ওমিক্রন ছড়াচ্ছে দ্রুত সেই সঙ্গে দুর্বলতাও বেশি অনেকটাই-রবিবার এমনটাই জানানো হয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে (WHO)। সেই সঙ্গে ওমিক্রন প্রতিরোধে ভ্যাকসিনের কার্যকারিতাও কম। তবে SARS-Cov-2- এর এই ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের তীব্রতা কিন্তু কম। কিন্তু ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়ছে খুবই তাড়াতাড়ি। ডেল্টার তুলনায় অনেক বেশি সংক্রামক হল ওমিক্রন।
দক্ষিণ আফ্রিকাতেই প্রথম খোঁজ মেলে ওমিক্রনের। পরে তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে থাকে নানা প্রান্তে। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার তুলনায় আমেরিকায় কিন্তু আরও বেশি হারে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে ডেল্টা। তবে ডেল্টার প্রভাব যে সব দেশে বেশি ছিল সেই সব দেশেই কিন্তু বেশি ছড়িয়েছে ওমিক্রন। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ( WHO) আরও জানিয়েছে,’এখনও পর্যন্ত যে সব তথ্য হাতে এসেছে সেই অনুযায়ী কমিউনিটি ট্রান্সমিশন হলে কিন্তু ওমিক্রন ছাড়িয়ে যাবে ডেল্টাকেও। ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৬৩ টি দেশে খোঁজ মিলেছে ওমিক্রন আক্রান্তের’। দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম ওমিক্রন ধরা পড়ে ২৪ নভেম্বর। রিপোর্ট পাওয়ার পর WHO-২৬ নভেম্বর ওমিক্রনকে উদ্বেগের কারণ হিসেবে বর্ণনা করেছে।
ওমিক্রন প্রতিরোধে ভ্যাকসিন কতটা কার্যকরী এ বিষয়ে বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, ওমিক্রন কমিয়ে দিচ্ছে ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা। ওমিক্রনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে ভ্যাকসিনের দুটো ডোজই যথেষ্ট নয়। আফ্রিকায় সংক্রমণ যে ভাবে ছড়াচ্ছে তাতেই প্রমানিত যে, এই ভ্যারিয়েন্ট কমিয়ে দিচ্ছে ভ্যাকসিনের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। এছাড়াও থাকছে শারীরিক দুর্বলতাও। সঙ্গে কিছু সমীক্ষায় এটাও দেখা গিয়েছে যে, টিকা নেওয়ার আগেই যাঁরা কোভিডে আক্রান্ত হয়েছিলেন তাঁদের শরীরে যে স্ট্রেনের হদিশ পাওয়া গিয়েছিল তা কিন্তু কম সংক্রামক ছিল। এবং কোভিডের ভ্যাকসিন তা প্রতিরোধে সক্ষম ছিল।
যদিও দক্ষিণ আফ্রিকা ওমিক্রন আক্রান্তদের নিয়ে যে কয়েকটি পরীক্ষা এখনও পর্যন্ত করেছে, সেখান থেকেই তারা একটি রিপোর্ট পেশ করেছে। এবং তাদজের মতে ডেল্টার থেকে অনেক কম রোগ লক্ষণ ওমিক্রনের। এমনকী এখনও পর্যন্ত তা ভয়াবহ আকারও ধারন করেনি। যাঁরা আক্রান্ত হয়েছেন তাঁরা প্রত্যেকেই উপসর্গবিহীন। এমনকী ভাইরাল লোডও কম। হালকা জ্বর আর শরীরের ক্লান্তি নিয়েই সকলে এসেছেন। তবে WHO জানিয়েছে, ‘এই ভ্যাকসিন নিয়ে আরও গবেষণা দরকার। আরও বেশি তথ্য হাতে আসলে তখন হয়ত সিদ্ধান্তেও আসতে পারে বদল’।
তবে ওমিক্রন এখন যে ভাবে ছড়াচ্ছে তাতে বিশ্ব জুড়ে এই কয়েকটি প্রশ্নই এখন উঠে আসছে। ১. আদৌ কতটা সংক্রমনযোগ্য এই ওমিক্রন ২. ভ্যাকসিন কতটা কার্যকরী, সংক্রমণ কত দ্রুত ছড়াচ্ছে, রোগ লক্ষণ জটিল কিনা এবং এখনও পর্যন্ত ওমিক্রনে মৃত্যুর ঘটনা সামনে এসেছে কিনা। যাঁদের শরীরে আগে থেকেই কোনও জটিলতা রয়েছে তাঁদের ক্ষেত্রে ওমিক্রন কতটা মারাত্মক হতে পারে। ৩. কোভিডের অন্যান্য ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় কতটা মারাত্মক এই ওমিক্রন।