ওজন বেশির সমস্যায় অধিকাংশই এখন ভুগছেন। এমনও অনেক মানুষ আছেন যাঁরা নিয়মিত ভাবে ডায়েট করেন, খুব অল্প খাবার খান। তাতেও ওজন বেশি। কিছুতেই আর ঝরাতে পারছেন না। শুধু তাই নয়, জল-হাওয়া খেলেও যেন ওজন বেড়ে যাচ্ছে। এদিকে জিমে যাওয়ার সময় নেই। কারণ অফিসের ব্যস্ততা। একটানা দীর্ঘক্ষণ বসে কাজ করলে ওজন বাড়বেই। সেই সঙ্গে যদি ক্যালোরি মেপে খাবার না খাওয়া হয় তাহলে আরও বিপত্তি। বিজ্ঞাপনের পাল্লায় পড়ে অনেকে ওজন কমানোর ওষুধ খান। তবে এসব ওষুধে কোনও কাজ হয় না। আর তাই বাড়তি ওজন সব সময় ঝরিয়ে ফেলা খুব জরুরি। আর ওজন কমাতে ঠিকমতো সময়ও দেওয়া প্রয়োজন।
পুষ্টিবিদদের মতে ওজন কমাতে গেলে প্রথমেই মেটাবলিজম ভাল করতে হবে। সেই সঙ্গে ৩০ মিনিট শরীরচর্চার জন্য রাখতেই হবে। মেটাবলিজম যত ভাল হবে তত দ্রুত ফ্যাট গলবে। আর তাই রোজকার ডায়েটে যে সব খাবার অবশ্যই রাখতে হবে-
দারুচিনি- রক্তে থাকা গ্লুকোজকে দ্রুত স্থানান্তর দিতে সাহায্য করে দারুচিনি। সেই সঙ্গে শরীরে ইনসুলিনের মাত্রাও বজায় রাখে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতেও ভূমিকা রয়েছে এই দারুচিনির।
হলুদ- হলুদের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি গুণ। যা যে কোনও সংক্রমণ রোধ করতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে রয়েছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল গুণও। ফ্যাট গলাতে আর শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করে হলুদ।
টমোটো- রোজ টমেটোর জুস খেতে পারলে মহিলাদের জন্য খুব ভাল। টমেটোর মধ্যে অ্যাডিপোনেক্টিন প্রোটিন। যা শরীরের চর্বি ভেঙে দিতে সাহায্য করে।
তেঁতুল- শরীরে সেরোটোনিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে কাজে আসে তেঁতুল। তেঁতুল আমাদের খিদে আর চর্বি দুই নিয়ন্ত্রণে রাখে।
চিয়া বীজ- শরীরে চর্বি গলাতে দারুণ কাজ করে চিয়া সিডস। জলে চিয়া সিডস, লেবুর স্লাইস আর শসার স্লাইস ফেলে খাওয়া যেতে পরে। এছাড়াও ব্রেকফাস্টে দুধের মধ্যে চিয়া বীজ মিশিয়ে খেতে পারেন। এতেও ওজন কমে তাড়াতাড়ি।
লেটুস পাতা- লেটুস পাতার মধ্যে ১০ গ্রাম ফাইবার থাকে যা লিভারকে ডিটক্সিফাই করতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে শরীরের অতিরিক্ত চর্বি গলিয়ে দিতেও খুব ভাল কাজ করে লেটুস। লেটুস, অ্যাভোকাডো এসব চর্বি গলাতেও সাহায্য করে।