Monkeypox In India: কোভিডের মত ভয়ংকর নয়, কিন্তু সচেতন না হলেই বাড়বে বিপদ! জানাচ্ছেন দেশের শীর্ষ বিজ্ঞানীরা

Monkeypox Outbreak: ভারতের জন্য এই ভাইরাস কতটা মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে, প্রাণের ঝুঁকিই বা কেমন, এই সব প্রশ্নেরও জবাব দিচ্ছেন দেশের শীর্ষ চিকিত্‍সকবিজ্ঞানীরা।

Monkeypox In India: কোভিডের মত ভয়ংকর নয়, কিন্তু সচেতন না হলেই বাড়বে বিপদ! জানাচ্ছেন দেশের শীর্ষ বিজ্ঞানীরা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 02, 2022 | 10:13 PM

দেশে এখন নয়া আতঙ্ক। এখনও পর্যন্ত ভারতে ৮ জনের শরীরের মাঙ্কিপক্স ভাইরাসের (Monkeypox Virus) হদিস পাওয়া গিয়েছে। করোনার পাশাপাশি ইতোমধ্যেই সারা দেশে মাঙ্কিপক্স (Monkeypox in India) নিয়ে নজরদারি শুরু করেছে কেন্দ্র। যার ফলে উদ্বেগ ও আশঙ্কায় আরও আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে দেশবাসী। করোনার মধ্যেই যে হারে মাঙ্কিপক্স নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে তা প্রতিরোধ করার জন্য কলকাতা পুরসভাও মাঠে নেমে পড়েছে। নয়া ভাইরাসকে ঠেকাতে পুরসভার চিকিত্‍সকদের নিয়ে একটি কর্মশালারও আয়োজন করেছে স্বাস্থ্যভবন। তবে এই মাঙ্কিপক্স কতটা ভয়ানক! ভারতের জন্য এই ভাইরাস কতটা মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে, প্রাণের ঝুঁকিই বা কেমন, এই সব প্রশ্নেরও জবাব দিচ্ছেন দেশের শীর্ষ চিকিত্‍সকবিজ্ঞানীরা।

রাজ্যে করোনার গ্রাফ ঊর্দ্ধমুখী। দেশ থেকে এখনও করোনামুক্ত নয়। শুধু তাই নয়, সারা বিশ্ব থেকেই কোভিড অতিমারির শেষ হয়নি। এর মধ্যেই চোখরাঙাচ্ছে মাঙ্কিপক্স। অন্যদিকে বর্ষার সময় দেশের নানা প্রান্তে ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া, সোয়াইন ফ্লুয়ের উপদ্রব তৈরি হয়েছে। সেই সব ভাইরাসকে ঠেকানোও বেশ কঠিন হয়ে পড়ছে। তারই মধ্যে আশার আলো দেখাচ্ছেন দেশের শীর্ষ বিজ্ঞানীরা। তাঁদের মতে, মঙ্কিপক্স কোভিডের মত মারাত্মক ভাইরাস নয়। তাই দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়া ঘটনায় আশঙ্কার প্রয়োজন নেই। এটি কোভিডের তুলনায় অনেক কম সংক্রমক, বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে না। দীর্ঘ সময়ের জন্য শুধুমাত্র সংস্পর্শে এলে বা ত্বকের খুব কাছাকাছি এলে, স্কিন-টু-স্কিন ফোস্কার তরল অংশ চলে এলে মাঙ্কিপক্স সংক্রমণের কারণ হতে পারে।

এই পরিস্থিতিতে অনেকের মনেই প্রশ্ন হতে পারে, স্মলপক্সের ভ্যাকসিন কি মাঙ্কিপক্স ভাইরাস থেকে রক্ষা করতে পারবে? বিজ্ঞানীদের মতে, মাঙ্কিপক্সের রোগ সৃষ্টিকারী ভাইরাসগুলি ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত। এই ভাইরাসের জন্য বর্তমানে দুটি এফডিএ অনুমোদিত ভ্যাকসিন রয়েছে। যদিও মাঙ্কিপক্সের জন্য কোনও অনুমোদিত চিকিত্‍সা নেই। তবে স্মলপক্সের জন্য ব্যবহৃত অ্যান্টিভাইরাল ওষুধগুলি এখানেও কার্যকর হতে পারে। এছাড়াও গুটি বসন্তের সংক্রমণের আগে যে টিকা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল, তা মাঙ্কিপক্সের বিরুদ্ধে সুরক্ষা প্রদান করতে সক্ষম বলে জানিয়েছেন দেশের সেরা বিজ্ঞানীরা।

বিজ্ঞানীদের কথায়, এই ভাইরাস গোষ্ঠী ভাইরাসের মঝ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে। তবে শিশুদের ক্ষেত্রে এই সংক্রমণ হতে পারে। যে সব শিশুদের চিকেনপক্সের টিকা দেওয়া হয়নি, তাদের শরীরের প্রতি যত্নশীল হতে হবে। এছাড়া স্বাস্থ্যসেবাকর্মীদের অনেকেই আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। মাঙ্কিপক্স থেকে রক্ষা পেতে তাদেরও সচেতন হতে হবে। এছাড়া বয়স্করাও এই ভাইরাস থেকে অনেকটাই সুরক্ষিত। সারা বিশ্বে প্রায় ২০ হাজারের মত রিপোর্ট পাওয়া গিয়েছে, তাদের মধ্যে মোট ৫টি মৃত্যুর খবর মিলেছে। আফ্রিকা, স্পেন ও ব্রাজিলে একজন করে আক্রান্ত হয়েছেন। তাই এই মুহূর্তে গণটিকার প্রয়োজন নেই।

বিজ্ঞানীদের মতে, এই ভাইরাসের কথা কয়েক মাসের মধ্যে নাও শুনতে পারি। তবে সচেতনতার মার নেই। সংক্রমিত যারা হয়েছেন, বিশেষ করে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন, সেই রোগীদের শারীরিক অবস্থার উপর কড়া নজরদারি করা প্রয়োজন। ইতোমধ্যে মাঙ্কিপক্সের কোনও খবর না থাকলেও কলকাতায় শুরু হয়েছে সচেতনতা অভিযান। জ্বর, গায়ে র‍্যাশ, ফোসকার মত উপসর্গ দেখা দিলে অবিলম্বে স্থানীয় পুরসভার স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, বাড়ি বাড়ি স্বাস্থ্যকর্মীরা গিয়ে এই ধরনের রোগীদের চিহ্নিত করবেন বলেও জানানো হয়েছে।