সুস্থ থাকতে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা খুবই প্রয়োজন। ওজন বাড়লেই আসে একাধিক সমস্যা। ক্লান্তি আসে, ডায়াবিটিস, কোলেস্টেরলের মত সমস্যাও আসে। ওজন একবার সীমার বাইরে চলে গেলে তাকে নিয়ন্ত্রণে রাখা খুবই মুশকিলের। তাই প্রথম থেকে এ বিষয়ে সচেতন হওয়া প্রয়োজন। খাবার খেতে কার না ভাললাগে! কিন্তু তা যেন অবশ্যই সীমার মধ্যে থাকে। এছাড়াও রোজকার রুটিনে পরিবর্তন আনলেও কিন্তু অনেক ফল পাওয়া যায়। এর সেই রুটিন একদিন নয়, নিয়মিত ভাবে মেনে চলতে হবে। শরীরচর্চা, ডায়েট সবই নিয়ম করে চালিয়ে যেতে হবে। সময় এবং ধৈর্য এক্ষেত্রে একান্ত অপরিহার্য। রাতারাতি ওজন কমে না। আর তাই প্রথম থেকেই মনকে প্রস্তুত রাখুন। হাল ছাড়লে কিন্তু চলবে না। অনেকেই ওষুধ খেয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে যান। যা কিন্তু মোটেই ভাল অভ্যাস নয়। বরং পুষ্টিকর খাবার খান।
দিনের মধ্যে অন্তত দু -৩ লিটার জল খাওয়া কিন্তু খুবই প্রয়োজন। কারণ জল আমাদের ডিটক্সিফিকেশনে সাহায্য করে। শরীরকে হাইড্রেট রাখে। ওজন কমাতেও সাহায্য করে। আর তাই জলের সঙ্গে যখন মেশে ফল কিংবা সবজির রস বা কোনও মশলা তখন কিন্তু এর গুণাগুণ বেড়ে যায় আরও কিছুটা। বিশেষত যদি মরশুমি ফল ব্যবহার করা হয়। আমাদের হাতের সামনে সারাবছরই পাওয়া যায় লেবু। পাতিলেবু আমাদের শরীরের জন্য কিন্তু খুবই ভাল। ভিটামিন সি আর অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে পূর্ণ। যে কারণে অনেকেই দিন শুরু করেন এই লেবু জলের সঙ্গে। তবে শুধু লেবু জল কেলেই কিন্তু হবে না। পাশাপাশি পুষ্টিকর খাবারও কিন্তু খেতে হবে। লেবু আমাদের বিপাকে সাহায্য করে। অনেকেই আছেন দিন শুরু করেন উষ্ণ জল আর লেবুর রস দিয়ে। কেউ কোউ আবার এতে মিশিয়ে নেন কয়েক ফোঁটা মধুও। কিন্তু যাঁদের হজমের সমস্যা রয়েছে বা অ্যাসিডিটির সমস্যা আছে তাঁদের এই জল এড়িয়ে চলাই ভাল।
এছাড়াও অনেকে মনে করেন গরম জলে লেবু মিশিয়ে খেলে লেবুর গুণাগুণ নষ্ট হয়ে যায়। বরং দুপুরের খাবার খেয়ে একগ্লাস জলে লেবুর রস মিশিয়ে খেতে পারেন। এতে কিন্তু অনেক বেশি উপকার পাওয়া যায়। এছাড়াও অনেকেই জিরে-মেথি ভেজানো জল খেয়ে সকাল শুরু করেন। রোজ সকালে এই জল খেলে আমাদের মেটাবলিজম বাড়ে। জিরের মধ্যে কোনও ক্যালোরি নেই, জিরে যেমন আমাদের বিপাকে সাহায্য করে তেমনই কিন্তু মেদ গলাতেও ভূমিকা রয়েছে জিরের। রোজ রাতে জিরো, মৌরি, মেথি একচামচ করে ভিজিয়ে রেখে পরদিন সকালে তা ছেঁকে খেয়ে নিন। এতে অনেক উপকার হয়।
এছাড়াও রোজ আদা, কাঁচা হলুদ আর গোলমরিচ দিয়ে চা বানিয়েও খেতে পারেন। এতে মেদ ঝরবে আর শরীর থাকবে সুস্থ।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।