ঠান্ডা পড়ে গিয়েছে। এই সময়ে গরম কফির কাপে চুমুক দিতে মন চায় বার বার। কেউ কেউ তো আবার দিনে ৪-৫বার কফি খান। অনেকেই বলেন গরম বা কোল্ড কিংবা ব্ল্যাক কফি পান শরীরের জন্য উপকারী যেমন, মনের জন্যও তেমনই ভাল।
বিশেষজ্ঞরা জানান কফিতে থাকা ক্যাফিন, শক্তি বা ‘এনার্জি’ বর্ধক। মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায়। ব্ল্যাক কফি ‘টাইপ-২’ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও কমায়। কিন্তু উপকারই মেলে এমনটা নয়। অতিরিক্ত কফি খেলে। শারীরিক ও মানসিক ক্ষতি হয়। জানেন কী কী প্রভাব পড়তে পারে শরীরে?
প্রাপ্তবয়স্ক একজন মানুষের দৈনিক মোটামুটি ৪০০ মিলিগ্রাম ক্যাফিন গ্রহণ করা ভাল। এর চেয়ে বেশি পান করলে অনিদ্রা, খিটখিটে মেজাজ, পেট খারাপের মতো সমস্যা হতে পারে।
দিনে ৩-৪ কাপের বেশি কফি খাওয়া উচিত নয়। রোজ সকালে খালি পেটে কফি খেলে পাকস্থলীতে হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড তৈরি হয়। এই ক্ষতিকারক অ্যাসিড পাকস্থলীতে প্রচুর পরিমাণে জমলে তার থেকে হজমের সমস্যা হতে পারে।
কফির বীজে ক্যাফিন ছাড়াও অন্যান্য অম্ল জাতীয় উপাদান থাকে, যা নিয়মিত খেলে পাকস্থলীর গায়ে ক্ষত সৃষ্টি করে আলসার ও গ্যাসট্রিক রোগ হয়।
কফি এনার্জি বা শক্তি বৃদ্ধি করলেও একই সঙ্গে স্নায়ুতন্ত্রের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। দীর্ঘদিন ধরে বেশি কফি খেলে যৌনকার্যের মতো শরীরের স্বাভাবিক উদ্দীপনা নষ্ট হতে পারে।
দীর্ঘ দিন ধরে বেশি কফি খেলে শরীরের রক্তচাপ বৃদ্ধি পায়, যার থেকে ব্লাড প্রেশার রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। তাই কফি খান তবে অবশ্যই তা নিয়ম মেনে, পরিমিত ভাবে।