আলোর উত্সবে সারা দেশ মাতোয়ারা হলেও সকলের জন্য এই উত্সব আনন্দের ও রঙিন হয় না। বায়ু ও শব্দ দূষণের উচ্চমাত্রায় ক্যানসার রোগীদের জন্য অত্যন্ত কষ্টকর হয়ে ওঠে এই দীপাবলি উত্সব। কারণ পরিবার বা বন্ধুদের মধ্য়ে থাকা ক্যানসার রোগীদের স্বাস্থ্য়ের সুরক্ষা নিশ্চিত করা সকলেরই কর্তব্য।
যে কোনও ক্যানসার রোগীরা সাধারণ রোগী বা স্বাভাবিক মানুষের থেকে আলাদা পরিচর্চার প্রয়োজন। তাই স্বাস্থ্যকর ও সময়ময় খাবার খাওয়া, স্বাস্থ্যের সমস্যা এড়াতো সময়মতো প্রয়োজনীয় ওষুধ খাওয়া , বিশ্রাম নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। উত্সবের সময় বাড়িতে প্রচুর পরিমাণে স্ন্যাকস ও ডেজার্টের পর তৈরি হয়। সেইসব খাবার থেকে এড়িয়ে যাওয়াই ভাল। খাবারের ক্ষত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।
ক্যান্সার রোগীদের বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস মেনে চলা উচিত। মিষ্টি, ডেজার্ট এবং নোনতা জাতীয় খাবারে লিপ্ত হওয়া কোনও কঠিন কাজ নয়। খাদ্যে প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি উপাদান অন্তর্ভুক্ত করুন। জাঙ্ক, তৈলাক্ত এবং প্রক্রিয়াজাত খাবারকে না বলুন। পান করুন। সারাদিন এনার্জিতে থাকার জন্য প্রচুর জল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন এসিআই কামবাল্লা হিল হাসপাতালের চেয়ারম্যান ও অনকোসার্জন ড, রমাকান্ত দেশপান্ডে।
করোনা অতিমারির সময় সংক্রমণ এড়াতে ক্যানসার আক্রান্তদের বিশেষ যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। ক্যান্সারে আক্রান্ত ব্যক্তিদের বাড়িতেও মাস্ক পরতে হবে, ভিড়ের জায়গা এড়িয়ে চলতে হবে, বাড়িতে সঠিক বায়ুচলাচল থাকতে হবে, মানুষের থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখতে হবে, বাড়িতে দর্শনার্থীদের এড়িয়ে চলতে হবে এবং অসুস্থ ব্যক্তিদের আশেপাশে থাকবেন না, সময়ে সময়ে তাদের হাত ধোয়া উচিত বলে পরামর্শ দিয়েছেন ডঃ দেশপান্ডে বলেছেন। তিনি রাতে ভাল ঘুমেরও পরামর্শ দেন।
দীপাবলীর সন্ধ্যায় শব্দ এবং বায়ু দূষণের মাত্রা বৃদ্ধি পায় এবং এটি থেকে সব রোগীদেরই সুরক্ষিত রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়। ক্যান্সারে আক্রান্ত ব্যক্তিদের কানের প্লাগ পরতে হবে যদি পটকার আওয়াজ খুব বেশি হয়। যেখানে কেউ আতশবাজি ফাটাচ্ছে সেখানে যাওয়া এড়িয়ে চলুন। বাইরে যখন লোকেরা আতশবাজি ফাটাচ্ছে তখন জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন,” এমনটাই বলেছেন চিকিত্সকরা।
উৎসবের সময় এই মারণ রোগে আক্রান্ত প্রিয়জনদের জন্য সময় বের করতে হবে এবং তাদের অবহেলিত বোধ না করার জন্য টেলিভিশনের অনুষ্ঠান, সিনেমা বা গানের সঙ্গে জড়িত রাখতে হবে।