অ্যালকোহল যে লিভারের ক্ষতির পিছনে দায়ী- এ বিষয়ে সকলেই সচেতন। উপরন্ত এটি লিভারে চর্বি জমা হওয়ার একটি প্রধান কারণ। অতিরিক্ত অ্যালকোহল সেবনের কারণেই অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ হতে পারে। যদি নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারও রয়েছে, যার পিছনে অস্বাস্থ্যকর খাওয়া-দাওয়া প্রধান দায়ী। কিন্তু আমাদের অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারের পাশাপাশি নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার নিয়েও সচেতন হওয়া জরুরি।
নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ হল এমন একটি অবস্থা যেখানে লিভারে অতিরিক্ত পরিমাণে চর্বি জমা হয়। নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার বেশ গুরুতর একটি রোগ যেখানে এটি লিভারের কোষে প্রদাহ তৈরি করে, যা ফাইব্রোসিসের জন্য দায়ী। সময় থাকতে এই রোগের চিকিৎসা না করলে এটি ভবিষ্যতে গিয়ে লিভার সিরোসিস বা লিভারের ক্যান্সারে পরিণত হতে পারে। কিন্তু আপনি যে নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত, তা বুঝবেন কীভাবে?
নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারের একটি ধারণা উপসর্গ হল ক্লান্তি। বিশেষত সকালে ঘুম থেকে উঠে অতিরিক্ত দুর্বল অনুভব হয় শরীরে। যদি ক্লান্তি হল এমন বিষয় যা আমরা সকলেই দিনের শেষে অনুভব করি। আবার অন্যান্য কোনও শারীরিক রোগ থাকলেও অনেকেই সকালে ঘুম থেকে উঠে ক্লান্তি অনুভব করেন। কিন্তু নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারে যদি আপনি আক্রান্ত হন তাহলে কোনওভাবেই এই উপসর্গকে উপেক্ষা করা যায় না।
তবে সকালে ঘুম থেকে ক্লান্তি ছাড়াও এমন কিছু উপসর্গ রয়েছে যা বলে দেবে আপনি নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত কিনা। নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারের অন্যান্য লক্ষণগুলো হল- পেটের উপরের ডানদিকে অস্বস্তি বা ব্যথা, পেট ফুলে যাওয়া, জন্ডিস, হঠাৎ করে ওজন কমে যাওয়া ইত্যাদি। আপনি যদি এই লক্ষণগুলোর মুখোমুখি হন তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
তবে আপনি যদি ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত হন তাহলে খাওয়া-দাওয়া দিকে নজর দেওয়া জরুরি। ফ্যাটি লিভার বাড়লে খাবার কতটা তেল ব্যবহার করছেন, কী তেল ব্যবহার করছেন, এই দিকেও নজর দেওয়া একই ভাবে জরুরি। কারণ তেল, ঘি, মাখন যদি বেশি পরিমাণে খাবেন তত ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকি বাড়বে। অবস্থার আরও অবনতি হবে। এই ক্ষেত্রে রান্নায় মেপে মেপে তেল ব্যবহার করাই ভাল। পাশাপাশি এমন তেল ব্যবহার করুন যাতে ফ্যাটের পরিমাণ কম। অলিভ অয়েল, সানফ্লাওয়ার অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। পাশাপাশি ফাস্ট ফুড এড়িয়ে চলুন।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।