১৯৮৮ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ১ ডিসেম্বর দিনটিকে বিশ্ব এইডস দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। বিশ্বজুড়ে সব মানুষ যাতে একত্রিত হয়ে এই রোগের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে পারে এই জন্যই এমন বিশেষ দিন পালনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। এই রোগ নিয়ে চিকিৎসাগত ভয় যতটা না রয়েছে তার থেকেও বেশি রয়েছে সমাজের ভয়। এইডস মানেই সমাজ থেকে একঘরে করে দেওয়ার প্রবণতা রয়েছে। আর তাই এই রোগ রুখতে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হল সচেতনতা। সেই সঙ্গে সংক্রমণ এবং উপসর্গ বুঝতে পারলে দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা প্রয়োজন। এইচআইভি-এর উপসর্গ সবার ক্ষেত্রে সমান হয় না। অনেকেই সংক্রমণের প্রথম পর্যায়ে বুঝতে পারেন না যে তিনি আক্রান্ত। সংক্রমণের পর প্রথম কয়েক সপ্তাহে কোনও উপসর্গ বা ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো অসুস্থতা নাও থাকতে পারে। কয়েক মাস পরেই জ্বর, মাথাব্যথা, ফুসকুড়ি বা গলা ব্যথার মতো সমস্যা বাড়তে থাকে। অনেকের ক্ষেত্রে জ্বর, ডায়ারিয়া, হঠাৎ ওজন কমে যাওয়ার মত উপসর্গও থাকে। হিউম্যান ইমিউনোডেফিসিয়েন্সি ভাইরাস HIV-ভাইরাস আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা কমিয়ে দেয়।
কী ভাবে এইচআইভি-এর সংক্রমণ হয়?
সংক্রামিত মানুষের সঙ্গে যৌন সম্পর্কের সময়ে শরীরের নির্যাস যেমন স্তন্য দুগ্ধ, এবং বীর্য নিঃসরণের মাধ্যমে।
সংক্রামিত ব্যক্তির ব্যবহৃত সিরিঞ্জ, ক্ষুর, ব্লেড, ট্যাটুর সূচ থেকে রক্তের মাধ্যমে হতে পারে।
গর্ভবতী মায়ের থেকে সন্তানের।
সংক্রামিত ব্যক্তির রক্ত গ্রহণ করলে।
এইচআইভির স্থায়ী কোনও নিরাময় নেই। তবুও আয়ুর্বেদে কিছু টিপস মেনে চলেন বিশেষজ্ঞরা। এই সব নিয়ম মেনে চললে খানিক সুরাহা মিলতে পারে। এইচআইভি সংক্রমণ হলে শরীরে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা কমে যায়। আর তাই আয়ুর্বেদ মেনে প্রথমেই বডি ডিটক্সের কথা বলা হয়। পিত্ত, কফ, লিভারের সমস্যা এই সব থেকে মুক্তি পেতে প্রথমেই দরকার ডৃিটক্সিফিকেশনের। সেই সঙ্গে শরীর জুড়ে থাকে ভয়ংকর ব্যথা। আর এই ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত একটি ডায়েট মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে আয়ুর্বেদে। তাই রোজ সকালে খালি পেটে তুলসি পাতা চিবিয়ে খৈওয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। এরপর দুটো খেজুর, দুটো বাদাম, দুটো আমন্ড এবং কিশমিশ খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা। সেই সঙ্গে রোজ সকালে ডুমুর আর মৌরি ভেজানো জল খেতে পারলে তাও খুব ভাল। এছাড়াও অ্যাপ্রিকট জলে ভিজিয়েও খাওয়া যেতে পারে।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।