অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, অতিরিক্ত খাওয়া ও সময়মতো খাবার না খাওয়ার ফলে হজমের অনেক সমস্যা হতে হয়। যা থেকে অনেক গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি করে। অনেকসময় দীর্ঘস্থায়ী থেকে হালকা তারপর গুরুতর পর্যন্ত হতে পারে। হজমের সমস্যাগুলিকে উপেক্ষা করলে পরবর্তীকালে যন্ত্রণাদায়ক একটি স্বাস্থ্য পরিস্থিতি জন্ম দেয়। যা পরবর্তী ক্ষেত্রে ডিসপেপসিয়া নামেও পরিচিত হয়। বদহজম হল খাবারের পর পেটে অস্বস্তি অনুভূতি। বেশ কিছু সাধারণ অসুখ যেমন, ক্যানসার, ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম, ল্যাকটোজ ইনটলেরেন্স, পেট ফাঁপা, পিত্ত পড়ে যাওয়া, রেকটাল সমস্যা, গ্যাস্ট্রিক আলসার, লিভারের সমস্যা যা হেপাটাইটিস বি, সি ও লিভারের সমস্যার দিকে পরিচালিত করে। অগ্ন্যাশয়ের সমস্যাও হতে পারে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি ঘন ঘন হজমের সমস্যা, পেট ফুলে যাওয়া, পেটে অস্বস্তিবোধ হওয়া,ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে শুধু কিছু ভাজা জোয়ান খেতে পারেন। স্বাদ বদলাতে জোয়ানের সঙ্গে রক সল্ট মিশিয়ে বা জলে ভিজিয়ে খেতে পারেন। এছাড়া জোয়ান ও রক সল্ট প্রতিটি ভারতীয়দের রান্নাঘরেই মজুত থাকে।
জোয়ান হজমশক্তির জন্য সেরা দাওয়াই
জোয়ানের মধ্যে রয়েছে ফাইবার, খনিজ পদার্থ, ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর, যা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। বিশেষজ্ঞরা মতে,লবণের সঙ্গে জোয়ান বদহজমের সমস্যা এবং অ্যাসিডিটি উপশম করতে সাহায্য করে। কারণ জোয়ানের বীজে উপস্থিত সক্রিয় এনজাইমগুলি পাকস্থলীর অ্যাসিডের প্রবাহকে উন্নত করতে সহায়তা করে।
এছাড়াও জোয়ান হল থাইমল সমৃদ্ধ, যার কারমিনেটিভ এবং অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এমনকি পেট ফাঁপা, ডায়রিয়া থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে। থাইমল যৌগ পাকস্থলীতে গ্যাস্ট্রিক রস নির্গত করে, যা হজম প্রক্রিয়া বাড়াতে সাহায্য করে।
অন্যদিকে আপনি যদি রোদ একটু করে জোয়ান ও রক সল্ট মিশিয়ে খান তাহলে উভয়ই হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড ধরে রেখে শরীরের অন্যান্য খনিজগুলির ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করে।
উপকারিতা
– হজমের সমস্যায় যেমন সাহায্য করে তেমনি মুখের স্বাদ বদলাতেও এই জোয়ানের কোনও বিকল্প নেই।
– ঠান্ডা লেগে যদি সর্দি-কাশি হয়, তাহলে উপশম পেতে জোয়ান বেশ কার্যকরী।
– দাঁতে ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে জোয়ান খাওয়া যেতে পারে।
– সরশের সঙ্গে মিশিয়ে চটজলদি মশা নিরোধক তৈরি করা যেতে পারে।
– এর অ্যান্টিবায়োটিক বৈশিষ্ট্যের কারণে, জোয়ানের বীজ আর্থ্রাইটিসের কারণে ব্যথা কমাতেও সাহায্য করে।
– জোয়ানের বীজের শক্তিশালী অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
– স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, আজওয়াইনের বীজ কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা কমাতে পারে। উচ্চ কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা হৃদরোগের ঝুঁকির কারণ।