AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

মাইগ্রেন, সাইনাস নাকি বড় কোনও বিপদ? লুকিয়ে রয়েছে মাথা ব্যথার ধরনে, জেনে নিন আপনিও

Headache: সব মাথাব্যথা এক রকম নয়, আবার সব মাথাব্যথাই সাধারণ চাপ বা টেনশনের কারণেও হয় না। মাথাব্যথার প্রকৃতি, সময়, স্থান ও তীব্রতা দেখে বোঝা যায় কোন রোগের নেপথ্যে কী কারণ?

মাইগ্রেন, সাইনাস নাকি বড় কোনও বিপদ? লুকিয়ে রয়েছে মাথা ব্যথার ধরনে, জেনে নিন আপনিও
| Updated on: Jul 19, 2025 | 6:24 PM
Share

মাথাব্যথা খুব সাধারণ উপসর্গ হলেও এর পেছনে লুকিয়ে থাকতে পারে একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যা। যা নিয়ে সময় মতো সচেতন না হলে বড় বিপদে পড়তে হতে পারে। সব মাথাব্যথা এক রকম নয়, আবার সব মাথাব্যথাই সাধারণ চাপ বা টেনশনের কারণেও হয় না। মাথাব্যথার প্রকৃতি, সময়, স্থান ও তীব্রতা দেখে বোঝা যায় কোন রোগের নেপথ্যে কী কারণ?

১. টেনশনের কারণে মাথাব্যথা সবচেয়ে বেশি সাধারণ বিষয়। এই ক্ষেত্রে মাথার দুপাশে চাপ লাগার মতো অনুভূতি হয়। গলা ও কাঁধে টান লাগে। হালকা থেকে মাঝারি ব্যথা হতে পারে। মূলত স্ট্রেস, অনিদ্রা, দীর্ঘ সময় মনোযোগী কাজ করলে এই সমস্যা হতে পারে। বিশ্রাম নিলে, পর্যাপ্ত ঘুমোলে বা হালকা ব্যায়াম করলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে।

২. মাইগ্রেন মাথা ব্যথার অন্যতম প্রধান কারণগুলির মধ্যে একটি। একপাশে তীব্র মাথাব্যথা, সঙ্গে আলোর প্রতি সংবেদনশীলতা। এর ফলে চোখের চারপাশে বা মাথার এক পাশে কাঁপুনি বা ধাক্কা দেওয়ার মতো ব্যথা হয়। বমি বমি ভাব বা বমি হতে পারে। আলো ও শব্দে বিরক্তি লাগে।

হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, খাবার খাওয়া, ঘুমের ব্যাঘাত, মানসিক চাপের কারণে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। নির্দিষ্ট ওষুধ, ক্যাফেইনযুক্ত পানীয়, আলো-শব্দ এড়িয়ে বিশ্রাম নিলে সমস্যা কমে।

৩. সাইনাসের ব্যথা – সাইনাস ইনফেকশন বা প্রদাহের কারণে মাথা ব্যথা হতে পারে। চোখ, গাল বা কপালে চাপ বা ভার, নাক বন্ধ বা সর্দি থেকেও ব্যথা হতে পারে। মাথা নিচু করলে ব্যথা বাড়ে। চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ খেতে হবে।

৪. ক্লাস্টার হেডেক – খুবই তীব্র ও আকস্মিক ব্যথা। এটি হলে চোখের পাশে বা পেছনে তীব্র ব্যথা হয়। চোখ লাল হয়ে যাওয়া, জল পড়া, নাক দিয়ে জল পড়ার মতো সমস্যা দেখা যায়। এর পিছনে কারণ নির্দিষ্ট নয়, তবে নার্ভ সংক্রান্ত সমস্যা হতে পারে। অক্সিজেন থেরাপি, নিউরোলজিস্টের পরামর্শ প্রয়োজন হতে পারে।

৫. আচমকা বাজ পড়ে যাওয়ার মতো ব্যথা, সঙ্গে চোখে ঝাপসা, কথা জড়ানো বা অচেতন হয়ে পড়া, জ্বর, ঘাড় শক্ত হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা হলে দ্রুত চিকিৎসা নেওয়া জরুরি। এটি ব্রেন হেমারেজ, মেনিনজাইটিস বা স্ট্রোকের লক্ষণ হতে পারে।