COVID-19 Without fever: কয়েক সপ্তাহ ধরেই নিম্মমুখী ছিল কোভিডের গ্রাফ। সেই সঙ্গে কমছিল আক্রান্তের সংখ্যাও। কোভিড-ভীতি কাটতে শুরু করার পাশাপাশি প্রচুর মানুষ কিন্তু মাস্কের ব্যবহারও প্রায় ছেড়ে দিয়েছেন। সেই সঙ্গে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাও ভুলতে শুরু করেছেন অনেকে। সমুদ্রের পাড় থেকে জঙ্গল ভিড় জমিয়েছেন পর্যটকেরা। এসব কিছুর উপরি পাওনা একটাই। ফের কিন্তু বাড়তে শুরু করেছে কোভিড-আতঙ্ক। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে দিল্লি ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় কিন্তু বাড়ছে কোভিড গ্রাফ। সম্প্রতি একটি সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, দিল্লির ‘আর-ভ্যালু’ (R-value of Delhi) দাঁড়িয়েছে বর্তমানে ২.১। আইআইটি মাদ্রাজের (IIT-Madras) সদ্য প্রকাশিত একটি গবেষণায় উঠে এসেছে এই তথ্য। এই ‘আর-ভ্যালু’ থেকে আদপে করোনার সংক্রমণের গতিপ্রকৃতি ও তীব্রতা সম্পর্কে আঁচ পাওয়া যায়। এই ‘আর-ভ্যালু’র সাহায্যেখুব সহজেই বোঝা যায় এক ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যকেতির শরীরে সংক্রমণের সম্ভাবনা কতখানি রয়েছে।
সাধারণ ভাবে কোভিড সংক্রমণের প্রধান ইঙ্গিত কিন্তু জ্বর। ঠান্ডা গরমেও জ্বর আসতে পারে। আবার কোভিড সংক্রমণের ক্ষেত্রেও প্রথম থেকেই কিন্তু প্রধান লক্ষম হল জ্বর। এবার কারোর ক্ষেত্রে জ্বর দু-তিন দিন স্থায়ী হয়, আবার অনেকের ক্ষেত্রে এক সপ্তাহেরও বেশি থাকতে পারে সেই জ্বর। কিন্তু জানেন কি, জ্বর না হলেও আপনি আক্রান্ত হতে পারেন কোভিডে।
শরীরে যে কোনও সংক্রমণের এই প্রাথমিক লক্ষণ কিন্তু জ্বর। শরীরে কোনও রম সংক্রমণ হলে জ্বর আসবেই। শরীরে কোনও প্যাথোজেন প্রবেশ করলে তা আমাদের স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট করে দেয়। যখন শরীরের তাপমাত্রা বেশি থাকে তখন কিন্তু রোগ-প্রতিরোধ করাও বেশ কঠিন হয়ে পড়ে। গত বছরের একটি সমীক্ষা থেকে দেখা গিয়েছে, ৫৫ শতাংশেরও বেশি মানুষের মধ্যে প্রধান উপসর্গ হিসেবে ছিল জ্বর। সেই গবেষণায় আরও বলা হয়েছিল, যখন অনেক সংখ্যক মানুষ কোভিডে আক্রান্ত হবেন তখন কিন্তু উপসর্গ হিসেবে জ্বর থাকবে না। এছাড়াও হালকা উপসর্গ বা উপসর্গহীনদের ক্ষেত্রেও কিন্তু জ্বর নাও থাকতে পারে। তবে জ্বর না আসার অর্থ এই নয় যে, শরীর ঠিক ভাবে রোগ-প্রতিরোধ করতে পারছে না। প্রত্যেক মানুষের মধ্যে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা কিন্তু আলাদা।
কোভিড-১৯ আমাদের শ্বাসযন্ত্রের উপরের অংশকে প্রভাবিত করে। তবে গত ওমিক্রনের সংক্রমণের ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে বেশির ভাগের ক্ষেত্রেই গলা ব্যথার সমস্যা ছিল। এছাড়াও সর্দি, কাশি, কফ, ক্লান্তি, পেশির ব্যথা, মাথা ব্যথা এসবই ছিল বেশি। শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা বা হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা করাতে হয়েছে এমন ইঙ্গিত কিন্তু নেই। এছাড়াও গন্ধ না পাওয়া বা স্বাদের অনুভূতি চলে যাওয়া এরকমটা কিন্তু দেখা যায়নি। কোভিডের লক্ষণ ক্রমানুসারে প্রকাশিত পায়। এমন নয় যে, সকলেই সব লক্ষণ অনুভব করবেন। কোভিড ভাইরাসের সংস্পর্শে আসার পর শরীরে তার কতখানি প্রবাব পড়বে তা কিন্তু নির্ভর করে লিঙ্গ, বয়স এবং স্বাস্থ্যের উপর।
জ্বর, সর্দি, কাশির সমস্যা দুদিনের বেশি হলেই নিজেকে অন্যদের থেকে আলাদা রাখুন। বিশেষত বাড়িতে যদি কোনও বয়স্ক বা শিশু থাকেন। ফের দেখা দিচ্ছে কোভিডের সংক্রমণ। ফলে চিকিৎসকের কাছে যেতে এবং কোভিড পরীক্ষা করাতে কিন্তু দেরি করবেন না।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
আরও পড়ুন: COVID: নয়া কোভিডে সবচেয়ে বেশি কাহিল হয়ে পড়ছে শিশুরা, যে সব সম্ভাবনার কথা জানাচ্ছেন চিকিৎসকেরা