পুজোয় নতুন জামার সঙ্গে নতুন জুতো না হলে জমে নাকি। নতুন জুতো পায়ে সারারাত হেঁটে ঠাকুর দেখার মজাটাই আলাদা। জামার সঙ্গে চাই ম্যাচিং জুতো। বছর ভর স্যান্ডেল আর ঢাকা জুতোয় কাজ চললেও পুজোর সময় হিল তোলা জুতো চাই। এমন বায়না প্রায় প্রত্যেক মেয়েরই থাকে। আর ছেলেদের ক্ষেত্রে বুট জুতো। পুজের সময় অনেকটা পথ হাঁটতে হয়। একটা ঠাকুর দেখে অন্য প্যান্ডেলে যাওয়ার সময় অনেকটাই লাইন দিতে হয়। আর তাই প্রতিবার যতই হেঁটে ঠাকুর দেখার সময় বিশেষজ্ঞরা আরামদায়ক জুতো পরার পরামর্শ দিয়ে থাক না কেন তা মোটেই হয় না। গরম, ঘাম, ভিড়, গুঁতো খাওয়া, আর পায়ে ফোসকা পড়লে তবেই না পুজো। এসবই থেকে যায় স্মৃতি হিসেবে। তবে এবছর বৃষ্টির চোখরাঙানিও রয়েছে সঙ্গে। পুজোয় হেঁটে জুতোয় ফোসকা পজ়া নতুন ব্যাপর নয়। তবে ফোসকা পরলে হাঁটতে কষ্ট হয়। আর ফোসকা যদি বেশিদিন থেকে যায় তাহলে সেখান থেকেও হতে পারে সমস্যা। আর তাই হাতের সামনে রাখুন এই সব টোটকা। পুজোর দিনে কাজে আসবেই।
নারকেল তেল ত্বক ময়েশ্চরাইজ় করে এবং জ্বালাভাব কমাতেও তা দারুণ কার্যকর৷ নতুন জুতোয় যদি আপনি খানিকটা নারকেল তেল লাগিয়ে রাখেন পরার আগের রাতে, তা হলে জুতোর চামড়াও নরম হয়ে যাবে৷
মধুতে জ্বালাভাব কমে, তাড়াতাড়ি ক্ষত সারে, দাগও মিলিয়ে যায় দ্রুত৷ মধুর সঙ্গে তিলের তেল মিশিয়েও লাগাতে পারেন ফোসকার উপর৷ শুকিয়ে গেলে ধুয়ে নেবেন ঘরের তাপমাত্রায় থাকা জলে৷ তবে ত্বক খুব স্পর্শকাতর হলে মধুতে রিঅ্যাকশন হতে পারে, তাই সতর্ক থাকা প্রয়োজন।
চালের গুঁড়োর সঙ্গে গোলাপ জল আর মধু মিশিয়ে লাগাতে পারলেও ফোসকার কালো দাগ উঠে যায়। পা থাকে পরিষ্কার।
নতুন জুতো পরার আগের দিন সারা রাত তার ভিতরে পেট্রোলিয়াম জেলি লাগিয়ে রাখুন৷ জুতো নরম হয়ে যাবে, ফোসকা পড়ার আশঙ্কাও কমবে৷ আর যদি একান্ত পড়েই যায়, তা হলেও নিয়মিত পেট্রোলিয়াম জেলি লাগাতে থাকুন, পায়ের ত্বক আর্দ্র থাকলে ফোসকা সারবে তাড়াতাড়ি৷
হাতের সামনে সব সময় ব্যান্ডএইড রাখুন। জুতোতে পা কেটে গেলে লাগিয়ে নিন। এতে ধুলোবালি কম লাগবে।