ডায়াবেটিসের নির্দিষ্ট কোনও চিকিৎসা নেই। কিন্তু বিশ্বজুড়ে ক্রমশই চওড়া হচ্ছে ডায়াবেটিসের থাবা। আমরা যখন কোনও খাবার খাই, তখন আমাদের প্যানক্রিয়াস থেকে ইনসুলিন নিঃসৃত হয়। ইনসুলিনের কাজ হলো, যে খাবার খাওয়া হচ্ছে তার মধ্যে যে অতিরিক্ত গ্লুকোজ থাকে তার পরিমাণ কমিয়ে দেওয়া। যখন ইনসুলিনের উৎপাদন কমে যায় বা ইনসুলিন তৈরি হলেও কোনও কাজ করতে পারে না, তখন শরীরে অতিরিক্ত গ্লুকোজ থেকে যায়। রক্তে অতিরিক্ত সুগার জমে যাওয়াই হল ডায়াবেটিসের সমস্যা।
ডায়াবেটিস কখনই পুরোপুরি সেরে যেতে পারে না। একে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় মাত্র। আবহাওয়ারও প্রভাব থাকে আমাদের রোজকার জীবনযাত্রায়। গরমের দিনে তাপমাত্রা এবং আর্দ্রতা বেশি থাকে। তেই প্রভাব পড়ে শরীরেও। এছাড়াও গরমের দিনে আ্, কাঁঠাল, মিষ্টি দই, মিষ্টি, শরবত এসব বেশি খাওয়া যায়। যে কারণেও কিন্তু সুগার বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। যে কারণে ডায়াবেটিকের রোগীদের তাই বেশি করে জল খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। এর পাশাপাশি ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খান।
ফিটনেস বিশেষজ্ঞ Mickey Mehta তাই সুগার রোগীদের জন্য দিলেন বিশেষ পরামর্শ। বছরভর এই কিছু পানীয়, শাকসবজি আর ফল যদি ডায়েটে রাখতে পারেন তাহলে শরীর থাকবে ভাল। রক্ত শর্করাও থাকবে নিয়ন্ত্রণে। আসবে না ডিহাইড্রেশন, ক্লান্তি, দুর্বলতার সমস্যাও। সুগার বাড়লে মনের মধ্যে একরকম অস্থিরতাও কাজ করে। টেনশন বেশি হলে সেখান থেকেও সুগার বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য রইল বিশেষ টিপস। এইভাবে খাওয়া-দাওয়া করলে বছরভর নিয়ন্ত্রণে থাকবে সুগার।
পানীয়ের মধ্যে যে সব খাবেন-
ডাবের জল
নুন-চিনির জল
শসা-লেবুর জল
চিয়া সিডস
গ্রিন টি়
আদা-তুলসির চা
এই সবকটি পানীয়ই শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে। সেই সঙ্গে শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টিরও যোগান দেয়। শরীরে সোডিয়াম-পটাশিয়ামের মাত্রা বজায় রাখতে ভূমিকা রয়েছে এই ডাবের জলের। এছাড়াও একলিটার জলে লেবু আর শসার স্লাইস দিয়ে খান। এই জলও শরীরের খুব কাজে লাগে। চিয়া সিডসের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার। সেই সঙ্গে চিয়াসিডস আমাদের রক্তশর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে।
সবার জন্যই শাকসবজি খুব গুরুত্বপূর্ণ। তবে ডায়াবেটিসের রোগীরা সারা বছর নিয়ম করে পালং শাক, ব্রকোলি, মটরশুঁটি, ক্যাপসিকাম, গাজর, টমেটো, বিটরুট, ফুলকপি এসব অবশ্যই খাবেন। এতে শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টির চাহিদাও বজায় থাকে। সেই সঙ্গে শরীর ভাবলও থাকে। এছাড়াও চেষ্টা করতে হবে স্টার্চহীন সবজি খাওয়ার। আলু-চিনি একেবারেই বাদ দিন রোজতারের ডায়েট থেকে। যত বেশি রঙিন সবজি খেতে পারবেন ততই কিন্তু ভাল।
ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল যত বেশি খেতে পারবেন ততই ভাল। এছাড়াও মরশুমি ফলের উপর জোর দিন। লেবু বেশি করে খান। পাশাপাশি শসা, ন্যাশপাতি, আপেল, বেদানা, সবেদা, খেজু র এসবও কিন্তু নিয়মিত ভাবে খাবেন। কলা এড়িয়ে চলাই ভাল।