Raisin Water: গরমে বুক জ্বালা, গ্যাস-অম্বলে ভুগছেন? সকালে কিশমিশের জলে চুমুক দিন
Summer Health: ড্রাই ফ্রুটস হিসেবে কিশমিশ অনেকেই খেয়ে থাকেন। এবার গরমে শরীরকে তরতাজা রাখতে ভরসা রাখুন কিশমিশ ভেজানো জলের উপর। গ্রীষ্মকালে কিশমিশ ভেজানো জল পান করলে কী-কী উপকারিতা মেলে, চলুন জেনে নেওয়া যাক।
যে হারে গরম পড়েছে, তাতে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলা দায় হয়ে পড়েছে। পাখার তলায় বসেও ঘেমে যাচ্ছে সকলে। কিন্তু সারাদিন তো শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে বসে থাকা যায় না। কাজের জন্য, প্রয়োজনে রোদে বেরোতেই হয়। এই অবস্থায় শরীরকে হাইড্রেটেড রাখা এবং শীতল রাখা একান্ত জরুরি। আর এক্ষেত্রে আপনাকে সাহায্য করতে পারে কিশমিশ ভেজানো জল। ড্রাই ফ্রুটস হিসেবে কিশমিশ অনেকেই খেয়ে থাকেন। এবার গরমে শরীরকে তরতাজা রাখতে ভরসা রাখুন কিশমিশ ভেজানো জলের উপর। গ্রীষ্মকালে কিশমিশ ভেজানো জল পান করলে কী-কী উপকারিতা মেলে, চলুন জেনে নেওয়া যাক।
১) শরীরকে ডিটক্সিফাই করে- কিশমিশ ভেজানো জল আমাদের দেহে প্রাকৃতিক ডিটক্সিফায়ার হিসেবে কাজ করে। অর্থাৎ, এটি শরীর থেকে সমস্ত বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেয়। কিশমিশ ভেজানো জলের মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে। রোগের ঝুঁকি কমার পাশাপাশি ত্বকের যাবতীয় সমস্যাও কমে। কিশমিশ ভেজানো জল আপনাকে এনে দিতে পারে নিখুঁত ও উজ্জ্বল ত্বক।
২) রক্তাল্পতার ঝুঁকি কমায়- শরীরে আয়রনের ঘাটতি থাকলে রক্তাল্পতার ঝুঁকি বাড়ে। মহিলাদের মধ্যে এই রোগের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। কিন্তু কিশমিশ ভেজানো জল পান করলে আপনি অনায়াসে রক্তাল্পতার ঝুঁকি কমাতে পারবেন। কিশমিশ ভেজানো জল দেহে আয়রনের ঘাটতি পূরণ করতে পারে।
৩) ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় রাখে- গরমে ঘামের সঙ্গে খনিজ পদার্থও বেরিয়ে যায়। এতে শরীর ডিহাইড্রেটেড হয়ে যায় এবং ইলেক্ট্রোলাইটের ঘাটতি তৈরি হয়। কিশমিশ ভেজানো জল শরীরে ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। এতে গরমে পেশিতে খিঁচুনি, মাথা ঘোরা, ক্লান্তি, দুর্বলতার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। পাশাপাশি কিশমিশ ভেজানো জল শরীরে শক্তির জোগান দেয়। এতে গরমে কাজ করার এনার্জি পাওয়া যায়।
৪) অন্ত্রের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখে- গরমে অন্ত্রের স্বাস্থ্যকে ভাল রাখতে কিশমিশ ভেজানো জল পান করুন। এই পানীয়ের মধ্যে ফাইবার রয়েছে, যা হজমে সাহায্য করে। পাশাপাশি এই পানীয় অন্ত্রে স্বাস্থ্যকর ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ বৃদ্ধি করে। এখানে শেষ নয়। কিশমিশ ভেজানো জলে থাকা ফাইবার ওজন কমাতেও সাহায্য করে।
৫) বদহজমের সমস্যা দূর করে- অস্বাস্থ্যকর খাওয়া-দাওয়া বুক জ্বালা, পেট ফোলা, বমি, ডায়ারিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা বাড়িয়ে তোলে। তাই গরমে ভাজাভুজি, মশলাদার খাবার থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়। এরপরেও যদি বদহজমের সমস্যায় ভোগেন, তাহলে সকালে কিশমিশ ভেজানো জল পান করুন। পেটের অস্বস্তি কমিয়ে দিতে পারে এই পানীয়।