Pompeii, Troy: এ এক এমন শহর যা বেঁচে আছে গল্পে, কী বলেছিলেন প্লেটো?

Pompeii: একটা প্যাপিরাসে প্লেটোর জীবনের শেষ মুহূর্তের কথা লেখা আছে। সেই সন্ধেয় জ্বরে প্রায় বেঁহুশ অবস্থায় বীণা শুনছিলেন অশীতিপর দার্শনিক। বীণা শুনতে শুনতেই মারা যান। এতদিন মনে করা হত অ্যাথেন্সের কোথাও আছে প্লেটোর সমাধি...

Pompeii, Troy: এ এক এমন শহর যা বেঁচে আছে গল্পে, কী বলেছিলেন প্লেটো?
| Edited By: | Updated on: May 09, 2024 | 10:59 PM

একটা ভাঙা ঘর। ছাদ নেই। দেওয়ালে আঁকা একটা ছবি। আমার পাশে সেই ছবিটা দেখতে দেখতে আমার কথা শুনুন। ট্রয়ের রাজকুমার প্যারিস, স্পার্টার রাজা মেনেলাউসের স্ত্রী হেলেনকে নিয়ে ট্রয়ে পালিয়ে আসেন। পরিণামে গ্রিকরা ট্রয় আক্রমণ করে। ট্রোজান ওয়ারের এই গল্প আমরা সবাই জানি। ছবিতে যে যুবকটিকে দেখছেন তিনি প্যারিস। তাঁর পায়ের কাছে একটা বাঘ বসে আছে। উল্টোদিকে হেলেন আর তাঁর পরিচারিকা। যে ঘরের দেওয়ালে এই ছবিটা রয়েছে সেটা পম্পেইয়ের। দুশো বছর ধরে এখানে খোঁড়াখুঁড়ি চলছে। এখনও শহরের এক-তৃতীয়াংশ ভিসুভিয়াসের ছাইয়ের নীচে চাপা পড়ে আছে। কয়েকদিন আগে সেই ছাইয়ের নীচে হদিশ মেলে এই ভাঙা ঘরটার। আর তার দেওয়ালে এই ফ্রেস্কো। দু-হাজার বছর ধরে ছাইচাপা থাকার পরও যার উজ্জ্বলতায় কোনও ভাটা পড়েনি। প্রত্নতত্ত্ববিদরা বলছেন এতদিন পম্পেইকে প্রাচীন রোমান বন্দর নগরী বলেই মনে করা হত। এই ফ্রেস্কো দেখিয়ে দিচ্ছে শুধু ব্যবসার জায়গা নয়। রোমানদের শিল্প-সংস্কৃতির অন্যতম পীঠস্থানও ছিল পম্পেই। আজ থেকে প্রায় আড়াইশো বছর আগে পম্পেইয়ের ধ্বংসস্তুপ থেকে উদ্ধার হয়েছিল একটা আস্ত প্যাপিরাসের লাইব্রেরি। পাওয়া যায় প্রায় ২ হাজার প্যাপিরাসের পুঁথি। লাইব্রেরির মালিক ছিলেন জুলিয়াস সিজারের শ্বশুর। আগুনে পুড়ে এসব প্যাপিরাস প্রায় নষ্ট হয়ে যায়। সম্প্রতি অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে গ্রানৎজিয়ানো রানোচিয়া নামে পিসা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপক এগুলোর কয়েকটার পাঠোদ্ধার করেছেন। সংবাদমাধ্যমে তিনি জানিয়েছেন একটা প্যাপিরাসে প্লেটোর জীবনের শেষ মুহূর্তের কথা লেখা আছে। সেই সন্ধেয় জ্বরে প্রায় বেঁহুশ অবস্থায় বীণা শুনছিলেন অশীতিপর দার্শনিক। বীণা শুনতে শুনতেই মারা যান। এতদিন মনে করা হত অ্যাথেন্সের কোথাও আছে প্লেটোর সমাধি। কিন্তু এই প্যাপিরাস নাকি বলছে পম্পেইয়ের কাছেই হারকিউলেনিয়ামে তাঁকে সমাহিত করা হয়। পম্পেইয়ের গল্প আপনাদের বললাম। এবার আপনাদের আরেকটা শহরের কথা বলবো। যে শহরকে নিয়ে গল্পের শেষ নেই। এমনকি প্লেটোর লেখাতেও তার কথা আছে। কিন্তু সে শহরের খোঁজ কেউ কোনওদিন পায়নি।

প্রতিরক্ষায় নতুন বন্ধু পেতে চলেছে ভারত। সলতেটা বেশকিছু দিন ধরেই পাকানো হচ্ছিল। এখন মনে হচ্ছে কাজ অনেকটাই এগিয়ে গেছে। তাই খবরটা আপনাদের দিয়েই ফেলি। চিনের বিরুদ্ধে ভারতের হাত শক্ত করতে চলেছে জার্মানি। দেখুন জার্মানির সঙ্গে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ভারতের সমঝোতা সেভাবে কোনওদিনই ছিল না। অথচ গতবছর আচমকাই জার্মান ডিফেন্স মিনিস্টার বরিস পিস্তোরিয়াস দিল্লি আসেন। আর দিনকয়েক আগেই ভারতে নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত ফিলিপ অকারম্যান বলেন, তাঁদের দেশে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত হয়েই গেছে। ভারত সাড়া দিলেই প্রতিরক্ষায় দু-দেশের একসঙ্গে চলা শুরু হবে। চলার শুরুটা হচ্ছে বলতে পারেন আগামী অগাস্ট মাসে। ভারতের মাটিতে ভারতীয় বায়ুসেনার সঙ্গে যৌথ বিমান মহড়ায় অংশ নেবে জার্মান এয়ার ফোর্স। ভারতের আকাশে উড়বে জার্মানির টর্নোডো জেট, ইউরোফাইটার। ভারতীয় নৌ-বাহিনীর জন্য নতুন সাবমেরিন তৈরিতে প্রজেক্ট-৭৫-এর কাজ যে শুরু হয়েছে। এখবর আমি আপনাদের আগেই দিয়েছিলাম। এজন্য টেন্ডারে অংশ নিচ্ছে জার্মান সংস্থা থাইসেনকর্প মেরিন সিস্টেমস। এখন প্রশ্ন হল জার্মানি কেন আমাদের নিয়ে এত আগ্রহ দেখাচ্ছে। আমার যেটা মনে হয় বার্লিনের আশঙ্কা ভবিষ্যতে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে চিন তাদের পক্ষে থ্রেট হতে পারে। এজন্য ইন্দো-প্যাসিফিকে পা রাখতে চাইছে তারা। আর সেটা ভারতকে ছাড়া সম্ভব নয়। রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধে দিল্লির নিরপেক্ষতাও জার্মানিকে ভারত নিয়ে আগ্রহী হওয়ার সুযোগ দিয়েছে। অন্যদিকে লাভ আমাদেরও। দুনিয়া সেরা জার্মান প্রযুক্তি। জার্মান কারিগরি সহজলভ্য হতে পারে দু-দেশ কাছাকাছি এলে। আরেকটা খবরও আপনাদের দিয়ে রাখি। ইউক্রেনে অস্ত্র পাঠাতে দিল্লির সাহায্য চায় বার্লিন। জার্মান নিউজ ম্যাগাজিন Der Spiegel এমন দাবি করেছে। তবে সাউথ ব্লক এনিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি।

Follow Us: