Basak pata: হঠাৎ ঠাণ্ডা লেগে কফ জমেছে বুকে? বাসক পাতাতেই লুকিয়ে সমাধান!
Health Tips: শ্বাসকষ্ট বা হাঁপানির সমস্যায় খুব ভাল কাজে লাগে বাসক পাতা। রোজ নিয়ম করে খেতে পারলে একাধিক উপকার পাবেন
গরম থেকে হঠাৎ করেই তাপমাত্রার পতন হয়েছে। কালী পুজোর পর থেকেই হিমেল বাতাসে টের পাওয়া যাচ্ছিল শীতের আমেজ। হাওয়া অফিস জানান দিয়েছে আর কয়েকদিনের মধ্যেই জাঁকিয়ে পড়তে চলেছে শীত। কলকাতা ও শহরতলি এলাকায় ভোরের দিকে এবং রাত বাড়লে ঠান্ডার অনুভূতি বেশ ভালই টের পাওয়া যাচ্ছে। তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় দুই ডিগ্রি কমই চলছে এখন। আগামী চার-পাঁচ দিনও একইরকম তাপমাত্রা থাকবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া অফিস। আগামী কয়েকদিন তাপমাত্রার খুব একটা হেরফের হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
সর্দি কাশির সমস্যায় সেই আদ্যিকাল থেকে ব্যবহার করা হচ্ছে বাসক পাতার রস। এখনও আর্য়ুবেদেও ব্যবহার করা হয় এই পাতার। বাসক পাতা স্বাদে তেতো। বাসক পাতার একাধিক ওষুধি গুণও রয়েছে। বাসক পাতা হল এমন একটি ভেষজ উদ্ভিদ যার শুধুমাত্র পাতাই নয়, মূল, ফুল, এবং আরও নানা অংশ ওষুধ তৈরির কাজে লাগে। বহুদিন ধরে যদি কফ, সর্দির সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে তা সারাতেও কাজে লাগে বাসক পাতা। বাসক পাতায় ভ্যাসিসিন নামের একটি প্রাকৃতিক উপাদান রয়েছে। এমনকী যাঁদের ব্রঙ্কাইটিসের সমস্যা থাকে তারাও যদি নিয়ম করে বাসক পাতা খান তাহলে উপকার পাবেন।
সর্দি-কাশির সমস্যা রুখে দিতে খুবই ভাল কাজ করে পাসক পাতা। যাঁদের ঠাণ্ডা লাগার ধাত রয়েছে তাঁরা রোজ সকালে ৪ টে বাসক পাতা ভাল করে ধুয়ে নিয়ে বেটে সেই পাতার রস করে খেতে পারেন। এবার এর সঙ্গে মিশিয়ে দিতে পারেন সামান্য মধু। রোজ সকালে খালি পেটে খেলে কফ-সর্দির সমস্যা অনেকটাই দূর হবে।
লকডাউন পরবর্তী সময়ে বেড়েছে টিবির সমস্যা। প্রচুর মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন টিবিতে। এক্ষেত্রেও কাজে দেয় বাসক পাতা। বাসক পাতার মধ্যে রয়েছে অ্যানি্টি-মাইক্রোবিয়াল বেশ কিছু উপাদান। যা ব্রঙ্কাইটিস, হুপিং কাশির সমস্যা দূর করে।
বাতের ব্যথা রুখে দিতেও কাজে আসে বাসক পাতা। বাসক পাতার মধ্যে রয়েছে আরট্রাইটিস, যা গেঁটো বাত সহজে নিরাময় করতে সাহায্য করে। বাসক পাতা বেটে তার সঙ্গে হলুদ, চুন মিশিয়ে লাগাতে পারলেও এই ব্যথা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে থাকে।
অনেকেরই মুখে ব্রণর সমস্যা হয়। এই সমস্যার প্রধান কারণ হল পেট পরিষ্কার না হওয়া। বাসক পাতা নিয়মিত খাওয়া হলে রক্ত পরিষ্কার থাকে। শুধু তাই নয়, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রন করতে এবং রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতেও সাহায্য করে।