Women Health: শরীরে আয়রনের অভাব! বিশেষত মেয়েরা এই তিন লক্ষণ এড়িয়ে যাবেন না…
Health Care Tips: এই গুরুতর রোগগুলি হওয়ার অনেক আগে থেকে যদি সতর্ক হওয়া যায়, তা হলে অনেক কিছুই আটকানো সম্ভব। বিশেষত ১৫ থেকে ৪৯ বছরের মহিলাদের মধ্যে এই রোগের ঝুঁকি বেশি।

দৈনন্দিন জীবন যাপনে নানা পরিবর্তনের সঙ্গে হানা দেয় নানা অসুখও। বিশেষ করে বলতে হয় মেয়েদের কথা। তাঁদের শরীরে নানা রোগ বাসা বাঁধে। সব দিক নজর রাখতে গিয়ে শরীরে যত্নে অবহেলা অস্বাভাবিক নয়। আর এতেই নানা রোগ বাসা বাঁধে। অস্ট্রিওপোরোসি, ব্রেস্ট ক্যানসার,জরায়ুর ক্যানসার, ইউরিনজনিত নানা সমস্যা দেখা যায়। এই গুরুতর রোগগুলি হওয়ার অনেক আগে থেকে যদি সতর্ক হওয়া যায়, তা হলে অনেক কিছুই আটকানো সম্ভব। বিশেষত ১৫ থেকে ৪৯ বছরের মহিলাদের মধ্যে এই রোগের ঝুঁকি বেশি।
বিশ্ব স্থাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী ১৫ থেকে ৪৯ বছর বয়সি মহিলাদের ৩০ শতাংশ এবং গর্ভবতী মহিলাদের মধ্যে ৩৭ শতাংশই অ্যানিমিয়া অর্থাৎ রক্তাল্পতায় ভোগেন। মেনস্ট্রুয়াল সমস্যা, হরমোনজনিত নানা পরিবর্তনের কারণেও এটা হয়ে থাকে। শরীরে রক্তাল্পতা কিংবা আয়রনের কমতি সমস্ত শক্তি যেন শুষে নেয়। কী ভাবে এই লক্ষণ বোঝা যায়?
অনেক মহিলাদের মধ্যেই ক্লান্তির পরিমাণ বেশি। ঝিঁমুনি, অল্প পরিশ্রমেই হাঁপিয়ে যাওয়া অন্যতম লক্ষণ। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সমস্যা মূলত শরীরে আয়রনে কমতির কারণে হয়ে থাকে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, শরীরে আয়রনের পরিমান নিয়মিত পরীক্ষা করা উচিত। আয়রন কম থাকলে রেড ব্লাড সেল তৈরিতে সমস্যা হতে পারে। যে কারণে শরীরে অক্সিজেন সাপ্লাইয়ের ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। এর ফলে রক্তাল্পতাও হতে পরে।
কোনও মহিলার যদি নিয়মিত ক্লান্তি, ঝিঁমুনি বা সারাক্ষণ শুয়ে থাকতে ইচ্ছে করে, এই লক্ষণগুলি একেবারেই এড়িয়ে যাওয়া উচিত নয়। পাশাপাশি হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যাওয়া। অনেক গুরুতর সমস্যার প্রাথমিক লক্ষণ এগুলি।
বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ: এই প্রতিবেদনের উদ্দেশ্য শুধুমাত্র তথ্য জানানো। কোনও রকম সমস্যা কিংবা দ্বিধা থাকলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ অথবা চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
