বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ অপুষ্টির শিকার। ক্যালসিয়াম, আয়রন, ভিটামিন সি এবং ভিটামিন ই-এর মতো নানা প্রয়োজনীয় পুষ্টিই পায় না প্রায় বেশিরভাগ মানুষ। এমন চমকে দেওয়া তথ্যই উঠে আসছে হার্ভার্ড টিএইচ চান স্কুল অব পাবলিক হেলথ রিসার্চারস, ইউসি সান্তা বারবারা এবং গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ইম্প্রুভড নিউট্রিশন বা (GAIN) এর যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত গবেষণা অন্তত তেমন কথাই বলছে।
শরীরে সাধারণ মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টের ঘাটতি, অপুষ্টিরই একটি রূপ। যা পরবর্তীকালে গুরুতর জনস্বাস্থ্য সমস্যা হিসাবে দেখা দিতে পারে। এমনকি গর্ভাবস্থায় নানা জটিলতা, অন্ধত্বের মতো বিষয়গুলির কারণ হতে পারে।
বিশ্বব্যাপী ১৮৫টি দেশের ১৭টি বয়সের গোষ্ঠীর বহু মানুষকে নিয়ে এই গবেষণা করা হয়। তাঁদের মধ্যে ক্যালসিয়াম, আয়োডিন, আয়রন এবং ভিটামিনের মতো পুষ্টির উপস্থিতির মূল্যায়ন করেছে।
গবেষণায় দেখা গিয়েছে বিশ্বের মোট জনসংখ্যার মধ্যে ৬৮ শতাংশ মানুষেরই আয়োডিনের উচ্চ মাত্রার ঘাটতি রয়েছে। ভিটামিন ই-এর ঘাটতি রয়েছে ৬৭% মানুষের, ক্যালসিয়ামের ঘাটতি রয়েছে ৬৬% মানুষের, এবং আয়রনের ঘাটতি আছে ৬৫% মানুষের। বিশ্বের মোট জনসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি রাইবোফ্লাভিন, ফোলেট এবং ভিটামিন সি এবং বি৬ এর অভাব রয়েছে।
মহিলাদের মধ্যে আয়োডিন, আয়রন এবং ভিটামিন বি ১২ কম হওয়ার ধাত বেশি। পুরুষদের মধ্যে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন এ এবং জিঙ্কের মতো পুষ্টির অভাব রয়েছে। চিকিৎসকদের মতে এই ভিটামিনের ঘাটতি বিভিন্ন রোগের কারণ হতে পারে, যেমন – দুর্বল হাড়, রক্তাল্পতা, ত্বকের ব্যাধি, দুর্বল ইমিউন সিস্টেম এবং এমনকি বিষন্নতাও।