বর্তমান সময়ে লাইফস্টাইল ডিজ়িজে নাম লিখিয়েছে কোলেস্টেরল (Cholesterol)। শরীরে দু’ ধরনের কোলেস্টেরল থাকে, এইচডিএল এবং এলডিএল। সমস্যা তখনই হয় যখন শরীরে এই এলডিএল বা খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায়। কিন্তু কোলেস্টেরল মানেই যে খারাপ, এই বস্তাপচা ধারণা মনে থেকে বার করে দেওয়া দরকার। কোলেস্টেরল হল রক্তে থাকা মোম জাতীয় পদার্থ। খারাপ কোলেস্টেরল বেড়ে গেলে এটি ধমনীতে জমা হতে থাকে এবং তখনই দেখা দেয় হার্টের সমস্যা। কিন্তু কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যাওয়া থেকে হার্টের সমস্যা দেখা দেওয়ার মাঝে একাধিক উপসর্গ দেখা দেয় শরীরে, যেগুলো উপেক্ষা করা উচিত নয়।
আপনার শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি হোক বা না হোক, কিছু সাধারণ লক্ষণ দেখা যায়। এমন পরিস্থিতিতে, ব্যক্তির অবস্থা যাই হোক না কেন, উপসর্গগুলির মধ্যে বমি বমি ভাব, অসাড়তা, ক্লান্তি, উচ্চ রক্তচাপ, শ্বাস নিতে অসুবিধা, বুকে ব্যথা বা অ্যানজাইটি ইত্যাদি দেখা দেয়। উচ্চ কোলেস্টেরল সম্পর্কে গুরুতর বিষয় হল যে এর কোনও প্রাথমিক লক্ষণ নেই। অতএব, একজন ব্যক্তি সাধারণত উচ্চ কোলেস্টেরলের অবস্থা সম্পর্কে খুব দেরিতে জানতে পারেন। কিন্তু এরপরও এমনই ৩টি লক্ষণ রয়েছে যা উপেক্ষা করা উচিত নয়-
হাতে ব্যথা- অনেক সময় মনে হয়, অতিরিক্ত কাজ করার জন্য হাতে ব্যথা হচ্ছে। কিন্তু এই উপসর্গকে হালকাভাবে নেবেন না। আপনি যদি প্রায়শই হাতের ব্যথায় ভোগেন তাহলে এটি এলডিএল কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার লক্ষণ। আসলে, যখন আমাদের ধমনীর ভিতরের স্তরে চর্বি জমে, এটি সেলুলার বর্জ্য, চর্বিযুক্ত পদার্থ এবং ক্যালসিয়াম দিয়ে তৈরি করে। এর ফলে রক্ত চলাচল বাধাগ্রস্ত হতে থাকে। এর ফলে এথেরোস্ক্লেরোসিসের মতো অবস্থা দেখা দিতে শুরু করে। তাই এই উপসর্গকে দেখা দিলেই চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
ত্বকে দাগ- হঠাৎ করে ত্বকের কোনও পরিবর্তন দেখতে শুরু করছেন? চোখের নীচে হলুদ দাগ দেখা যাচ্ছে? এটা কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধির কারণে হতে পারে। এছাড়াও হাতের তালু এবং পায়ের নীচের অংশে কোনও ফাইন লাইন দেখতে পারেন, তাহলেও এটা কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধির লক্ষণ হতে পারে।
চোখের সমস্যা- আপনি যদি মনে করেন দৃষ্টিশক্তি সম্পর্কিত কোনও কারণে চোখের সমস্যা হচ্ছে তা হলে আপনি ভুলও হতে পারেন। অনেক সময় এই চোখের সমস্যার পিছনে এলডিএল মাত্রার বৃদ্ধিও হতে পারে। অনেক সময় এই উপসর্গ হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।