AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Heart Health: স্মার্টফোন শুধুই হৃদয় নয়, হার্টও ভাঙছে! গবেষণায় বড় সতর্কবার্তা…

Smartphone Harming Heart: অনেক সময়ই স্রেফ নেশার বশে কিংবা খালি সময় কাটাতেও ফোনেই নজর থাকে। সেটা ঘণ্টার পর ঘণ্টাও চলে। শুয়ে, বসে, রাস্তায় চলতে চলতে ফোন ঘাঁটার অভ্যেস নতুন নয়। আর এই বিষয়টিই চিন্তার হয়ে দাঁড়াচ্ছে।

Heart Health: স্মার্টফোন শুধুই হৃদয় নয়, হার্টও ভাঙছে! গবেষণায় বড় সতর্কবার্তা...
Image Credit: CANVA
| Updated on: Aug 10, 2025 | 11:43 PM
Share

স্মার্টফোন হৃদয় জোড়ে, ভাঙেও। কিন্তু হার্টেরও কি অনেক বড় ক্ষতি করছে? দীর্ঘ সময় ফোন ব্যবহার করলে চোখের ক্ষতি হয়, এটা কম বেশি সকলেরই জানা। কিন্তু পাশাপাশি আরও বেশ কিছু বিষয় থাকে, যা হয়তো ভেবেও দেখা হয় না। প্রয়োজনে ফোন ব্যবহার অবশ্যই জরুরি। কিন্তু অনেক সময়ই স্রেফ নেশার বশে কিংবা খালি সময় কাটাতেও ফোনেই নজর থাকে। সেটা ঘণ্টার পর ঘণ্টাও চলে। শুয়ে, বসে, রাস্তায় চলতে চলতে ফোন ঘাঁটার অভ্যেস নতুন নয়। আর এই বিষয়টিই চিন্তার হয়ে দাঁড়াচ্ছে। অন্তত বিশেষজ্ঞদের সতর্কবার্তা তাই বলছে।

একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, দীর্ঘ সময় ধরে স্মার্টফোন ব্যবহারের ফলে শরীরেও পরিশ্রম হয়। স্ট্রেস বাড়ে। যার ফলে হার্টরেট অনিয়মিত হয়ে উঠতে পারে। কার্ডিওভাসকুলারজনিত নানা সমস্যা তৈরি হতে পারে। বিশেষ করে Nomophobia-র মতো পরিস্থিতি তৈরির সম্ভাবনা বেশি। এর অর্থ, কিছুক্ষণের জন্যও ফোন ছাড়া থাকলে শরীরে এবং মানসিক ভাবে অস্বস্তি তৈরি হতে পারে। উদ্বেগের কারণে হার্টে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। স্মার্টফোনের নীল আলো ঘুমে বাধা সৃষ্টিও করে। যা হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হয়ে উঠতে পারে।

Nomophobia-র সঙ্গে হার্টরেটের কী সম্পর্ক? এই প্রশ্নটাও আসা স্বাভাবিক। এটা এমনই একটা পরস্থিতি যখন সামান্য কিছু সময়ের জন্যও ফোন হাতছাড়া হলে প্রচণ্ড উদ্বেগ তৈরি হয়। যার প্রভাব স্নায়ুতন্ত্র এবং হার্টে পড়ে। টেনশনে হার্টবিট বেড়ে যায়। হার্টরেট অনিয়মিত হয়ে পড়ে। হার্টের রোগ হওয়া অসম্ভব নয়।

এর থেকে নিজেকে দূরে রাখার উপায়ও রয়েছে। শুধু একটু সচেতন হতে হবে। সারা দিনে একটা নির্দিষ্ট সময় (যেটুকু সত্যিই প্রয়োজন) অবধি ফোন ব্যবহার করার অভ্যেস তৈরি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ঘুমনোর অন্তত এক ঘণ্টা আগে ফোনকে ছুটি দেওয়া। নিয়মিত ফোন না দেখা। অন্তত আধঘণ্টা পর হলেও কিছুক্ষণের জন্য ফোন ব্যবহার থেকে বিরত থাকা। দৈনন্দিন জীবনে শারীরীক কসরত যোগ করা। সেটা যে কোনও এক্সারসাইজ হতে পারে। ফ্রি-হ্যান্ড এক্সারসাইজেও কাজ হতে পারে। মেদ কমানোর জন্য যদি উপোস করা যায়, একদিন ফোন ব্যবহার না করে থাকা যায় না? চেষ্টা করে দেখতেই পারেন!

বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ: এই প্রতিবেদনের উদ্দেশ্য শুধুমাত্র তথ্য জানানো। কোনও রকম সমস্যা কিংবা দ্বিধা থাকলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ অথবা চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।