গত সপ্তাহে কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ ( Covid positive) আসার পর থেকে আপাতত ৭ দিন গৃহবন্দি (Home isolation) মিমলি। এর আগে করোনার সংক্রমণ নিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে নানা ইয়ার্কি ঠাট্টা করলেও এবারে যেন একটু বেশিই ভয় পেয়ে গিয়েছে সে। রিপোর্ট পজিটিভ আসার পর থেকেই তার মনে একাধিক চিন্তা ঘুরছে। সেই তালিকায় বয়স্ক মা-বাবা যেমন আছেন তেমনই আছে কোভিড বিধিও। যদিও ডেল্টার তুলনায় ওমিক্রনের ( Omicron) রোগ-উপসর্গ অনেকটাই হালকা। শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা কিংবা শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাওয়ার মত কোনও সমস্যা নেই। বেশিরভাগের ক্ষেত্রেই জ্বর-সর্দি-কাশি। আর তাঁরা কিন্তু সকলেই বাড়িতে থেকে সুস্থ হয়ে উঠছেন। হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা করাতে ইচ্ছে এরকম সংখ্যাটা নেহাতই কম।
যাঁদের অন্যান্য কোনও শারীরিক জটিলতা রয়েছে কিংবা যাদের টিকার কোভিড টিকার কোনও ডোজই নেওয়া নেই তাদের মধ্যেই সমস্যা কিন্তু সবচেয়ে বেশি। তাদেরই একমাত্র অক্সিজেন সাপোর্টে রাখতে হয়েছিল। তবে পরিবার-আত্মীয় থেকে দূরে থেকে, সারাদিন একা একটা ঘরে বন্দি থাকতে কার আর ভাল লাগে! সকলেই চান তাঁর নিজের মত করে ঘুরে বেড়াতে। কিন্তু সবসময় তা মোটেই সম্ভব নয়। পরিস্থিতি আমাদের সকলকে মেনে নিতেই হবে। আর সেইভাবেই কিন্তু নিজেকে মানিয়ে নিতে হবে।
এবার যাঁরা কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন তাদের মধ্যে বেশিরভাগই বাড়িতে থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন। কোভিডের উপসর্গ তেমন কিছু থাকছে না কিন্তু কোভিড থেকে সেরে ওঠার পর একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিচ্ছে। সেখানে কাশি, কফ থেকে শুরু করে হজমের সমস্যা, পেটে ব্যথা এসবও কিন্তু রয়েছে। বেশ্রভাগই কিন্তু বছরের শুরুতে কোভিড আক্রান্ত হয়েছিলেন। কোভিডের আইসোলেশন কাটলেও কাটছে না ক্লান্তি। সেই সঙ্গে থেকেই যাচ্ছে পেটের সমস্যা। একটানা বসে কাজ করা সব সময় সম্ভবপর হচ্ছে না।
সব মিলিয়ে মানুষ যেন নিজের উপরই বিরক্ত। এসব বাদ দিয়েও প্রত্যেকেরই কর্মক্ষেত্রে নিজস্ব কিছু চাপ তো আছেই। কোভিড থেকে সেরে ওঠার পর অনেকেই এই অ্যাংজইটি, ডিপ্রেশনের সমস্যায় ভুগছেন। কিন্তু নিজে এসব নিয়ে যত ভেতরে ভেতরে বিরক্ত থাকবেন তত কিন্তু আপনারই ক্ষতি। আর তাই যে সব জিনিস মেনে চলবেন-
কোভিড যাবে, কোভিড আসবে। অল্প বিস্তর হলেও মানুষ আক্রান্ত হবেন। কিন্তু এর সঙ্গে আমাদের কোভিড বিধি ভুলে গেলে চলবে না। মাস্ক, স্যানিটাইজার , সামাজিক দূরত্ব কিন্তু সব সময় বজায় রাখতে হবে। ওয়ার্ক ফ্রম হোমেই আস্তে আস্তে অভ্যস্ত হতে হবে সকলকেই। তাই এই নিয়ে দুঃখ বা মন খারাপ করলে চলবে না। শরীরকে সময় দিয়ে ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠতে হবে।
এই সময় নিজের যত্ন নেওয়া খুবই জরুরি। খুব কষ্ট করে কোনও কাজ করতে হবে এমন কিন্তু নয়। শরীরের ক্ষমতা বুঝে কাজ করুন। নিজের প্রতি বিশেষ খেয়াল রাখুন। প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খান, সময়ে ফল খান। শরীর ভেতর থেকে সুস্থ হলেই কিন্তু মন ভাল থাকবে।
প্রিয় মানুষ, বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হচ্ছে না বলে মন থারাপ করে বসে থাকবেন না। বরং সকলকে সঙ্গে নিয়ে ভিডিয়ো কলের প্ল্যান করুন। এতে সকলেরই ভাল লাগবে।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
আরও পড়ুন: Long term COVID-19: কোভিডের দীর্ঘমেয়াদি এই সব সমস্যা বরাবরই থাকে অন্তরালে…