Summer Skin Rashes: বাড়তে থাকা তাপমাত্রার পারদে হঠাৎ স্বস্তির কালবৈশাখী। রুক্ষ মার্চ পেরিয়ে এপ্রিল শেষ হতে চললেও দেখা মিলছিল না ঝড়-বৃষ্টির। শনিবার সন্ধ্যায় শহর জুড়ে নামল তুমুল বৃষ্টি। গরমের দাপটে প্রচুর মানুষ একাধিক সমস্যায় ভুগছেন। এই কয়েকটা দিন গরমে-ঘামে সকলেই নাজেহাল হয়ে গিয়েছেন। কাজের প্রয়েোজনে তাতাপোড়া গরমেও অনেককে বাড়ির বাইরে বেরোতে হয়েছে। ফলে ত্বকে অ্যালার্জি, র্যাশ, ফোঁড়া, ত্বক পুড়ে যাওয়া, লাল হয়ে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যায় একাধিকজন ভুলছেন। এছাড়াও গরমে বাড়ে দূষণ। সেই সঙ্গে ধুলো, বালি, ময়লা ইত্যাদি ঘামের সঙ্গে মিশে ত্বকের রোমকূপগুলোকেও বন্ধ করে দেয়। যে কারণে অনেক সময়ই শরীপের ক্ষতিকর টক্সিন বাইরে বেরোতে পারে না। মাস্ক ব্যবহার করার কারণে গরমের দিনে নাকের দুপাশে বেশি পরিমাণ ঘাম জমছে। আর সেখান থেকেও কিন্তু হচ্ছে ঘামফোঁড়ার সমস্যা। গরমের দিনে কমবেশি অনেকেই মুখোমুখি হন এই সমস্যার।
তবে এই ফোঁড়া কিন্তু নিজের থেকেই সেরে যায়। আর স্ট্যাফাইলোকক্কাস নামের একটি ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ থেকে কিন্তু এই ফোঁড়া হয়। লোম বা চুলের গোড়াতেই মূলত ফোঁড়া হয়। যে কারণে হাতের তালু বা পায়ের পাতায় কিন্তু ফোঁড়া হয় না। ফোঁড়া সাধারণত ত্বকের উপরের অংশে হয়। আর তাই ফোড়া হাতে, পায়ে, মাথায় যেখানে খুশি হতে পারে। আর ফোঁড়া যে জায়গায় হয় সেই জায়গা নিয়মিত পরিষ্কার করে মলম লাগালে কিন্তু ফোঁড়া সেরে যায়। শরীর থেকে ডিটক্সিফিকেশন ঠিক মত না হলে কিংবা হরমোনের সমস্যা হলে সেখান থেকেও কিন্তু হতে পারে এই ফোঁড়ার সমস্যা। আবার অনেক সময় ত্বকের গভীরে ইনফেকশন হয়। সেখান থেকেও কিন্তু ফোঁড়া হয়। তবে ফোঁড়ারও কিন্তু রকমফের থাকে। যাঁদের ডায়াবিটিস বা অন্যান্য অটোইমিউন সমস্যা রয়েছে তাঁদের ক্ষেত্রে কিন্তু এই ফোঁড়া সবচেয়ে বেশি হয়। শরীরের যে সব জায়গা চাপা থাকে সেই সব জায়গাতেই কিন্তু বেশি ঘাম হয়। আর ঘাম হলে কিন্তু সেখান থেকে ঘামফোঁড়ার সমস্যা হবেই।
কী ভাবে রেহাই পাবেন এই ঘামফোঁড়া থেকে
ঘামফোঁড়ার প্রধান কারণ কিন্তু অপরিচ্ছন্নতা। গরমে ঘাম বেশি হয়। আর তাই বারে বারে স্নান করে সেই ঘাম ধুয়ে ফেলা উচিত। ঘাম যাতে বসে না যায় সেদিকে খেয়াল রাখুন। যদি মুখের চারপাশে ঘাম জমে তাহলে ওয়েট টিস্যু দিয়ে মুছে নিন।
১০ থেকে ২০ টা নিমপাতা জলে ফেলে ফুটিয়ে নিয়ে তা ঠন্ডা করে স্নানের জলে মিশিয়ে নিয়ে স্নান করুন।
জলে নিমপাতা আর কাঁচা হলুদ বাটা দিয়েও স্নান করতে পারেন।
লবঙ্গ, তেজপাত, নিমপাতা, তুলসিপাতা আর হলুদ একসঙ্গে ফুটিয়ে স্নানের জলে ব্যবহার করুন। এতেও কিন্তু উপকার পাওয়া যায়।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
আরও পড়ুন: Feet Care: পায়ের পাতায় এই সব লক্ষণই জানান দেবে শরীরের গোপন রোগের