Male Infertility: রান্নাঘরে এই মশলাটি না থাকলে গৃহিনীদের চোখ কপালে ওঠে। মাংস কষানো থেকে শুরু করে পিঁপড়ে তাড়ানো… সবেতেই অর্বথ্য টোটকা এই গরম মশলা। এমনকী দাঁতের ব্যাথাতেও ভীষণ ভাবে উপকারী। আজ নয়, বহু বছর ধরে আর্য়ুবেদ টোটকা হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে লবঙ্গ। এখনও ব্যথা কিংবা সংক্রমণজনিত সমস্যার ওষুধ তৈরি করতে ব্যবহার করা হয় এই লবঙ্গ। লবঙ্গের মধ্যে আছে একাধিক বৈশিষ্ট্য। এর মধ্যে থাকা অ্যান্টিফাঙ্গাল, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিভাইরাল, অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টিকার্সিনোজেনিক গুণ শরীরে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। লবঙ্গ সব বসের সব মানুষদের জন্যই ভাল। তবে পুরুষদের স্বাস্থ্যরক্ষায় তা বিশেষ উপকারী। পুরুষদের শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা বাড়াতে কাজে লাগানো হয় এই লবঙ্গকে। সেই সঙ্গে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও ভূমিকা আছে লবঙ্গর।
কেন ছেলেরা রোজ লবঙ্গ খাবেন?
শুক্রাণুর উৎপাদন বাড়াতে- আজকাল অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রার কারণে ছেলেদের শরীরে কমে যাচ্ছে শুক্রাণুর সংখ্যা। অতিরিক্ত স্ট্রেস, ধূমপান, মদ্যপান, ফাস্টফুড বেশি পরিমাণে খাওয়া, দীর্ঘস্থায়ী রোগ-জ্বালা এসবের প্রভাব কিন্তু পড়ছে শরীরে। যে কারণে পুরুষদের শুক্রাণুর সংখ্যা কমছে। সেই সঙ্গে কমছে যৌন ইচ্ছাও। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে লবঙ্গ খুব ভাল অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। যা শরীরে মুক্ত যৌগের সঙ্গে মিথষ্ক্রিয়ার হাত থেকে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলিকে রক্ষা করে। শুধুইন যে শুক্রাণুর সংখ্যা বাড়ায় তা নয়, শুক্রাণুর গুণগত মান এবং গতিশীলতাও রক্ষা করে।
উচ্চরক্তচাপের ঝুঁকি কমায়
গবেষণা বলছে মহিলাদের তুলনায় পুরুষদের মধ্যে রক্তচাপের ঝুঁকি অনেক বেশি। লবঙ্গে উপস্থিত কার্ডিওপ্রোটেক্টিভ অ্যাক্টিভিটি শুধুমাত্র কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় না। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। হৃৎপেশির স্বাস্থ্যও ঠিক রাখে।
লিবিডো বাড়াতে
লবঙ্গের মদ্যে থাকে ফাইটোকেমিক্যাল ফ্ল্যাভিনয়েড, অ্যালকালয়েড এবং স্যাপোনিন। যা যৌন আকাঙ্খা, উদ্দীপনা বাড়াতে সাহায্য করে। যৌনক্ষমতা এবং টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বৃদ্ধির পাশাপাশি অকাল বীর্যপাত রোধ করতে বহু বছর ধরে ব্যবহার করা হচ্ছে। সম্প্রতি একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে লবঙ্গ স্নায়ুতন্ত্রকে উত্তেজিত করে যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে।
ডায়াবেটিসের সুরক্ষায়
মহিলাদের তুলনায় পুরুষদের ডায়াবেটিসে ভোগার সম্ভাবনা বেশি তা বেশ কিছু সমীক্ষায় প্রকাশিত। লবঙ্গ উচ্চমাত্রায় অ্যান্টিহাইপারগ্লাইসেমিক। সেই সঙ্গে লবঙ্গের হেপাটোপ্রোটেকটিভ, হাইপোলিপিডেমিক এবং অ্যান্টিঅক্সিডেটিভ কার্যকলাপ রয়েছে। শরীরে গ্লুকোজ ও কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে এবং লিভারের কোষগুলিকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে।
দাঁত ভাল রাখে
লবঙ্গের মধ্যে অ্যান্টিজিনজিভাইটিস এবং অ্যান্টিপ্লাক বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা দাঁত ভাল রাখে। লবঙ্গ শুধুমাত্র যে মুখের জীবাণু প্রতিরোধ করে তা নয়, মাড়িতে সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচায়। সেই সঙ্গে যাবতীয় ব্যথা, প্রদাহ থেকেও মুক্তি দেয়। পুরুষদের নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ এবং পিরিয়ডোনাইটিস প্রতিরোধে ঘরোয়া উপাদান হিসেবেও ব্যবহার করা যায় লবঙ্গকে।