Test for heart disease: হৃদরোগ, হার্ট অ্যার্টাক এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি এড়াতে সময়মতো এই ৭ পরীক্ষা অবশ্যই করান
Ways to prevent heart disease: দীর্ঘ ও সুস্থ জীবনযাপনের জন্য হার্টকে সুস্থ রাখা ভীষণ রকম জরুরি। আর তাই জরুরি কিছু ডাক্তারি পরীক্ষা নিয়মমাফিক করা খুবই জরুরি।
শরীরের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হল হৃৎপিণ্ড। বলা ভাল শরীরের হেডঅফিস হল এই হৃৎপিণ্ড। শরীরের সামগ্রিক সুস্থতা বজায় রাখার জন্যই হার্ট ভাল রাখতে হবে। ভুল খাদ্যাভ্যাস, টানা এক জায়গায় বসে থাকা, অতিরিক্ত মানসিক চাপ এবং কাজের চাপ প্রভাব ফেলে আমাদের শরীরের উপর। সেই সঙ্গে ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল, উচ্চরক্তচাপ থাকলে তাহলে তো কোনও কথাই নেই। অনেকের পারিবারিক ইতিহাসেই থাকে হৃদরোগের মত সমস্যা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বিশ্বব্যাপী সর্বাধিক মৃত্যুর নেপথ্যে রয়েছে এই কার্ডিওভাস্কুলার ডিজিজ। হৃদরোগের কারণে প্রতি বছর প্রায় ২ কোটিরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। উদ্বেগজনক ভাবে প্রতি পাঁচ মৃত্যুর মধ্যে চারটি মৃত্যু থাকে হার্ট অ্যার্টাকে। সেই সঙ্গে থাকে স্ট্রোকের মত ঘটনাও। ৭০ বছরের কম বয়সীদের ক্ষেত্রে অধিকাংশ সময়ই মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায় এই স্ট্রোক। আর তাই প্রথম থেকে সতর্ক হওয়াই হল একমাত্র উপায়।
হার্ট সুস্থ রাখবেন কী ভাবে?
হার্ট সুস্থ রাখার ক্ষেত্রে নিজেদেরই এ ব্যাপারে সচেতন হতে হবে। আর তাই সময়ে কিছু মোডিক্যাল পরীক্ষা করানোও ভীষণ জরুরি। হার্ট কতটা ভাল রয়েছে, কতটা ভালভাবে কাজ করছে তার জন্যই এই পরীক্ষা করতে হবে।
লিপিড প্রোফাইল- শরীর সুস্থ রাখতে কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রাও বজায় রাখতে হবে। শরীরে যদি অতিরিক্ত পরিমাণ কোলেস্টেরল আর ট্রাইগ্লিসারাইড জমে তাহলে হার্ট কাজ বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়। কারণ হার্টে প্রয়োজনীয় রক্তপ্রবাহ হয় না। এরসঙ্গে যদি উচ্চরক্তচাপ থাকে তাহলে তো কথাই নেই। মৃত্যুর ঝুঁকি বেড়ে যায় অনেকখানি।
কার্ডিয়াক স্ক্রিন পরীক্ষা- বিভিন্ন রক্ত পরীক্ষা, প্রস্রাবের পরীক্ষা, সুগার, পারিবারিক দিক থেকে যদি হৃদরোগের মত সমস্যা থাকে তাহলে আগে থাকতেই সচেতন হতে হবে। কারণ এই পরীক্ষা থেকেই আপনি বুঝতে পারবেন আপনার হার্ট কতখানি সুস্থ রয়েছে।
টাইপ ২ ডায়াবেটিস- টাইপ ২ ডায়াবেটিসও হার্টের ক্ষতি করতে পারে। এই ডায়াবেটিসের কারণে হতে পারে ওবেসিটির সমস্যাও। তাই নিয়মিত ভাবে রক্তশর্করার পরীক্ষা করতে হবে। অতিরিক্ত ওজন এবং সুগার আগেই নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। নইলে সেখান থেকে হতে পারে একাধিক শারীরিক সমস্যা।
ভিটামিন ও খনিজের পরীক্ষা- পেশীর ক্ষতি হলে সেখান থেকে ক্ষতিকর রাসায়নিকের প্রভাবে হার্টের ক্ষতি হতে পারে। আর তাই হৃৎপিণ্ডের পেশীর কতখানি ক্ষতি হয়েছে তা দেখে রাখতেই এই সব পরীক্ষা ভীষণ রকম জরুরি। কোলেস্টেরল, ভিটামিন, ট্রাইগ্লিসারাইড এসব নিয়ন্ত্রণে রাখাই হল প্রাথমিক শর্ত।
ইলেকট্রোকার্ডিয়োগ্রাম- হার্ট কতটা ভাল পাম্প করছে তা দেখতেই করা হয় এই পরীক্ষা। হার্ট অ্যার্টাক বা অনিয়মিত হৃদস্পন্দন বোঝা যায় এই পরীক্ষার সাহায্যেই।
স্ট্রেস টেস্ট- এটিও একরকম ইসিজি। যা ট্রেডমিল পরীক্ষা নামেও পরিচিত। শারীরিক ক্রিয়াকলাপের সময় হার্ট কতটা ভাল কাজ করছে কতটা পাম্প করছে তা দেখতেই ডাক্তাররা মূল্যায়ন করতে পারেন।