TV9 Bangla Digital | Edited By: রেশমী প্রামাণিক
Sep 06, 2022 | 8:17 AM
অ্যাসিডিটির সমস্যা খুবই সাধারণ। পাকস্থলিতে খাদ্য হজমের জন্য প্রয়োজনীয় অ্যাসিড তৈরি হয়। তৈরি হয় পিত্তও। কিন্তু এই পিত্ত যখন বেশি পরিমাণে তৈরি হয় তখনই হয় হাইপারঅ্যাসিডিটির সমস্যা। এই সমস্যাকে অ্যাসিড রিফ্লাক্সও বলা হয়। আর এমন সমস্যায় অনেকেই ভোগেন।
অ্যাসিড মানেই শরীরে অস্বস্তি। বুকে জ্বালা ভাব। গলা জ্বালা, পেট জ্বালা, পিঠের দিকে ব্যথা। পেট ফেঁপে থাকা, বমি, নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ, সকালে দাঁত টকে যাওয়া-সহ একাধিক সমস্যা। এছাড়াও শরীরে থাকে ক্লান্তি ভাব। অনেকের ক্ষেত্রে মাথা ঘোরা এবং শরীরের বিভিন্ন জায়গায় হঠাৎ চুলকানির সমস্যাও হয়।
হাইপার অ্যাসিডিটির মূল কারণ হল হজম ক্ষমতা কমে যাওয়া, দুর্বল অন্ত্র স্বাস্থ্য। অতিরিক্ত মশলাদার খাবার, গরম মশলা, ফাস্টফুড, তেলেভাজা, প্রয়োজনের তুলনায় কম জল খেলে এই সমস্যা হবেই। অনেকেই অ্যাসিডিটি হলে চুমুক দেন কোল্ড ড্রিংকে। যা আরও বেশি ক্ষতিকারক। হাইপার অ্যাসিডিটির কারণ আমাদের খাদ্যাভ্যাস। রোজকার খাবারের তালিকায় এমন কিছু খাবার থাকে যেখান থেকেই এই সমস্যা হয় অনেক বেশি।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আমারাই খাওয়ার সময় ভুল করে ফেলি। জমিয়ে খাওয়া-দাওয়ান মানেই সেখানে দই-মাটন একসঙ্গে থাকে। যা কিন্তু ভীষণ ভুল। দই আর মাটন একসঙ্গে খেলে গ্যাস হবেই। বিশেষত তা যদি হয় মিষ্টি দই। কারণ দুটোই গুরোপাক এবং তা হজম হতেও অনেক বেশি সময় লেগে যায়। ফলে দুধের কোনও খাবার আর মাটন ভুলেও একসঙ্গে খাবেন না।
তেমনই দুধ ভাতের সঙ্গে কখনও মাছভাজা খাবেন না। কিংবা মিল্ক শেকের সঙ্গে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই বা কোনও চাটও কিন্তু একেবারেই চলবে না। খাবারের এই ভুল সংমিশ্রণ থেকেই হয় অ্যাসিডিটির মত সমস্যা। আবার বাসি খাবারও খাওয়া ঠিক নয়। কারণ এখান থেকে হতে পারে বিষক্রিয়ার সম্ভাবনা। খাবার ভাল আছে কিনা দেখে যাতাই করে তবেই খান।
অল্পেই অ্যাসিডিটির সমস্যা হলে খাবার আর পানীয়ের ব্যাপারে সতর্ক থাকতেই হবে। মশলাদার খাবার একেবারেই চলবে না। ঝাল কম খেতে হবে। কম তেলে রান্না করা খাবার খান। ফল, শাকসবজি এসব বেশি করে খেতে হবে। ঘি-মাখন, মিষ্টি পানীয়, খালি পেটে কফি, প্যাকেট করা খাবার, কোল্ড ড্রিংক এসব একেবারেই চলবে না।