আমাদের সুস্থ সবল রাখতে শরীরে অনেকগুলি ভিটামিন কাজ করে। ভিটামিন এ, ই, সি, বি১২ আরও অনেক। এই সব ভিটামিনের নিজের নিজের কাজ রয়েছে। তাঁদের কম-বেশি হলে শরীরে তা নানা ভাবে প্রভাব ফেলে। যেমন ভিটামিন বি১২। সাধারণভাবে মানুষ এই বিষয়ে খুব একটা মাথা না ঘামালেও ডিএনএ সিন্থেসিস থেকে শুরু করে শক্তি উৎপাদন, সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেমের কার্যকারীতা বজায় রাখা এই সবেতেই বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এই ভিটামিন।
আবার এই ভিটামিনের ঘাটতি হলে শরীরে তার নানা প্রভাব পড়ে। জানেন সেগুলি কি কি?
মুড সুইং – ধরুন এই আপনার মন খুব ভাল রয়েছে। আবার পরক্ষণেই খুব রাগ হচ্ছে বা মন খারাপ। মুডের এই ভাল-খারাপের খেলা লেগেই রয়েছে। মহিলাদের ক্ষেত্রে পিরিয়ডসের সময় এই সমস্যা হয়। তবে কোনও কারণ ছাড়াই এই সমস্যা হলে বুঝতে হবে শরীরে ভিটামিন বি১২ ঘাটতি রয়েছে। এর ফলে অবসাদ, ভুলে যাওয়া এবং কগনিটিভি ফাংশন বিগড়ে যাওয়ার মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
মুখে ঘা – অনেকের মাঝে মাঝে মুখের ভিতরের বিভিন্ন জায়গায় ঘা হয়। ঘা হলে ব্যথা-জ্বালার চোটে খাওয়াদাওয়া করতেও সমস্যা হয়। এর কারণ মাউথ আলসার বা মুখের ঘায় হতে পারে। শরীরে ভিটামিন বি১২-এর ঘাটতি হলেও হতে পারে মুখের ঘা এবং জিভে হতে পারে প্রদাহ। জিভ লাল হয়ে যেতে পারে। এমনকী তা ফুলে যেতেও পারে। তাই এমনটা ঘটলে অবশ্যই ভিটামিন বি১২ যুক্ত খাবার খাওয়ার পরিমাণ বাড়ান। তাতেই শরীর ও স্বাস্থ্যের হাল ফিরবে।
বন্ধ্যাত্ব – মহিলাদের মধ্যে ভিটামিন বি১২-এর ঘাটতি হামেশাই দেখা যায়। তবে একে অবহেলা করা কিন্তু মোটে ঠিক কথা নয়। এর ফলে বন্ধ্যাত্বের মতো জটিল অসুখ হতে পারে। তাই বারবার চেষ্টা করেও প্রেগনেন্সি না এলে ভিটামিন বি১২ সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া বাড়ান। সমস্যার সমাধান না হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।