বিয়েবাড়িতে খেতে বসে একাই এক বালতি খাসি মাংস কিংবা ৪০ টা রসগোল্লা সাঁটিয়ে ফেলেছে এসব গল্প এখন অতীত। এককালে বাঙালি নাকি লোহাও হজম করে ফেলতে পারত- এরকম বহু উদাহরণ রয়েছে গল্প উপন্যাসের পাতায়। তবে পেটরোগা হিসেবে চিরকালই কিন্তু খ্যাতি রয়েছে বাঙালির। সামান্য তেল-ঝালেই গ্যাস-অম্বলের সমস্যা চেপে বসে। তবুও খাওয়ার লোভ ছাড়তে পারে না। আর খাওয়ার পরি শরীরে জেঁকে বসে একাধিক অস্বস্তি। কারোর খাওয়ার পরই বুকজ্বালা করে। কারোর পেট জ্বালা। তারপর চোঁয়া ঢেকুর, খাওয়ার পর দিনভর চলতে থাকে সেই অস্বস্তি। তবে পেটের রোগ দিনের পর দিন ফেলে রাখা ঠিক নয়। কারণ সেখান থেকে সমস্যা জটিল হতে পারে। আর এই পেটের রোগ গ্যাস-অম্বলও কিন্তু বেশ কিছু রোগের উপসর্গও।
গ্যাস বা অম্বল হলে অনেকেই মুঠো মুঠো অ্যান্টাসিড খান। আবার বেশ কিছু বাড়ি এমনও আছে যেখানে মাসকাবারির তালিকায় ঢুকে পড়েছে গ্যাস-হজমের ওষুধও। সমস্যা হলে ওষুধ খেতে হবে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে কিন্তু নিজের থেকে মুঠো মুঠো অ্যান্টাসিড একেবারেই খাবেন না। এতে শরীরের ক্ষতি হয়। অন্ত্রে আলসারের সম্ভাবনা বেড়ে যায় অনেকখানি। পরিবর্তে মেনে চলুন এই সব আর্য়ুবেদ টোটকা। এই সব প্রাচীন টোটকায় শরীর ভেতর থেকে থাকবে সুস্থ, সঙ্গে দূর হবে অন্য সব সমস্যাও। সেই সঙ্গে পর্যাপ্ত ঘুমও কিন্তু জরুরি। ঘুম কম হলে শরীরে জাঁকিয়ে বসে একাধিক সমস্যা।
পেটের সমস্যার সাধারণ লক্ষণ
কিছু খেলেই অ্যাসিডিটি
গলা, বুক জ্বালা
সামান্যতেই গ্যাস হয়ে যাওয়া
সব সময় পেট ফেঁপে থাকা, পেট ভার হয়ে থাকা। ক্ষুধা মন্দা
এক্ষেত্রে আপনি যা কিছু মেনে চলবেন
রোজ সকালে উঠে খালি পেটে দুগ্লাস ইষদুষ্ণ জল কান। এর ১৫ মিনিট পর কাঁচা হলুদ, আদা আর সামান্য আখের গুড় চিবিয়ে খান।
এককুচি আদা আর বিটনুন একসঙ্গে খেতে পারেন। এরপর একগ্লাস জল খান। এতেও কিন্তু হজমের সমস্যা দূর হয়। বিটনুনের পরিবর্তে খেতে পারেন পিংক সল্ট।
রোজ দুপুরে খাবার পরে বাড়িতে পাতা একবাটি টকদই খান। টকদই আমাদের শরীরের জন্য খুব উপকারী। সেই সঙ্গে হজমেরও সহায়ক।
খাবার সময় অন্য কাজ নয়। মন দিয়ে খাবার খান। এতে খাবার ভাল ভাবে চিবিয়ে খাওয়া হবে।
কাঁচা আর পাকা কোনও কিছু একসঙ্গে নয়। অর্থাৎ চাটনি কিংবা আচারের সঙ্গে পাকা আম নয়। এমনকী শেষ পাতে চাটনি-পায়েসও একসঙ্গে খাওয়া ঠিক নয়।
রোজ খাওয়ার পর দিরে আর হিং জলে মিশিয়ে খেতে পারেন। এতে হজম হয় ভাল, সেই সঙ্গে কমে পেটের সমস্যাও।
বাড়িতে নুন-লেবু মাখি জোয়ান জিরিয়ে রাখুন। এই জোয়ান সমস্যা হলেই ইষদুষ্ণ জলের সঙ্গে খান। এতেও কিন্তু ভাল কাজ হয়।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।