Uric Acid: ইউরিক অ্যাসিড থেকে হতে পারে কিডনির পাথরও, সুস্থ থাকবেন কীভাবে?

TV9 Bangla Digital | Edited By: megha

Jan 14, 2023 | 1:39 PM

Home Remedies: হাড়ের পাশাপাশি ইউরিক অ্যাসিড কিডনির উপরও প্রভাব ফেলে। অবস্থার বাড়াবাড়ি হলে কিডনিতে পাথরের সমস্যা দেখা দেয়।

Uric Acid: ইউরিক অ্যাসিড থেকে হতে পারে কিডনির পাথরও, সুস্থ থাকবেন কীভাবে?

Follow Us

ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা এখন ঘরে ঘরে। প্রয়োজনের চেয়ে বেশি প্রোটিনজাতীয় খাবার খেলে এই ধরনের সমস্যা বাড়বেই। ইউরিক অ্যাসিড বাড়লে পায়ের বুড়ো আঙুল, গোড়ালিতে ব্যথা, গাঁটের ব্যথা ইত্যাদি লক্ষণ শরীরে প্রকাশ পায়। চিকিৎসা ভাষায় এই রোগকে হাইপারইউরিসেমিয়া বলা হয়। ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে গেলে গাঁটের ব্যথা হবেই। শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়লে জয়েন্টে ব্যথার পাশাপাশি পিঠের নীচের দিকে, তলপেটেও ব্যথা হয়। এই সব উপসর্গ একেবারেই এড়িয়ে যাওয়া উচিত নয়।

কিডনির উপর ইউরিক অ্যাসিডের প্রভাব-

হাড়ের পাশাপাশি ইউরিক অ্যাসিড কিডনির উপরও প্রভাব ফেলে। অবস্থার বাড়াবাড়ি হলে কিডনিতে পাথরের সমস্যা দেখা দেয়। শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে গেলে ঘন ঘন প্রস্রাবের সমস্যা দেখা দেয়। এক্ষেত্রে প্রস্রাব নির্গত করার সময় অনেকেই জ্বালাভাব অনুভব করেন। অনেকের ক্ষেত্রে প্রস্রাবে বিশ্রী গন্ধ দেখা দেয়। প্রস্রাবের মাধ্যমে কিডনি অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড শরীর থেকে বের করে দিতে চায়। যখন প্রস্রাবের সঙ্গে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা যায় তখন ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশনের সমস্যা এবং কিডনিতে পাথরের সমস্যা দেখা দেয়। যদি এসব সমস্যা আপনি এড়াতে চান তাহলে খাওয়া-দাওয়ায় রাশ টানতেই হবে।

অ্যালকোহল থেকে দূরে রাখুন-

ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বাড়লে অ্যালকোহল থেকে দূরে থাকা উচিত। তাপমাত্রা কমলে মানুষের মধ্যে মদ্যপানের প্রবণতা দেখা দেয়। কিন্তু মদ্যপানে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে যায়। তাই সুস্থ থাকলে আপনাকে অ্যালকোহল এড়িয়ে চলতেই হবে।

হলুদ যখন ইউরিক অ্যাসিডের ওষুধ-

শীতে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে আপনি হলুদের সাহায্য নিতে পারেন। হলুদের মধ্যে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টিবায়োটিক উপাদান রয়েছে। নিয়মিত হলুদ খেলে আপনি ব্যথা-যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। গরম দুধে হলুদ মিশিয়ে পান করলে উপকার পাবেন।

অ্যাপেল সাইডার ভিনিগারের সাহায্য নিন-

ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে গেলে অ্যাপেল সাইডার ভিনিগারের সাহায্য নিতে পারেন। এতে আপনার ডায়াবেটিস, লিভারের সমস্যা, হার্টের সমস্যা ও ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এক গ্লাস জলে ২ চামচ অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার মিশিয়ে পান করুন। দেখবেন, ২১ দিনের মধ্যে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।

Next Article