Late Pregnancy: বয়স ৫০ পেরোলেও মা হওয়া যায়? কী ভাবে, কতটা ঝুঁকি রয়েছে?

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়ম কৃষ্ণ দেব

Oct 07, 2024 | 5:58 PM

Late Pregnancy: আসলে ৩৫ বছর পেরিয়ে গেলেই প্রজনন সহায়ক হরমোনগুলির মাত্রা শরীরে কমতে থাকে। তাই তখন স্বাভাবিক নিয়মে প্রজনন করা কঠিন হয়ে পড়ে। তবে ক্ষেত্রে আইভিএফ পদ্ধতিতে গর্ভধারণ করা সম্ভব।

Late Pregnancy: বয়স ৫০ পেরোলেও মা হওয়া যায়? কী ভাবে, কতটা ঝুঁকি রয়েছে?

Follow Us

‘বধাই হো’ ছবিটি মনে আছে? যেখানে ৫০ বছর বয়সে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছিলেন নীনা গুপ্তা। এতো গল্পকথা! তবে এই বছর মার্চ মাসে ৫৫ বছর বয়সে মা হয়েছেন পঞ্জাবি গায়ক প্রয়াত সিধু মুসেওয়ালার মা চরণ কউর। আবার বিখ্যাত মডেল নাওমি ক্যাম্পবেল ৫৩ বছর বয়সে মা হয়েছেন। কিন্তু প্রশ্ন হল কী ভাবে?

স্বাভাবিক ভাবে সন্তানধারণের ক্ষেত্রে মহিলাদের নির্দিষ্ট বয়স থাকে। সাধারণত ৫০ বছরের একটু আগেই ঋতুস্রাব বন্ধ হয়ে যায়। সে ক্ষেত্রে একবার ঋতুস্রাব বন্ধ হয়ে গেলে মা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। সাধারণত ১৩-১৪ বছর বয়স থেকে শুরু করে ৪০-৪৫ বছর অবধি একজন মহিলার ঋতুস্রাব চলে। আবার বিশেষজ্ঞদের মতে বয়স ৩৫-এর গন্ডি পেরোলেই মা হওয়ার ক্ষেত্রে নানা ঝুঁকি থাকে।

আসলে ৩৫ বছর পেরিয়ে গেলেই প্রজনন সহায়ক হরমোনগুলির মাত্রা শরীরে কমতে থাকে। তাই তখন স্বাভাবিক নিয়মে প্রজনন করা কঠিন হয়ে পড়ে। তবে ক্ষেত্রে আইভিএফ পদ্ধতিতে গর্ভধারণ করা সম্ভব।

আইভিএফ পদ্ধতির মাধ্যমে ডিম্বাণু প্রতিস্থাপন করতে হয়। তার পর বাইরে থেকে হরমোনের সাপোর্ট প্রয়োজন হয়। ইস্ট্রোজেন এবং প্রজেস্টেরনের সহযোগিতা ছাড়া ৯ মাস পর্যন্ত সন্তানধারণ করা প্রায় অসম্ভব।

এইখানে একটি বেশি জেনে রাখা প্রয়োজন। অনেকেই ভাবেন, ঋতুস্রাব বন্ধ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ডিম্বাশয়ে ডিম্বাণুও শেষ হয়ে যায়। তবে এই বিষয়টি সম্পূর্ণ সত্যি নয়।

আসলে প্রতি মাসে ঋতুস্রাবের সঙ্গে একটি করে ডিম্বাণু বেরিয়ে যায়। এই ভাবে প্রায় ৩০ বছর পর্যন্ত ৩৬০ থেকে ৩৭০টি ডিম্বাণু বেরিয়ে যায়। কিন্তু ডিম্বাশয়ে হাজার হাজার ডিম্বাণু থাকে। তার মধ্যে থেকে যদি ৩৭০টি বেরিয়েও যায়, তা হলে কোনও অসুবিধা হয় না। ফলে ঋতুস্রাব বন্ধ হওয়ার পরেও ডিম্বাশয়ে ডিম্বাণু থাকে। কিন্তু তা থাকে নিস্ক্রিয় অবস্থায়।

তবে বয়স ৫০-পেরিয়ে গেলে পর স্বাভাবিক মিলনের মাধ্যমে সন্তানধারণ সম্ভব হয় না। অন্য কারও থেকে ডিম্বাণু সংগ্রহ করে বা বিশেষ পদ্ধতিতে নিজের শরীর থেকে ডিম্বাণু নিয়ে নিষিক্ত করার পর তা জরায়ুতে প্রতিস্থাপন করা হয়। তবে এই পদ্ধতি যথেষ্ট ঝুঁকিপূর্ণ। তাই প্রতিটি পদক্ষেপ চিকিৎসকের পরামর্শ মতোই নিন।

Next Article