Surrogacy: ঠাকুমা যখন মা, বাবা যখন ভাই, ছেলের সন্তানকে গর্ভে ধারণ করে কি হিসেব গুলিয়ে দিলেন মহিলা?

TV9 Bangla Digital | Edited By: দীপ্তা দাস

Sep 23, 2022 | 12:41 PM

Hormone Treatment: ২৬ বছর পর ফের একবার প্রেগন্যান্ট হওয়া যেমন ভীতিকর, তেমনি রোমাঞ্চও বটে। প্রেগন্যান্সির ফটোশ্যুটে সেই আনন্দ ও ঐক্যতা চোখে পড়েছে।

Surrogacy: ঠাকুমা যখন মা, বাবা যখন ভাই, ছেলের সন্তানকে গর্ভে ধারণ করে কি হিসেব গুলিয়ে দিলেন মহিলা?

Follow Us

ন্যান্সি হক। বয়স ৫৬ বছর। নাতনির জন্ম দেওয়ার জন্য আপাতত মুখিয়ে আসছেন এই মহিলা। নিজের ছেলের সন্তানকে বহন করে এক নজিরবিহীন ঘটনা ঘটিয়ে ফেলেছেন। কোনও রকম আগাম পরিকল্পনা ছাড়াই, এমন বিরল ঘটনা ঘটিয়ে ফেলার আনন্দ আর চেপে রাখতে পাচ্ছেন না। কবে তিনি নাতনির জন্ম দিয়ে ফুটফুটে মুখটি দেখবেন তার জন্য অধীর অপেক্ষায় খোদ ঠাকুমা নিজে। ব্যাপারটা এখনও হয়তো এখনও হদম করতে পারেননি। মূল কথা হল, নিজের ছেলের সারোগেট মাদার হয়েছেন স্বংয়ই ঠাকুমাই। পুত্র জেফের বয়স ৩২ বছর। স্ত্রীর ক্যামব্রিয়ার বয়স ৩০। তাঁদের পাঁচ সন্তান জন্ম ক্যামব্রিয়া জন্ম দিলেও শেষ সন্তান নিয়ে যখন পরিকল্পনা করছিলেন, তখন সামনে আসে বেশ কিছু জটিলতা।

সেই জটিলতাকে সরল ও স্বাভাবিক করতেই ঠাকুমা ন্যান্সির এই অভিনব পদক্ষেপ। বয়সের জটিলতাকে উপেক্ষা করেই তিনি নিজেকে স্যারোগেট মাদার হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন ছেলেকে। স্বামীকে না বলেই ছেলের কাছে নিজের মনের কথা বলেছিলেন। তবে পরে স্ত্রীর এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছিলেন স্বামীও। আইভিএফের মাধ্যমে ছয় বছর ধরে লড়াই করে গিয়েছেন ক্যামব্রিয়া ও জেফ। তাঁদের যমজ সন্তান, ভেরা ও আয়ভা, তারপরে আরও একজন ও শেষে ১১ মাসের আইভিএফের মাধ্যমে আবারও যমজ সন্তান ডিসেল ও লুকার জন্ম দিনে ক্যামব্রিয়া।

২০২২ সালের জানুয়ারি মাস থেকে মা হওয়ার জন্য হরমোন ট্রিটমেন্টের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছিলেন ন্যান্সি। টানা ১২ সপ্তাহ ইনজেকশন নিতে হত তাঁকে। এর জন্য জেফের বাবা জেশনকে খুব কাছে পেয়েছিলেন তিনি। তাই এই কঠিন পথটিও আরও সহজ হয়ে গিয়েছে। প্রসঙ্গত, ক্যামব্রিয়া ও জেফ আরও সন্তানের মা-বাবা হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। কিন্তু ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরের তাঁর শেষ প্রেগন্যান্সিতে হিস্টেরেক্টমি করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। ফলে জীবনের এক নতুন মোড় তৈরি হয় সেদিন থেকেই। চার বছরের বেশি বন্ধ্যাত্বের চিকিত্‍সার অভিজ্ঞতা থাকার পর ক্যামব্রিয়া জানতেন এই প্রক্রিয়াটি কতটা জটিল হতে পারে। আমরা আরও সন্তানের অপেক্ষায় স্বপ্ন বুনেছিলাম। যখন সেই স্বপ্ন ভেঙে যাওয়ার উপক্রম, তখনই মা আমাদের সেই অভাবনীয় প্রস্তাবটি দেন। এ কথা বলতে গিয়ে চোখে জল চলে আসে জেফের।

অন্যদিকে ন্যান্সির চিন্তা ছিল অন্য। একজনম সারোগেট হওয়ার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিলেও শারীরিকভাবে কতটা সক্ষম, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত ছিলেন না। বয়স হয়ে যাওয়াতে অন্যকোনও সমস্যা দেখা দিতে পারে এমন ভাবনাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু আশ্চর্যভাবে চিকিত্‍সকরাও জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি একেবারে সুস্থ ও এই বয়সে ফের গর্ভধারণ করা সম্ভব।

মেনোপজ শুরু আগেই এই সারোগেসির পদ্ধতিটি সেরে ফেলতে চেয়েছিলেন। তাতে আনন্দের মুহূর্তগুলি আরও সহজ হয়ে যায়। প্রসঙ্গত, এর আগে ন্যান্সি নিজেরই পাঁচ সন্তান রয়েছে। মায়ের এমন সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়ে স্বাগত জানিয়েছেন জেফ-সহ অন্যান্য ছেলেমেয়েরা। মায়ের এই সারোগেসিকে বিশেষ চোখে দেখেছেন সকলেই। ২৬ বছর পর ফের একবার প্রেগন্যান্ট হওয়া যেমন ভীতিকর, তেমনি রোমাঞ্চও বটে। প্রেগন্যান্সির ফটোশ্যুটে সেই আনন্দ ও ঐক্যতা প্রকাশ পেয়েছে। যা দেখে গোটা সোশ্যাল মিডিয়াও অবাক হয়ে গিয়েছে। এমন বিরলতম ঘটনাকে স্বাগত ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন নেটিজে়নরাও।

Next Article