সোমবার থেকে দেশজুড়ে ১৫-১৮ বছর বয়সীদের জন্য শুরু হয়েছে টিকাকরণ। এখনও পর্যন্ত অনেক অভিভাবকই তাঁদের সন্তানকে টিকাকরণ করিয়েছেন। কেন্যেদ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত ১ কোটি শিশু কোভ্যাক্সিনের প্রথম ডোজ পেয়েছে। ভাবে কোভিড বাড়ছে তাতে টিকাকরণ ছাড়া আপাতত আর কোনও রাস্তা নেই। যাবতীয় কোভিড বিধি মেনে চলা এবং টিকাকরণই কিন্তু একমাত্র সমাধান। বাচ্চাদের জন্য অর্থাৎ এই ১৫-১৮ বছর বয়সীদের জন্য ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন টিকা দেওয়া হচ্ছে। কোভিড টিকা নেওয়ার পর প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে সামান্যই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছিল।
দুদিন ধরে জ্বর, ক্লান্তি, হাতে ব্যথা, মাথা ব্যথা ইত্যাদি। আর তাই অনেক অভিভাবকের প্রশ্ন ছিল টিকা দেওয়ার পর শিশুদের শরীরে কোনও রকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেবে কিনা। যদি কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয় সেক্ষেত্রে তাঁরা কি করবেন। চিকিৎসকেরা তখন জানিয়েছিলেন, বাচ্চাদের ক্ষেত্রেও হালকা জ্বর ছাড়া তেমন কোনও সমস্যা হবে না। তবুও চিকিৎসকেরা বলেছেন কোভ্যাক্সিন নেওয়ার পর কোনও প্যারাসিটামল কিংবা ব্যথার ওষুর না দেওয়ারই পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, তাঁরা ইতিমধ্যে খবর পেয়েছেন বেশ কিছু কেন্দ্রে শিশুদের টিকানেওয়ার পর তিনটে করে ৫০০ mg-এর প্যারাসিটামল খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে তার কোনও প্রয়োজনীয়তা কিন্তু নেই। ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের সময় যে ৩০,০০০ জনের উপর পরীক্ষা চালানো হয়েছিল তাদের মধ্যে এদের মধ্যে ১০-১২ শতাংশই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা বলে। কিন্তু দুদিনের মধ্যেই সবাউ সুস্থ হয়ে ওঠেন। যে কারণে ভ্যাকসিন নির্মাতারা বলেছিলেন অযথা ওষুধের কোনও প্রয়োজন নেই।
শিশুদের মধ্যে প্রতিক্রিয়া
প্রাপ্তবয়স্কদের মত শিশু কিশোরদের মধ্যেও ভ্যাকসিন সংক্রান্ত বেশ কিছু প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। যদিও সেখানে সর্দি-জ্বর, ক্লান্তি ছাড়া আর তেমন কোনও উপসর্গ নেই। তবে এরপর যদি অন্য কোনও শারীরিক সমস্যা থাকে বা বাচ্চার মধ্যে কোনও রোগ-লক্ষণ দেখেন তাহলে কিন্তু অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নেবেন।
এছাড়াও আরও যা কিছু করবেন
বাচ্চাকে প্রচুর পরিমাণে জল খাওয়ান। জল, ডাবের জল, ফল, স্যুপ, দুধ এসব বেশি করে খেতে হবে। শরীর যাতে শুষ্ক না হয়ে যায় সেইদিকে খেয়াল রাখুন। এছাড়াও বেশি করে শাক-সবজি খেতে হবে। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল, হলুদ ফল, রসুন ইত্যাদি বেশি করে খেতে হবে। সেই সঙ্গে ভাল ঘুম হওয়া প্রয়োজন।
ভ্যাকসিন যেখানে দেওয়া হবে সেখানে যদি ব্যথা থাকে তাহলে বরফ লাগাতে পারেন। কিছু হালকা ব্যায়াম করতে পারেন। পরিষ্কার কাপড়ে বরফ বেঁধে ব্যবহার করতে হবে।
ভ্যাকসিন নেবার পরও সারাক্ষণ মাস্ক পরতে হবে। বার বার স্যানিটাইজেশন জরুরি। হাত ধুতে হবে। অযথা বাড়ি থেকে না বেরনোই ভাল। সেই সঙ্গে মেনে চলতে হবে দূরত্ব বিধি।
আরও পড়ুন: Asymptomatic omicron: আপনি কি উপসর্গবিহীন COVID-এ আক্রান্ত ? এটা কতটা গুরুতর হতে পারে? জানুন