Diabetes: কাঁধে ব্যথা, হাত নাড়াতে অসুবিধে? চিকিৎসা পরিভাষায় ফ্রোজেন শোল্ডার বললেও একবার সুগার চেক করতে ভুলবেন না…

TV9 Bangla Digital | Edited By: রেশমী প্রামাণিক

Jun 17, 2022 | 10:55 PM

Frozen Shoulder: ফ্রোজেন শোল্ডারের সমস্যা হলে প্রথমেই অপারেশনের দিকে যাবেন না। বরং চেষ্টা করুন বিভিন্ন থেরাপির সাহায্য নিতে...

Diabetes: কাঁধে ব্যথা, হাত নাড়াতে অসুবিধে? চিকিৎসা পরিভাষায় ফ্রোজেন শোল্ডার বললেও একবার সুগার চেক করতে ভুলবেন না...
সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতেই হবে...

Follow Us

হঠাৎ করে কাঁধে প্রবল ব্যথা, পেশি শক্ত হয়ে যাচ্ছে , কাঁধ থেকে হাত পর্যন্ত অসহ্য ব্যথা, কোনও ভাবেই হাত তুলতে পারছেন না- এমন সব লক্ষণ থাকলে ফ্রোজেন শোল্ডার বলেই ধরে নেওয়া হয়। একসময় এই সমস্যা ক্রীড়াবিদদের মধ্যে বেশি দেখা গেলেও বর্তমানে অধিকাংশ মানুষই এই সমস্যার ভুক্তভোগী। একটানা বসে কাজ করা, কোনও রকম শরীরচর্চা কিংবা বডি মুভমেন্ট না হলে সেখান থেকেই কিন্তু আসে এই সমস্যা। বিজ্ঞানের পরিভাষায় বিষয়টির নাম ‘অ্যাডেসিভ ক্যাপসুলাইটিস’। এই সমস্যা হলে কাঁধের চারপাশের জয়েন্টের চারপাশে সংযোগকারী টিস্যু ফুলে যায়। সেই সঙ্গে শক্তও হয়ে যায়। যদিও এই ফ্রোজেন শোল্ডারের নেপথ্যে নানা কারণ রয়েছে। বয়েস বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ে এই রোগের প্রকোপ। পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের মধ্যে সমস্যা বেশি হয়। আর এই সমস্যায় নিয়মিত ভাবে ব্যায়াম করতেই হবে। পাশাপাশি নজর রাখুন ব্লাড সুগারেও।

সম্প্রতি বেশ কিছু রিসার্চ সামনে এসেছে। আর সেই সব রিসার্চ বলছে যাঁদের রক্তে শর্করার পরিমাণ বেশি তাঁদের ক্ষেত্রেও বাড়ে ফ্রোজেন শোল্ডারের সম্ভাবনা। রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়লে কোলাজেন তৈরি হয়। কোলাজেন শরীরের গুরুত্বপূর্ণ প্রোটিন, যা শরীরে পেশির মধ্যে সংযোগ রক্ষা করে। শর্করা আর কোলাজেন একসঙ্গে মিশে গেলে তখন একটি আঠালো চটচটে পদার্থ তৈরি হয়। যে কারণে কাঁধ শক্ত হয়ে যায়। এর ফলে কাঁধ শক্ত হয়ে যায়। এর ফলে তীব্র ব্যথা হয়। পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের মধ্যে এই সমস্যা অনেক বেশি হয়। তবে কাঁধের ব্যথা, হাত নাড়াতে না পারা এসব থেকেই তা শনাক্ত করা যায়। ওষুধ, ব্যায়াম আর চিকিৎসকের পরামর্শে এই সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় মাত্র। একেবারে সেরে যাবে এরকম কিন্তু নয়। যাঁদের রক্তে শর্করার পরিমাণ বেশি তাঁরাও পড়তে পারেন এই সমস্যায়। আর তাই সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখাটাও কিন্তু জরুরি।

কী ভাবে প্রতিরোধ করবেন 

ফ্রোজেন শোল্ডারের সমস্যা হলে প্রথমেই অপারেশনের দিকে যাবেন না। বরং চেষ্টা করুন বিভিন্ন থেরাপির সাহায্য নিতে। বেশি বাড়াবাড়ি হলে স্টেরয়েড দেওয়া হয়। নইলে নন স্টেরয়েড ওষুধ আর বিভিন্ন অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি ওষুধ খেতে হয়। ডায়াবেটিস থাকলে স্টেরয়েডের ইঞ্জেকশন নেওয়াটাও বিপজ্জনক। আর তাই প্রথমেই চেষ্টা করুন সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে। নিয়মিত ভাবে ব্যায়াম করতেই হবে। গাদা গাদা পেইনকিলার খাওয়া কোনও সমাধান নয়। কোনও ভাবেই যদি সমস্যার সমাধান না হয় তাহলে শেষ অস্ত্র অপারেশন। কিন্তু অপারেশন না করতে হলেই ভাল।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।

Next Article