AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Omicron: শরীরে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দিচ্ছে ওমিক্রন, বলছে সমীক্ষা

Omicron immunity: শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমছে ওমিক্রনের প্রভাবে। প্রয়োজন হয়ে পড়েছে বুস্টার ডোজের। সম্প্রতি বেশ কিছু সমীক্ষায় উঠে এসেছে এই তথ্য

Omicron: শরীরে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দিচ্ছে ওমিক্রন, বলছে সমীক্ষা
বিভিন্ন রাজ্যে ছড়িয়ে পড়ছে ওমিক্রন সংক্রমণ। ফাইল চিত্র
| Edited By: | Updated on: Dec 09, 2021 | 12:17 PM
Share

ওমিক্রন কমিয়ে দিচ্ছে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা! সম্প্রতি কিছু গবেষণায় উঠে এমনই কিছু তথ্য। ফাইজার ভ্যাকসিনের সম্পূর্ণ ডোজ নিয়েছেন এমন কিছু মানুষদের উপরেই চালানো হয়েছিল এই গবেষণা। সেখানেই দেখা গিয়েছে যাঁরা ফাইজারের টিকা নেওয়ার পরও ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন তাঁদের শরীরে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা কমে গিয়েছে অনেকটাই। আর যে কারণে প্রয়োজন হয়েছে বুস্টার ডোজের। অ্যান্টিবডিগুলো সুরক্ষিত রাখার জন্যই প্রয়োজন এই বুস্টার ডোজের। ফলে হয়ত ভাইরাসের নতুন এই ভ্যারিয়েন্টকে ঠেকানো যেতে পারে।

দক্ষিণ আফ্রিকা, জার্মানি আর সুইডেনে এই তিনটি পৃথক গবেষণা চালানো হয়। সেখানেই দেখা হয় যারা ফাইজারের টিকা নিয়েছিল এবং পরবর্তীতে ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছে তাদের শরীরে কী ভাবে ভাইরাস কী কী পরিবর্তন ঘটিয়েছে। ওমিক্রনে আক্রান্ত ব্যক্তিদের প্লাজমা নিয়েই এই পরীক্ষা চালানো হয়। যাঁদের প্লাজমা নেওয়া হয় তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ আগে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছিলেন। তাতে দেখা যায় পূর্বে আক্রান্তদের শরীরে যে সব অ্যান্টিবডি রয়েছে এবং যারা একবারও আক্রান্ত হননি তাঁদের শরীরে যে অ্যান্টিবডি রয়েছে তা আলাদা। কিন্তু উভয়েই কোভিডের দুটি টিকার সম্পূর্ণ ডোজ নিয়েছেন।

এই অ্যান্টিবডিগুলো পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে কোভিড বএবং পরবর্তীতে ওমিক্রনে আক্রান্তের পর তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমেছে প্রায় ৪০ গুন। জার্মানির ভািরোলজি ইনস্টিটিউটের তরফে যে গবেষণা চালানো হয় তাতে দেখা গিয়েছে টিকা নেওয়ার পরও যাঁরা কোভিডের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়েছিলেন তাঁদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গিয়েছে ৩৭ শতাংশ। পরবর্তীতে যাঁরা ওমিক্রনে আক্রান্ত হন তাঁদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তার তুলনায় কমে গিয়েছে আরও অনেকটাই। সুইডেনের করোনলিনস্কা ইনস্টিটিউটের তরফে যে গবেষণা চালানো হয় তাতে দেখা গিয়েছে, ওমিক্রনের প্রভাবে শরীরে কমেছে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। বিটা এবং ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হবার পরও শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এতটা কমে যায়নি, কিন্তু ওমিক্রনের প্রভাবে হ্রাস পেয়েছে টিকার কার্যকারিতা।

ফাইজার এবং মর্ডার্না যে কোভিড ভ্যাকসিন হিসেবে বেশ ভাল কাজ করেছে তা ইতিমধ্যে বেশ কিছু গবেষণায় প্রমাণিত। এমনকী এই টিকা নেওয়ার পর মানুষ কিন্তু সেইভাবে আক্রান্ত হননি করোনায়। তবে এই দুই টিকার সম্পূর্ণ ডোজ নেওয়ার পর কিন্তু তাঁরা ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন। যে কারণে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, এই একই গবেষণা চালানো হোক কোভিশিল্ডের উপরেও। কারণ ভারতে বেশিরভাগই এই টিকা নিয়েছেন। ওমিক্রন থাবা বসিয়েছে ভারতেও। আর তাই যাঁরা কোভিশিল্ড টিকা নিয়েছেন তাঁদের ক্ষেত্রে এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার মত পর্যাপ্ত শক্তি আছে কিনা তা দেখা দরকার। যাঁরা ওমিক্রনে আক্রান্ত হচ্ছেন তাঁদের শরীরে মৃদু উপসর্গই থাকছে। এখনও পর্যন্ত খুব বেশি ক্ষতি করেছে এইব ভাইরাস তেমন প্রমাণ পাওয়া যায় নি।

আরও পড়ুন: Omicron: ক্রমেই ভারতে বাড়ছে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা! সংক্রমণ ঠেকাতে যা কিছু মেনে চলবেন