মাইগ্রেনের সমস্যা যাঁদের রয়েছে তাঁরাই একমাত্র জানেন এর কষ্ট। একবার মাইগ্রেনের ব্যথা শুরু হলে প্রায় দু’দিন পর্যন্ত থাকে। এমনকী মাইগ্রেনের যন্ত্রণায় কাবু হলে প্রাত্যহিক কাজ করাও কঠিন হয়ে ওঠে। অন্যদিকে, এখন উৎসবের মরশুম। পুজোর মধ্যে যদি হঠাৎ করে মাইগ্রেনের সমস্যা দেখা দেয় তখন কী করবেন। মাইগ্রেনের মাথা ব্যথা সাধারণ মাথা ব্যথা নয়। মূলত জিনঘটিত কারণ এই মাইগ্রেনের সমস্যার পিছনে দায়ী। শরীরে সেরেটোনিন নামক রাসায়নিকের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে গেলে মাইগ্রেনের সমস্যা দেখা দেয়। কিন্তু পুজোর কয়েকদিনের মধ্যেও যদি মাইগ্রেনের সমস্যা জাঁকিয়ে বসে, তাহলে পুরো মজাটাই মাটি হয়ে যেতে পারে। তাই পুজোর সময় মাইগ্রেনের সমস্যা এড়াতে মেনে চলুন এই টিপস…
পুজোর আনন্দের মাঝে খেতে ভুলে গেলে চলবে না। পুজো মানেই জমিয়ে খাওয়া-দাওয়া। অন্যদিকে, পেট খালি থাকলে কিংবা সময়মতো খাওয়া-দাওয়া না করলে মাইগ্রেনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে সময়মতো খাবার খাওয়ার কথা ভুলবেন না।
পুজোর আনন্দের মাঝে প্রচুর পরিমাণে জল পান করুন। মাইগ্রেনের সমস্যা থাকলে প্রচুর পরিমাণে জল পান করতে হবে। শরীরে ইলেকট্রোলাইটের মাত্রা কমে গেলে মাইগ্রেনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। দিনে অন্তত তিন লিটার জল পান করুন। এছাড়াও আপনি ডাবের জল, ফলের রস পান করতে পারেন। চড়া রোদে মাইগ্রেনের লক্ষণ প্রকাশ পেতে পারে। তাই সকালবেলা ঠাকুর দেখার প্ল্যান করে থাকলে সাবধান। চেষ্টা করুন চড়া রোদ এড়িয়ে চলতে। সেরকম হলে দুপুরের পরই রাস্তায় বের হন।
অস্বাস্থ্যকর খাওয়া-দাওয়াও মাইগ্রেনের সমস্যা বাড়িয়ে তুলতে পারে। পিৎজ্জা, বার্গারের মতো প্রক্রিয়াজাত খাবারে মাইগ্রেনে কষ্ট আরও বেড়ে যেতে পারে। তাই পুজোর সময় এই ধরনের খাবার এড়িয়ে চলুন। একই সঙ্গে ক্যাফেইন যুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন। চা, কফি পানের অভ্যাস মাইগ্রেনের সমস্যা বাড়িয়ে তোলে। এমনকী ডার্ক চকোলেট খেলেও মাইগ্রেনের ব্যথা ট্রিগার হতে পারে।
পুজোর সময় আনন্দ করতে গিয়ে দিনে মাত্র কয়েক ঘণ্টা ঘুমোচ্ছেন। মারাত্মক বিপদ ডেকে আনছেন। কম ঘুম এবং অত্যধিক মানসিক চাপ মাইগ্রেনের অন্যতম কারণ। তাই ঘুমের সঙ্গে কোনও সমঝোতা করা চলবে না। এর পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে ফল, তাজা শাক-সবজি খান। যদি মাইগ্রেনের যন্ত্রণায় কাবু হয়ে যান তাহলে অয়েল ম্যাসাজ করাতে পারেন। পেপারমিন্ট অয়েল দিয়ে মাথায় মালিশ করুন। এতে মাইগ্রেনে মাথার যন্ত্রণা থেকে আরাম পাবেন।