায়। অর্থাৎ বাচ্চার খাবার খাওয়ার আগে হাত ধোওয়া খুব গুরত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়। এছাড়া বাচ্চাদের মলত্যাগের জায়গা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখাও জরুরি। সাধারণত দেখা যায় স্কুল থেকেই এই ধরনের সংক্রমণ বেশি করে ছড়ায়। তাই বাচ্চার অসুখ ধরা পড়লে তাকে স্কুলে পাঠানো চলবে না অন্তত ৭ থেকে ৯ দিন।

চিকিৎসা

সাতদিনের মধ্যে রোগ নিজের থেকেই সেরে যায়। তাই বাচ্চার এইচএফএমডি হলে প্যানিক করবেন না। আলাদা করে এই ভাইরাসের জন্য কোনও ওষুধ নেই। তবে উপসর্গ কমানোর জন্য কিছু ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে—

• জ্বর এলে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো প্যারাসিটামল খাওয়ান।

• মুখগহ্বরের ঘায়ের জন্য চিকিযসকের পরামর্শ মতো মাউথ ওয়াশ বা স্প্রে ব্যবহার করতে পারেন।

• বাচ্চার মুখে ঘায়ের জন্য জল পান করতে পারে না বা খাবারও খেতে পারে না। সেক্ষেত্রে ডিহাইড্রেশন হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই খেয়াল রাখুন বাচ্চা যেন পর্যাপ্ত মাত্রায় জল পান করে। খাওয়াতে পারেন ফলের রস।

• শক্ত খাবার খেতে সমস্যা হলে সন্তানকে তরল খাদ্য খাওয়ান।

কখন বুঝবেন সমস্যা জটিল?

• সাধারণত হ্যান্ড, ফুট অ্যান্ড মাউথ ডিজিজ-এর সমস্যা গুরুতর আকার নেয় না। তবে কিছু উপসর্গ দেখা দিলে বাচ্চাকে হাসপাতালে ভর্তি করতেও হতে পারে। বিশেষ করে বাচ্চা খাবার ও জল খেতে পারে না বলে অনেকের ডিহাইড্রেশন হয়ে যায়। এমন ক্ষেত্রে বাচ্চাকে হাসপাতালে নিয়ে যান। খেয়াল রাখুন ও নেতিয়ে পড়েছে কি না। এমন ক্ষেত্রে অবশ্যই বাচ্চাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।

• ওষুধ দেওয়ার ৪৮ ঘণ্টা পরেও জ্বর না কমলে হাসপাতালে যোগাযোগ করুন।

• শিশুর মধ্যে বিভ্রান্তি দেখা দিলে, খিঁচুনি তৈরি হলে দ্রুত চিকিৎসাকেন্দ্রে নিয়ে যান বাচ্চাকে।

কী করবেন কী করবেন না?

• আতঙ্কগ্রস্ত হবেন না।

• বাচ্চার অসুখ শুরুর পরে অন্তত ৭ দিন আইসোলেশনে রাখুন। মোটামুটি ৯ থেকে ১০ দিন স্কুলে না পাঠানোই ভালো।.

• জ্বর মাপুন নিয়মিত সময়ের অন্তরে।

• জল পান করান সময়ে সময়ে।

• সহজপাচ্য ও গলা খাবার খাওয়ান।

• বাইরের কোনও খাবার খাওয়াবেন না। বাড়িতে তৈরি খাবার খাওয়ান।

• বাচ্চার ব্যবহার করা জিনিসপত্র ভালোভাবে পরিষ্কার করুন।

• চিকিৎসকের সঙ্গে নিয়মিত পরামর্শ করুন।

Next Article