Diabetes diet: ডায়েটে এই সব্জিগুলো খান ডায়াবেটিসে! রক্তে সুগার কমবে হু হু করে

ডায়াবেটিস কন্ট্রোলে জীবনশৈলীর বিরাট ভূমিকা আছে। বিশেষ করে খাদ্য নির্বাচনে সতর্ক হতেই হয়। জানলে অবাক হবেন, বেশ কিছু খাদ্য আছে যা খেলে রক্তের সুগার নিয়ন্ত্রিত হতে থাকে ম্যাজিকের মতো।

Diabetes diet: ডায়েটে এই সব্জিগুলো খান ডায়াবেটিসে! রক্তে সুগার কমবে হু হু করে
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 30, 2022 | 8:09 AM

সুগার (Blood Sugar)  ২ ধরনের। টাইপ ১ এবং টাইপ ২। টাইপ ১ সুগারে দেহে ইনসুলিন নামে বিশেষ একটি হরমোন অনুপস্থিত থাকে। এই ধরনের রোগীকে বাইরে থেকে ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে ইনসুলিন নিতে হয়। অন্যদিকে টাইপ ২ সুগারে রক্তে ইনসুলিন হর্মোন কম ক্ষরণ হয় বা ইনসুলিন সঠিকভাবে কাজ করতে পারে না। ইনসুলিনের (Insulin) কাজ হল রক্ত থেকে সুগারকে কোষে কোষে পৌঁছে দেওয়া। ফলে যে ব্যক্তির দেহে সঠিকভাবে ইনসুলিন তৈরি হয় না বা কাজ করতে পারে না তিনি শর্করাজাতীয় খাদ্য বেশি খেলে তার রক্তে সুগারের মাত্রা (Blood Sugar Level) দ্রুত বাড়বেই। তাই ডায়াবেটিসের (Diabetes) রোগীর উচিত এমন কিছু খাদ্য খাওয়া যা রক্তে সুগারের মাত্রা ধীরে ধীরে বাড়ায়। মূলত যে সকল খাদ্যে রাফেজ বা ফাইবারের মাত্রা বেশি সেইসকল খাদ্য খেলে রক্তে সুগারের মাত্রা বাড়ে ধীরে ধীরে।

এছাড়া দেখা গিয়েছে ফাইবারযুক্ত খাদ্য খেলে পেট দীর্ঘসময় ভরে থাকার অনুভূতি মেলে। ফলে তাড়াতাড়ি খিদে পায় না। বারবার খাবারও খেতে হয় না। তাই ইনসুলিনের কাজ করতে সুবিধা হয়। রক্তে সুগারের মাত্রাও থাকে নিয়ন্ত্রণে। প্রশ্ন হল বিশেষজ্ঞরা ঠিক কোন ধরনের খাদ্য খাওয়ার উপর জোর দেন? চিকিৎসকের মতে ডায়াবেটিসের রোগীর উচিত বেশি পরিমাণে শাকসব্জি খাওয়া। শাকসব্জিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার জাতীয় উপাদান থাকে। আবার বিশেষ কিছু শাকসব্জি রয়েছে যেগুলির মধ্যে ফাইবারের সঙ্গে ভিটামিন ও খনিজের মতো পুষ্টি উপাদানের মাত্রা থাকে যথেষ্ট। ফলে ওই ধরনের বিশেষ কিছু শাকসব্জি পাতে রাখলে রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি দীর্ঘস্থায়ী কিছু সুফল মেলে। দেখা যাক সেগুলি কী কী—

ব্রকোলি

এই সব্জিতে ক্যালোরির মাত্রা সামান্য। তবে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে উপকারী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও খনিজ। এছাড়া ডায়েটরি ফাইবারের মাত্রাও রয়েছে যথেষ্ট বেশি।

গাজর

গাজরে একাধিক ভিটামিন রয়েছে। খনিজও রয়েছে পর্যাপ্ত মাত্রায়। এছাড়া রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। এর ফলে গাজর খেলে দীর্ঘ সময় খিদে পায় না। এছাড়া একাধিক ভিটামিন ও খনিজ থাকায় গাজর আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। দৃষ্টিশক্তিও মজবুত করে।

শশা

এই সব্জিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে জলীয় উপাদান। ফলে শসা খেলে শরীরে জলশূন্যতার সমস্যা দেখা দেয় না। আবার শশায় রয়েছে প্রচুর ফাইবার। ক্যালোরি প্রায় নেই বললেই চলে। তাই ডায়াবেটিস রোগীর জন্য পর্যাপ্ত খাদ্য খাওয়ার পরেও খিদে পেলে তাঁরা ইচ্ছেমতো শশা খেতে পারেন।

সবুজ বীনস

প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও ভিটামিন এ রয়েছে সবুজ বীনস-এ। আর রয়েছে উপকারী ফাইবার। ফলে ডায়াবেটিস রোগীর ইমিউনিটির বৃদ্ধির সঙ্গে দৃষ্টিশক্তিও ভালো রাখে।

পালং

সুপার ফুড পালং। কারণ পালং-এ রয়েছে একাধিক উপকারী ভিটামিন ও খনিজ। অথচ ক্যালোরির মাত্রা রয়েছে সামান্য। আছে প্রচুর পরিমাণে আয়রনের মতো খনিজ। ফলে অ্যানিমিয়াও দূর করতে সক্ষম পালং।

জুকিনি

ক্যারোটিনোয়েডস বা বিশেষ ধরনের উপকারী ফাইটোকেমিক্যাল রয়েছে জুকিনি নামে সব্জিতে। এই সব্জি বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার প্রতিরোধেও সক্ষম। এছাড়া এই সব্জিতে ক্যালোরির মাত্রাও থাকে অত্যন্ত কম। ফাইবারের মাত্রাও বেশি। ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে।