WHO and Covid-19: মাস্কের ব্যবহার নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে নির্দিষ্ট কোনও গাইডলাইন নেই! যা বলছেন বিশেষজ্ঞরা…
মাস্ক ব্যবহার নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে প্রথম থেকেই স্পষ্ট করে কিছু চজানানো হয়নি। তবে বর্তমানে বলা হয়েছে সংক্রমণ ঠেকাতে মাস্ক পরতে হবে। কিন্তু কাপড়ের মাস্ক নাকি সার্জিক্যাল সে বিষয়ে সঠিক কোনও তথ্য নেই
কোভিড ( Covid-19) ঠেকাতে মাস্ক ( Mask) পরতেই হবে। মাস্ক ছাড়া গতি নেই। যদিও অনেকেই মাস্ক উপেক্ষা করেই বাইরে বেরিয়েছেন। উৎসবে মেতেছেন। ছিল না কোনও সামাজিক দূরত্ব। যে কারণে বড়দিনের পর থেকেই বাড়ছিল কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা। গত দুবছর ধরেই জীবনের অন্যতম প্রয়োজনীয় অংশ হয়ে উঠেছে মাস্ক। যখন কোভিডের প্রকোপ শুরু হয় তখন কিন্তু প্রথমদিকে টান পড়েছিল সার্জিক্যাল মাস্কে ( Surgical Mask)। এদিকে তখন স্বাস্থ্যকর্মীদের এই মাস্কই ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছিলেন বিশেষজ্ঞরা। তবে তখন নির্দিষ্ট কোনও মাস্কের উপর জোর দেননি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞরা। সম্প্রতি নিউজ ৯-কে তা জানিয়েছেন AIIMS-এর শ্বাসযন্ত্রের রোগ বিষয়ক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক লীনা ঘোষ।
তবে প্রথম দিকে মাস্ক নিয়ে উলটো পথে হেঁটেছিল হু। তখন তারা বলেছিল মাাস্ক বাড়িয়ে দেয় সংক্রমণের ঝুঁকি। ফাঁকা জায়গায় মাস্ক না থাকলেও চলবে। এমনকী সঙ্গে এরকমও বলা হয়েছিল যে একটানা মাস্ক পরে থাকলে হতে পারে শ্বাসযন্ত্রের নানা সমস্যা। অহেতুক মাস্ক ব্যবহার করে খরচ বাড়ানোর কোনও প্রয়োজন নেই। শুধুমাত্র যাদের শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা রয়েছে, কোভিড আক্রান্ত হয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে এবং যাঁরা স্বাস্থ্যকর্মী তারা মাস্ক পরলেই চলবে। এই রকম নির্দেশ দেওয়া হয় ২৯ জানুয়ারি, ২০২০ সালে। তখন অনেক চিকিৎসকের কাছেই ব্যাপারটা বিশেষ বোধগম্য হয়নি। এদিকে সংক্রমণ ঠেকাতে যাঁরা মাস্কের প্রয়োজনীয়তার কথা বলছেন তাঁদের তরফ থেকেই সাধারণ মানুষের জন্য প্রয়োজনীয় কোনও নির্দেশ নেই। ২০২০ সালের ৭ এপ্রিল, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার থেকে আনারও বলা হয়, যদি সামাজিক দূরত্ববিধি এবং বার বার হাত ধোওয়ার মত প্রাথমিক স্বাস্থ্যবিধি না মেনে চলা হয়, সেখানে মাস্ক পরার মত প্রয়োজনীয়তা নেই। WHO-এর বিজ্ঞানী ও উপদেষ্টা ডেভিড হেম্যান যেমন বলেছিলেন, ‘মাস্ক নিজের নয়, অন্যের সুরক্ষার জন্য ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। নিজের যাবতীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাই আসল’।
আবার আমেরিকার সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন, এই ধারণায় মোটেই মান্যতা দেয়নি। তারা বারবার বলেছিল, যেখানেই যান না কেন মাস্ক আবশ্যক। বাড়ির বাইরে বেরোলেই মাস্ক পরতে হবে। কারণ সামাজিক দূরত্ববিধি সব সময় বজায় রাখা সম্ভব নয়। আবার ওই বছরেরই ৩ জুন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থ্যার তরফে আয়োজিত এক প্রেস কনফারেন্সে সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ মাইকেল রায়ান জানান, ‘কোভিডের সংক্রমণ ঠেকাতেই মাস্ক পরতে হবে’। আবার হু-এর অন্যতম সদস্য টেড্রোস আধানম ঘেব্রেয়াসুস বলেছিলেন, ‘সামাজিক স্বাস্থ্যবিধি না মেনে মাস্কের যথাযথ ব্যবহার করে লাভ নেই। শুধুমাত্র মাস্ক পরে লাভ নেই। এমনকী ওই নির্দেশিকায় পাঁচ বছর বয়স পর্যন্ত বাচ্চাদের মাস্ক পরার যে কোনও প্রয়োজনীয়তা নেই তাও কিন্তু উল্লেখ করা ছিল’।
২০২০- সালের একদম শেষের দিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নতুন করে একটি নির্দেশিকা জারি করে। সেখানে বলা হয়েছে, প্রত্যেক মানুষেরই সার্জিক্যাল মাস্ক পরা উচিত। তবে যাঁরা সার্জিক্যাল মাস্ক পরবেন না তাঁদের তিনস্তর বিশিষ্ট মাস্ক পরতে হবে। এমনকী তখন ঘরে তৈরি ত্রিস্তর বিশিষ্ট কাপড়ের মাস্কেও মান্যতা দেওয়া হয়। প্রয়োজনে শিশুরাও পরতে পারে এই কাপড়ের মাস্ক এমনই জানানো হয়। কিন্তু ডেল্টার বাড়বাড়ন্ত থেকেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তার মত বদল করে। বরং যাঁরা কোভিডের দুটো ডোজ নিয়েছেন তাঁদেরও মাস্ক পরার পরামর্শ দেওয়া হয়।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
আরও পড়ুন: Covid-19: ওমিক্রন থেকে সেরে ওঠার পর যে ভাবে ঘরদোর পরিষ্কার করবেন…