Sleep Fact: সামান্য শব্দেই ঘুম ভেঙে যায়? যে কোনও সময় শিকার হতে পারেন এই ৪ মারাত্মক রোগের

TV9 Bangla Digital | Edited By: রেশমী প্রামাণিক

Jan 15, 2023 | 12:30 PM

Health Risk Of Light Sleeper: পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম না হলে মেজাজ তিরিক্ষি হয়ে যায়। ডিপ্রেশন, অ্যাংজাইটি অতিরিক্ত আরও নানা সমস্যা ডেকে আনে

Sleep Fact: সামান্য শব্দেই ঘুম ভেঙে যায়? যে কোনও সময় শিকার হতে পারেন এই ৪ মারাত্মক রোগের
না ঘুমোলেই বিপদ

Follow Us

শরীর সুস্থ রাখতে ঘুম খুবই প্রয়োজন। ঘুম ঠিকমতো না হলে ওজন বাড়ে, ডিপ্রেশন আসে, সেই সঙ্গে সারাদিন মন মেজাজ খিটখিটে হয়ে থাকে। এছাড়াও নিয়মিত ভাবে কম ঘুম হলে শরীরের উপরেও তার প্রভাব পড়ে। মস্তিষ্ক ঠিক করে কাজ করতে পারে না। আর তাই রোজ ৭-৮ ঘন্টা ঘুম খুবই জরুরি। তবে অনেকের ঘুমের সমস্যা থাকে। অনিদ্রা,স্লিপ অ্যাপনিয়া, রাতে ঘন ঘন প্রস্রাব পাওয়া, নাক ডাকা, ঘুমের মধ্যে হাঁটলে এই ঘুম না হওয়ার সমস্যা আরও অনেক বাড়ে। স্লিপ ফাউন্ডেশনের মতে, যাঁদের ঘুম খুব পাতলা তাঁরা যত গভীর ঘুমেই থাকুন না কেন সামান্য শব্দ হলেই জেগে ওঠেন। যাঁদের ঘুম পাতলা তাঁদের মধ্যে বিরক্তিও বেশি থাকে। এদিকে হঠাৎ করে ঘুম ভেঙে গেলে সেই ঘুম আর পরে হয় না। ফলে সারাদিন শরীরে একটা অস্বস্তি লেগে থাকে। ঘুমের এমন সমস্যা হলে শরীরে একাধিক রোগ জাঁকিয়ে বসার সুযোগ পেয়ে যায়।

ডায়াবেটিস- ঘুম যদি একেবারে কম হয় তাহলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বেড়ে যায়। আর ডায়াবেটিস আসলে রাতে বার বার ঘুম ভেঙে যায়। রোজ ৭ ঘন্টার কম ঘুম হলে শরীরে ইনসুলিন প্রতিরোধ ক্ষমতা একেবারে কমে যায়। অর্থাৎ পর্যাপ্ত পরিমাণ ইনসুলিন তৈরি হয় না শরীরে। একই সঙ্গে খিদে বাড়ে, তেষ্টা বাড়ে। এর ফলে রক্তশর্করা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। যে কারণে ডায়াবেটিসের রোগীদের বেশি করে ঘুমনোর পরামর্শ দেওয়া হয়।

হার্টের সমস্যা- কম ঘুম হলে কোলেস্টেরল, রক্তচাপ এসব বাড়তেই থাকে। যার ফলে হৃদরোগের ঝুঁকিও বাড়ে। রাতে ঘুম ভাল না হলেই বাড়ে হার্ট অ্যার্টাকের ঝুঁকি।

ওবেসিটি- ঘুমের সমস্যা হলে শরীরে হরমোনের ভারসাম্যহীনতা তৈরি হয়। শরীরে হরমোনের ভারসাম্যে সমস্যা হলে অনেকের খিদে বেড়ে যায়। অকারণে খিদে পায়। পেট ভরা থাকলেও মনে হচ্ছে খিদে পাচ্ছে। ঘুম কম হলেই এই সমস্যা বাড়ে। এছাড়াও হরমোনের তারতম্য হলে সেখান থেকে একাধিক রোগ সমস্যাও দেখা দেয়।

পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম না হলে মেজাজ তিরিক্ষি হয়ে যায়। ডিপ্রেশন, অ্যাংজাইটি অতিরিক্ত আরও নানা সমস্যা ডেকে আনে। তাই চেষ্টা করতে হবে দিনের মধ্যে ৭-৮ ঘন্টা ঘুমোতেই হবে। এছাড়াও প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমনো, ঘুমনোর ৬০ মিনিট আগে মোবাইল, ল্যাপটপ ব্যবহার না করা, বিকেলে না ঘুমনো এবং রাতে হালকা খাবার খাওয়া- এই সব অবশ্যই মেনে চলতে হবে ভাল ঘুমের জন্য।

Next Article