Vitamin D rich food: বর্ষায় শরীরে দেখা দেয় ভিটামিন ডি-র ঘাটতি, এই মরশুমে কী খাবেন?
Vitamin D for Health: শরীরে ক্যালশিয়াম ও ফসফরাস শোষণ থেকে শুরু করে দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলায় বিশেষ ভূমিকা পালন করে ভিটামিন ডি। হাড় ও দাঁতের স্বাস্থ্য গঠনে, ত্বকের সমস্যা দূর করতে, ক্যানসার প্রতিরোধে, হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখার ক্ষেত্রে ভিটামিন ডি অপরিহার্য। বর্ষাকালে দেহে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি খুব কমন।
রোদের দেখা নেই। সারাদিন ধরে বৃষ্টি পড়েই চলেছে। এই মরশুমে জ্বর-সর্দি, ইনফেকশন খুব কমন বিষয়। কিন্তু যে সমস্যা এই মরশুমে বেড়ে যায় তা হল ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি। শরীরে ক্যালশিয়াম ও ফসফরাস শোষণ থেকে শুরু করে দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলায় বিশেষ ভূমিকা পালন করে ভিটামিন ডি। হাড় ও দাঁতের স্বাস্থ্য গঠনে, ত্বকের সমস্যা দূর করতে, ক্যানসার প্রতিরোধে, হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখার ক্ষেত্রে ভিটামিন ডি অপরিহার্য। বর্ষাকালে দেহে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি খুব কমন। যেহেতু সূর্যালোকের অভাবে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি তৈরি হয়, তাই এই মরশুমে একটু সচেতন থাকা দরকার। ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি থাকলে সাপ্লিমেন্ট খাওয়ার সবসময় দরকার নেই। এই মরশুমে ডায়েটে কয়েকটি খাবার রাখতে পারেন।
দুগ্ধজাত পণ্য: দুগ্ধজাত খাবারে ভিটামিন ডি থাকে। দুধ, দই, ছানা, লস্যি, চিজের মতো খাবারে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। এগুলো দেহে খেলে হাড়ের স্বাস্থ্য ভাল থাকে।
ডিম: পুষ্টিগুণে ভরপুর ডিম। ডিমের কুসুমে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি বেশি। একটা ডিমের কুসুমে প্রায় ৩৭ আইইউ ভিটামিন ডি রয়েছে। রোজ একটা করে ডিম খেলে দেহে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি তৈরি হবে না।
মাছ: বর্ষাকালে মাছ খেলে দেহে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি হবে না। সামুদ্রিক মাছের মধ্যে এই পুষ্টি সহজেই পাওয়া যায়। এছাড়াও মাছের ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড পাওয়া যায়। এই পুষ্টি দেহে একাধিক রোগের ঝুঁকি এড়াতে সাহায্য করে।
মাশরুম: অনেকেই মাশরুম খেতে চান না। কিন্তু মাশরুমের মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। এক কাপ মাশরুমে প্রায় ১৩৬ আইইউ ভিটামিন ডি পাওয়া যায়।
ওটস: হাতের কাছে যদি কোনও ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার না থাকে, তাহলে ওটস খান। ওটসেও কিন্তু পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। ওটসের সঙ্গে আমন্ড, আখরোট, চিয়া সিড, খেজুরের মতো শুকনো ফল ও বাদাম মিশিয়ে খেতে পারেন। ওটসের তৈরি যে কোনও খাবারই স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।