বঙ্গে বর্ষা এলেও সেই অর্থ দেখা নেই বৃষ্টির। পাশাপাশি কমেনি গরমও। মাঝে মাঝে দু-এক পশলা বৃষ্টি হচ্ছে। আবার তার পরক্ষণেই আকাশ পরিষ্কার। ক্ষণে ক্ষণে এই আবহাওয়া পরিবর্তন প্রভাব ফেলছে শরীরের উপর। এখন প্রতিটা ঘরে ঘরে লেগে রয়েছে সর্দি-কাশির সমস্যা। পাশাপাশি আবার মাথাচাড়া দিয়েছে কোভিড। রাজ্যজুড়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। উপসর্গ ঠান্ডা লাগার লক্ষণগুলির মতোই। তবে জ্বর, সর্দি-কাশি হওয়া মানেই যে কোভিড হয়েছে এমন কিছু ভেবে নেওয়ার কোনও কারণ নেই।
মূলত আবহাওয়া, তাপমাত্রা ও আলোর পরিবর্তন আমাদের শরীরকেও প্রভাবিত করে। এটি শরীরের ইমিউনিটি সিস্টেমকে দুর্বল করে তোলে। ফলে এই সময় সতর্ক না থাকলে আপনি রোগে পড়েন। তবে যদি আপনার জ্বর দীর্ঘস্থায়ী হয় এবং এর সঙ্গে পেট খারাপ ও অন্যান্য উপসর্গ থাকে তাহলে কোভিড পরীক্ষা করিয়ে নিন। প্রয়োজনে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। কিন্তু যদি এটা সাধারণ ঠান্ডা লাগা হয়ে থাকে তাহলে আপনি সাহায্য নিতে পারেন ঘরোয়া টোটকার। এই বিষয়ে টিপস শেয়ার করেছেন পুষ্টিবিদ অবন্তি দেশপান্ডে।
ঘি ও হলুদ
পুষ্টিবিদ অবন্তি দেশপান্ডে ব্যাখ্যা করেছেন যে, ঘি ও হলুদের সংমিশ্রণ শরীরে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এটা একটা পুরনো টোটকা। হলুদে উপস্থিত কারকিউমিন শরীরকে বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ ও ভাইরাস থেকে রক্ষা করে। অন্যদিকে, ঘি পাচনতন্ত্রের প্রতিরক্ষামূলক ঢাল হিসেবে কাজ করে। এই দুটো উপাদানকে একসঙ্গে মিশিয়ে সকালে খালি পেটে খান। এতেই কাজ হবে।
জিঙ্ক ও ভিটামিন সি
পুষ্টিবিদদের মতে, জিঙ্ক শ্বাসযন্ত্রের রোগের জন্য অপরিহার্য। অন্যদিকে ভিটামিন সি হল অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে পরিপূর্ণ। পুষ্টিবিদ অবন্তি এই দুইয়ের সংমিশ্রণ কীভাবে সেবন করবেন সেটাও জানিয়েছেন তিনি। জিঙ্ক এবং ভিটামিন সি-এর একটি ট্যাবলেট এক গ্লাস জলে মিশিয়ে নিন। এরপর এটা পান করুন।
আমলকী গুঁড়ো ও মধু
ক্ষণে ক্ষণে আবহাওয়া পরিবর্তন শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল করে দেয়। এই ক্ষেত্রে পুষ্টিবিদ অবন্তি আমলকীর গুঁড়োর সঙ্গে মধু মিশিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। আমলকী হল ভিটামিন সি-এর প্রাকৃতিক উৎস। অন্যদিকে মধু অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্যে পরিপূর্ণ। ১/২ চা চামচ আমলকীর গুঁড়োর সঙ্গে ১ চা চামচ মধু মিশিয়ে খান। এই মিশ্রণ আপনি সকালে কিংবা রাতে খেতে পারেন।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।