শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টির চাহিদা একমাত্র মেলে খাবার থেকেই। আবার খাবারই শরীরে একাধিক রোগ সমস্যা ডেকে আনে। অসাবধানতা বসত তখন শরীরে বাসা বাঁধতে থাকে একাধিক অসুখ। তাই রোজ ফল, শাকসবজি আর জল নিয়ম মেনে খেতেই হবে। পাশাপাশি বাড়িতে বানানো জুস খেতে পারলেও ভাল। বেশি তেল-মশলাদার খাবার চলবে না। হালকা, সহজপাচ্য খাবার খেতে হবে। ভাজা, ভুজি এড়িয়ে চলুন। ফাস্টফুড পারতপক্ষে নয়। সেই সঙ্গে খাবার খাওয়ার পর মেনে চলতে হবে বিশেষ এই নিয়ম। তা হল হাঁটা। যে কোনও খাবার খাওয়ার পর অন্তত ১৫ মিনিট হাঁটুন। তা ব্রেকফাস্ট হোক বা লাঞ্চ। খাবার খেয়ে ১৫ মিনিট হাঁটলে খাবার যেমন দ্রুত হজম হয় তেমনই অতিরিক্ত ফ্যাট শরীরে জমে যাওয়ার সুযোগ পায় না।
সুস্থ থাকতে রোজকার শরীরচর্চার একটা প্রয়োজন তো আছেই। পাশাপাশি হাঁটলে অনেক রোগজ্বালার হাত থেকে রেহাই পাওয়া যায়। মন ভাল থাকে। সেই সঙ্গে ডায়াবেটিস, কোষ্ঠকাঠিন্য, উচ্চরক্তচাপ, কোলেস্টেরল, ওবেসিটির হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। সব সময় ওষুধ খেলেই যে কাজ হয়ে যাবে এমন কিন্তু নয়। এই সব রোগ নিজেকেই নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করতে হবে। তার জন্য জোর দিতে হবে রোজকারের জীবনযাত্রায় এবং ডায়েটে।
তবে ঠিক খাবার খাওয়ার পরই হাঁটা ঠিক নয়। খাওয়ার পর ছোটাছুটি করলে বদহজম, ডায়ারিয়া, বমি বমি ভাব, গ্যাস, পেট ফেঁপে যাওয়ার মত সমস্যা লেগেই থাকে। আর তাই খাবার খাওয়ার ১০ মিনিট পর হাঁটতে বেরোন। এরপর টানা ১৫ মিনিট অবশ্যই হাঁটবেন। আর নিয়ম করে হাঁটতে পারলে হজমের সমস্যা ধারেকাছেও ঘেঁষবে না। হজম ঠিকমতো হলে সেখান থেকে একাধিক সুযোগ সুবিধাও পাওয়া যাবে।
খাওয়ার পর যখন হাঁটতে যাচ্ছেন তখন খুব জোরে হাঁটবেন না। ধীর গতিতে হাঁটুন। এরপর গতি সামান্য বাড়াতে পারেন। তবে হাঁটার গতি এমন রাখুন যাতে হৃদস্পন্দন ধীরে ধীরে বাড়ে। খুব জোরে শ্বাস নিতে হবে এই ভাবে কিন্তু হাঁটবেন না।
খাওয়ার পর হাঁটা- এই অভ্যাসটি আজ থেকেই শুরু করুন। প্রথম দিনই খুব জোরে হাঁটবেন না। বা খুব বেশিক্ষণ সময় ধরে হাঁটবেন না। তাহলে শরীরে অস্বস্তি হতে পারে। শরীরের যতটুকু ক্ষমতা ততটুকুই করুন। অতিরিক্ত হাঁটলে সেখান থেকেও গ্যাস, বদহজমের সমস্যা হতে পারে।