শীত মানেই শরীরের অতিরিক্ত ওজন বেড়ে (Weight gain) যাওয়া। এর নেপথ্য কাহিনি অবশ্য বেশ লম্বা। কারণ পার্টি, পিকনিক থেকে বিয়েবাড়ি- সবই কিন্তু লেগেই থাকে এই শীতকালে। মশলাদার খাবার পরিমাণে অনেক বেশি খাওয়া হয়। জল খুবই কম খাওয়া হয়। এছাড়াও শীতে আমাদের মধ্যে আলসেমি লেগেই থাকে। ফলে শরীরচর্চা কম হয়। অন্যদিকে অ্যালকোহল-সহ বিভিন্ন পানীয় শীতেই সবচেয়ে বেশি খাওয়া হয়। এদিকে গরম কাল মোটেই শীতকালের মত আয়েষ করে কাটে না। রীতিমতো ঘাম ঝরিয়ে (Weight loss tips) পরিশ্রম করতে হয়। সেই সঙ্গে জল বেশি পরিমাণে খেতে হয়। ভাজা-মশলাদার খাবার অনেক কম খাওয়া হয়। সবাই হালকা খাবার খান। যে কারণে কিন্তু ওজন কিছুটা হলেও কমে। যে কারণে শীতের তুলনায় গ্রীষ্মে ওজন কমানো (Weight loss in summer) কিছুটা হলেও সহজ।
গরমকালে শরীরের জন্য জলের চাহিদা থাকে বেশি। কারণ এই সময় শরীর বেশি শুষ্ক হয়ে যায়। তবে তেষ্টা মেটাতে চিনিযুক্ত পানীয় কিংবা কোল্ড ড্রিংক কিন্তু কম খাওয়াই ভাল। এতে ওজন বেড়ে যায় অনেকখানি। পরিবর্তে যদি এই দুটো উপাদান যোগ করা যায় রোজকার ডায়েটে তাহলে ওজন কমে দ্রুত সেই সঙ্গে শরীরে মেটে পর্যাপ্ত জলের চাহিদাও।
আমাদের দেশে গ্রীষ্মকালে শরীরে জলের চাহিদ পূরণে সবথেকে ভাল সাহায্য করেল ডাবের জল। প্রায় সারা বছরই পাওয়া যায়। ডাবের জলের মধ্যে রয়েছে ফাইবার, প্রোটিন, পটাশিয়াম, ভিটামিন, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, অ্যামাইনো অ্যাসিড-সহ গুরুত্বপূর্ণ কিছু খনিজ। যা আমাদের শরীরকে যেমন প্রয়োজনীয় পুষ্টি দেয় তেমনই ফ্যাট কমাতেও সাহায্য করে। এছাড়াও ডাবের জল হজমও হয় সহজে। এই জলের মধ্যে থাকে প্রয়োজনীয় কিছু এনজাইম। যা আমাদের বিপাক হার বাড়ায়, আর দ্রুত ফ্যাটও গলায়। ডাবের জলের মধ্যে কোনও ক্যালোরি থাকে না। ওজন কমাতে এবং শরীরে জলের চাহিদা পূরণে যে কারণে ডাবের জলের কোনও তুলনা হয় না।
শীত মানেই লেবু আর নুন-চিনি দিয়ে শরবত। বহু যুগ ধরেই কিন্তু এই শরবতের প্রচলন। আগেকার দিনে বাড়িতে কেউ আসলে কোল্ড ড্রিংক নয়, শরবত দিয়েই আপ্যায়ন করা হত। লেবুর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি, রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। আর এই লেবুর জল আমাদের শরীরকে অনেক বেশি সতেজ রাখে। হজমে সাহায্য করে। শরীর থেকে ক্ষতিকর টক্সিন দূর করে। শরীরের আভ্যন্তরীন সিস্টেমকে পরিষ্কার রাখে। যে কারণে ওজন কমাতেও লেবুর জল ভীষণ ভাবে কার্যকরী। নিয়মিত ভাবে গরম জলে লেবু দিয়ে খেলে তাও কিন্তু ফ্যাট গলাতে কার্যকরী। এই গরম জলে লেবুর সঙ্গে যোগ করতে পারেন এক চামচ মধুও। এছাড়াও মধু কিন্তু আমাদের শরীরে শক্তিরও যোগান দেয়।
তবে মনে রাখতে হবে নুন বা চিনি কোনওটাই বেশি পরিমাণে খাওয়া যাবে না। এতে ওজন বৃদ্ধির আশঙ্কা থেকে যায়। তবে পরিমাণ মতো নুন-চিনি দিয়ে লেবুর জল বানিয়ে দিনের মধ্যে তিন-চার গ্লাস খেতে পারেন। এতেও ওজন কমে তাড়াতাড়ি।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।