যে হারে গোটা বিশ্বে ডায়াবেটিসের (Diabetes) প্রকোপ বেড়েছে তাতে এটি এখন বিশ্বের একটি পরিচিত সমস্যায় পরিণত হয়েছে। ডায়াবেটিস এখন আর বয়স মানে না। তরুণ থেকে শুরু করে বৃদ্ধ সবার শরীরেই বাসা বাঁধছে এই রোগ। পরিবারে ডায়াবেটিসের ইতিহাস (History Of Diabetes) থাকলে এই সমস্যার শিকার হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। তবে নিশ্চিত করে বলা স সম্ভব নয় যে বাবা-মা, কিংবা পরিবারের (Family) অন্য কারও মধুমেহর সমস্যা থাকলে আপনারও তা হবেই। তবে পরিবারে ডায়াবেটিসের ইতিহাস থাকলে আগে থেকে সতর্ক হওয়া উচিত। এ বিষয়ে কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা? আসুন জেনে নেওয়া যাক…
বিশেষজ্ঞদের মতে, বাবা-মায়ের মধ্যে কারোও যদি ডায়াবেটিস থেকে থাকে তবে তার প্রভাব সন্তানের উপর পড়তে পারে। এক্ষেত্রে পরে সন্তানেরও ডায়াবেটিসের শিকার হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। তবে এমনটা যে হবেই তা একেবারেই নয়। অনেকক্ষেত্রেই বাবা-মা ডায়াবেটিক হলেও সন্তানের উপর এর কোনও প্রভাব পড়ে না। অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রার মতো নানান কারণেও ডায়াবেটিস শরীরে বাসা বাঁতেই পারে। কিন্তু পরিবারে ডায়াবেটিসের ইতিহাস থাকলে এক্ষেত্রে ছেলেবেলা থেকে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। তার জন্য কী করতে হবে জেনে নিন..
ওজন নিয়ন্ত্রণ: আপনার যদি স্থুলতার প্রবণতা থাকে তবে সবার আগে ওজন নিয়ন্ত্রণ করা ভীষণভাবে জরুরি। কারণ অতিরিক্ত ওজনের কারণে ডায়াবেটিসের আশঙ্কা বাড়ে। তাই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে ওজন কমান।
সঠিক ডায়েট: এক্ষেত্রে ছোটবেলা থেকে সঠিক ডায়েট মেনে চলতে হবে। রোজের ডায়েটে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন, ফ্যাট ও কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার রাখতে হবে। দরকার হলে নিউট্রিশনিস্ট পরামর্শ মতো খাদ্যতালিকা মেনে চলুন।
নিয়মিত যোগব্যায়াম: যোগাসনের কোনও বিকল্প নেই। শরীরকে সুস্থ রাখতে আমাদের সকলের নিয়মিত যোগব্যায়াম করা দরকার। আপনার পরিবারে কেউ যদি ডায়াবেটিক হন তবে ছোটবেলা থেকেই যোগব্যায়ামের অভ্যাস করা ভীষণভাবে প্রয়োজন। এতে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে।
সুগার চেক করুন: পরিবারে ডায়াবেটিসের ইতিহাস থেকে থাকলে একটা সময়ের পর মাঝে মধ্যেই সুগার পরীক্ষা করুন। এতে যদি ডায়াবেটিস ধরা পরে তবে আগে থেকে তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। ডায়াবেটিস একবার শরীরে বাসা বাঁধলে জীবনযাত্রা নিয়ন্ত্রণ ছাড়া অন্য কোনও উপায় নেই। তাই সুগার ধরা পড়লেই অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনে রাশ টানুন। বিশেষজ্ঞের পরামর্শ মতো ওষুধ খান।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।