দক্ষিণবঙ্গে ৪৫ ডিগ্রি ছুঁয়ে ফেলেছে পারদ। তাপপ্রবাহও চলছে। এই আবহাওয়ায়, কাঠফাটা রোদে বেরোলে যে কোনও মুহূর্তে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন। শরীরের তাপমাত্রা যদি বেড়ে যায়, তরলে ঘাটতি তৈরি হয়, সেক্ষেত্রে গরমে শরীর দুর্বল হয়ে যায়। অনেক সময় রোদে বেরোলেই রক্তচাপ কমে যায়। রোদে বেরিয়ে গা গোলানো, মাথা ঘোরা, মাথা ঝিমঝিম করার মতো লক্ষণগুলোকে হালকা ভাবে নেবেন না। এগুলোই হঠাৎ রক্তচাপ কমে যাওয়ার লক্ষণ। অনেক সময় রক্তচাপ কমে যাওয়ার কারণে রোগী অজ্ঞানও হয়ে যেতে পারে। এই গরমে হঠাৎ করে রক্তচাপ কমে গেলে কী-কী করবেন? রইল টিপস।
১) রক্তচাপ যদি আগাগোড়াই কম হয়, সেক্ষেত্রে কাজে আসবে নুন। উচ্চ রক্তচাপে নুন সম্পূর্ণরূপে এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। কিন্তু নিম্ন রক্তচাপে নুনে থাকা সোডিয়াম প্রেশারকে স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। এই গরমে লো-প্রেশারের সমস্যা এড়াতে নুন-চিনির জল খেতে পারেন। কিংবা কোনও শরবতে নুন-চিনি মিশিয়ে খেতে পারেন।
২) ৪৫ ডিগ্রি তাপমাত্রা। এই গরমে শরীরকে ঠান্ডা ও হাইড্রেটেড রাখা ভীষণ জরুরি। তাই প্রচুর পরিমাণে জল পান করুন। এতে শারীরিক ক্লান্তি ও দুর্বলতা, মাথা ঘোরা, মাথা ব্যথা, বমি বমি ভাবের মতো উপসর্গগুলো এড়ানো যায়।
৩) হঠাৎ করে রক্তচাপ কমে গেলে, শরীরে অস্বস্তি ও দুর্বলতা তৈরি হলে চোখে-মুখে ঠান্ডা জলের ঝাপটা দিন। এতে আপনার স্নায়ুগুলো স্থিতিশীল হবে। আঁটসাঁট পোশাক পরলে তা খুলে দিন। রাস্তায় বেরিয়ে এমনটা হলে ছায়ায় বসুন। আর বাড়িতে হলে পাখার তলায় বসুন। পা দু’টো উপরের দিকে কিছুক্ষণ তুলে রাখুন। এতে দেহের রক্ত সঞ্চালন ঠিক থাকবে। দেহের তাপমাত্রাও ধীরে-ধীরে স্বাভাবিক হবে।
৪) আপনি যদি নিম্ন রক্তচাপের সমস্যায় ভোগেন, সেক্ষেত্রে নিয়মিত শরীরচর্চা করুন। উচ্চ রক্তচাপেও এই নিয়ম আপনাকে মানতে হবে। তবেই দেহের স্বাভাবিক রক্তচাপ বজায় রাখতে পারবেন। পাশাপাশি হৃদরোগ সহ একাধিক রোগের ঝুঁকি কমাতে পারবেন।
৫) এই গরমে চা-কফি থেকে দূরে থাকুন। ক্যাফেইন যুক্ত পানীয় দেহের তাপমাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। একইভাবে, মদ্যপান এড়িয়ে চলুন। অ্যালকোহল শরীরকে ডিহাইড্রেট করে তুলতে পারে। এমনকি তেল, মশলাদার খাবারও এড়িয়ে চলুন।