বাচ্চাকে রোজ টিফিনে কী খাবার দেব—এই চিন্তা সব মায়ের। বাচ্চাকে সবজির তরকারি আর রুটি দিলে সে খাবার খাবে না। রোজ মুখরোচক খাবার দেওয়া যায় না। বিশেষত অস্বাস্থ্যকর খাবার বাচ্চার টিফিনে না দেওয়াই ভাল। কিন্তু আজকাল বাচ্চারাই বায়না করে চিপস, বার্গার, পিৎজা, নুডলসের। এই সব খাবারের মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে নানা রোগ। শুধু তা-ই নয়, আজকাল বাচ্চাদের মধ্যে ওবেসিটির সমস্যা কমন হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশ্বজুড়ে ৮ জনের মধ্যে ১ জন ওবেসিটিতে ভুগছে। ৫-১৯ বছরের মধ্যে প্রায় ৩৯ কোটি ছেলেমেয়ে আজ ওবেসিটির শিকার। ছোট বয়স থেকেই যদি শরীরে ফ্যাটের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়, বড় হয়ে আরও সমস্যা জাঁকিয়ে বসবে। কিন্তু সন্তানকে জাঙ্ক ফুড থেকে কীভাবে দূরে রাখবে এবং পুষ্টিকর খাবার খাওয়ানোর অভ্যাস করাবেন?
১) বাড়িতে বানান পিৎজা থেকে এগরোল সব জাঙ্ক ফুড। মায়ের হাতের তৈরি খাবারের চেয়ে পুষ্টিকর কিছু হয় না। বাচ্চা যদি মুখরোচক খাবার খাওয়ার বায়না করে, সেটা বাড়িতে বানিয়ে ফেলুন। সেই সব খাবারে তেল, ময়দা, নুন, চিনির পরিমাণ কমান।
২) বাচ্চার খাদ্যতালিকায় ফাইবার, ভিটামিন, প্রোটিন, মিনারেল, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সব ধরনের পুষ্টি থাকা জরুরি। এগুলো আপনার সন্তানকে দ্রুত বেড়ে উঠতে সাহায্য করবে। গোটা শস্য, তাজা শাকসবজি ও ফল, বাদাম সবই রাখুন বাচ্চার পাতে।
৩) বাড়ির খাবারকে সুস্বাদু করে তুলতে আপনি সবজির সঙ্গে মাছ, মাংস, ডিম ব্যবহার করতে পারেন। এগুলো দেহে পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করে। তাছাড়া বাচ্চারাও মাছ, মাংস খেতে ভালবাসে।
৪) ভারী খাবারের পাশাপাশি বাচ্চাদের স্ন্যাকসের প্রতিও নজর দিতে হবে। বাইরের খাবার যত কম খাওয়ানো যায় ততই ভাল। স্ন্যাকস হিসেবে নোনতা ও মিষ্টি খাবার এড়িয়ে চলুন। বিভিন্ন বাদাম, ফল, মাখানা ও সুইট কর্নের মতো খাবার খাওয়াতে পারেন।
৫) রান্না করার সময় বাচ্চাকে সঙ্গে নিন। তাদের দিয়ে আনাজের খোসা ছাড়ানো, খাবারে মশলা দেওয়ার মতো কাজগুলো করাতে পারবেন। এতে বাচ্চাদের মধ্যে রান্না করা ও বাড়ির তৈরি খাবার খাওয়ার প্রতি আগ্রহ জন্মাবে।